খুলনায় প্লাজমা থেরাপি শুরু, প্রথম প্লাজমা দিলেন এক চিকিৎসক

করোনাভাইরাস। ছবি: রয়টার্স
করোনাভাইরাস। ছবি: রয়টার্স

খুলনায় করোনাভাইরাসের চিকিৎসায় শুরু হয়েছে প্লাজমা থেরাপি কার্যক্রম।করোনাভাইরাসে আক্রান্তের পর সু্স্থ হওয়া এক চিকিৎসকের শরীর থেকে গতকাল বৃহস্পতিবার প্লাজমা সংগ্রহ করে তা আক্রান্ত রোগীর শরীরে প্রয়োগ করা হয়।

এর মধ্য দিয়ে খুলনা মেডিকেল কলেজের আওতাভুক্ত করোনাভাইরাস আক্রান্ত ব্যক্তিদের জন্য নির্ধারিত হাসপাতালে চিকিৎসায় এক নতুন মাত্রা যোগ হলো।

খুলনা মেডিকেল কলেজের সহকারী অধ্যাপক ও ট্রান্সমিশন মেডিসিন বিভাগের বিভাগীয় প্রধানের দায়িত্বে থাকা চিকিৎসক এস এম তুষার আলমের নেতৃত্বে আরও পাঁচজন বিশেষজ্ঞের একটি দল ওই প্লাজমা থেরাপি পরিচালনা করবেন। তাঁদের সার্বিক সমন্বয়কের দায়িত্ব পালন করবেন খুলনা মেডিকেল কলেজের উপাধ্যক্ষ ও করোনাভাইরাস প্রতিরোধ ও চিকিৎসা ব্যবস্থাপনা কমিটির সার্বিক সমন্বয়কারী মেহেদী নেওয়াজ।

জানা গেছে, বাগেরহাটের বাসিন্দা স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ইন্টার্ন চিকিৎসক মো. মঞ্জুরুল ইসলাম গতকাল খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ব্লাড ব্যাংকে তাঁর শরীরের প্লাজমা দান করেন। গত এপ্রিল মাসে তিনি করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হন ও পরে সুস্থ হয়ে ওঠেন।

গতকাল দুপুরে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ব্লাড ট্রান্সমিশন বিভাগে রক্ত সংগ্রহ করে সেল সেপারেটর মেশিনের মাধ্যমে প্লাজমা আলাদা করে চিকিৎসাধীন রোগীর শরীরে প্রয়োগ করা হয়।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন খুলনা মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ অধ্যাপক মো. আব্দুল আহাদ, হাসপাতালের পরিচালক মুন্সি রেজা সেকেন্দার, উপাধ্যক্ষ ও করোনাভাইরাস প্রতিরোধ ও চিকিৎসা ব্যবস্থাপনা কমিটির সার্বিক সমন্বয়কারী মেহেদী নেওয়াজ, করোনাভাইরাস চিকিৎসার জন্য নির্ধারিত হাসপাতালের ফোকাল পার্সন চিকিৎসক ফরিদ উদ্দিন আহমেদ, রক্ত পরিসঞ্চালন বিভাগের বিভাগীয় প্রধান এস এম তুষার আলম, করোনাভাইরাস ওয়ার্ডের মুখপাত্র চিকিৎসক শৈলেন্দ্রনাথ বিশ্বাস প্রমুখ।

তুষার আলম বলেন, খুলনায় এই প্রথম করোনাভাইরাস চিকিৎসায় সারা বিশ্বে স্বীকৃত চিকিৎসা পদ্ধতি প্লাজমা থেরাপি আনুষ্ঠানিকভাবে শুরু হলো। একজন করোনাভাইরাস জয়ী চিকিৎসকের শরীর থেকে রক্ত সংগ্রহ করে প্লাজমা আলাদা করে করোনাভাইরাস আক্রান্ত এক ব্যক্তির শরীরে তা প্রয়োগ করা হয়েছে। আশা করা যায়, দু'এক দিনের মধ্যে রোগীর দেহে ইতিবাচক পরিবর্তন আসবে এবং রোগী ধীরে ধীরে সুস্থ হয়ে উঠবেন।