নমুনা দিয়ে কাজে গিয়ে দুজন জানলেন করোনা পজিটিভ

প্রতীকী ছবি: রয়টার্স
প্রতীকী ছবি: রয়টার্স

নাটোরে নমুনা দিয়ে ঢাকায় ফিরে কর্মস্থলে যোগ দেওয়ার পর দুজন জানলেন যে তাঁরা করোনা পজিটিভ। তাঁদের গ্রামের বাড়ি নাটোরের বড়াইগ্রাম উপজেলায়। গতকাল বুধবার রাতে জেলা সিভিল সার্জন কার্যালয় বিষয়টি নিশ্চিত করে। আজ বৃহস্পতিবার সকালে তাঁদের দুজনের বাড়ি লকডাউন করা হয়েছে। আর মুঠোফোনে তাঁদের ঢাকায় প্রাতিষ্ঠানিক আইসোলেশনে থাকতে বলা হয়েছে।


নাটোরের সিভিল সার্জন কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, গতকাল রাত ১০টার দিকে রাজশাহী ল্যাব থেকে জানানো হয়, নাটোরের দুই ব্যক্তির নমুনা পরীক্ষায় করোনা পজিটিভ এসেছে। তাঁদের একজনের বাড়ি বড়াইগ্রাম উপজেলা সদরে, অন্যজনের বাড়ি একই উপজেলার রাজাপুর এলাকায়। একজন গাজীপুরের একটি কারখানায় এবং অন্যজন ঢাকার একটি বেসরকারি হাসপাতালে চাকরি করেন। ঈদে বাড়িতে আসার পর তাদের জ্বর–সর্দি হয়। এ অবস্থায় তাঁদের নমুনা সংগ্রহ করে রাজশাহীর ল্যাবে পাঠানো হয়।


গতকাল রাতে এই দুজনের বিষয়ে খোঁজ নিয়ে জানা যায়, তাঁরা নমুনা দেওয়ার পর নিজ নিজ কর্মস্থলে ফিরে গিয়ে কাজে যোগ দিয়েছেন। রাতেই তাঁদের ফোন করে প্রয়োজনীয় নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।


জেলার সিভিল সার্জন কাজী মিজানুর রহমান বলেন, নমুনা পরীক্ষার ফলাফল জানার আগেই স্বাভাবিক জীবনে ফিরে যাওয়া হলে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়ার ঝুঁকি থাকে। ওই সব ব্যক্তির সংস্পর্শে আসা লোকজন করোনাভাইরাসে সংক্রমিত হওয়ার ঝুঁকিতে পড়েন। তাই ফলাফল না জানা পর্যন্ত তিনি সবাইকে নিজ ঘরে আইসোলেশনে থাকার অনুরোধ করেন।


এই দুজনসহ নাটোর জেলায় কোভিড–১৯ রোগীর সংখ্যা এখন ৬০। এর মধ্যে ১১ জন সুস্থ হয়েছেন।