সোমেশ্বরী নদীতে নিখোঁজ শ্রমিক উদ্ধার হননি

নেত্রকোনার দুর্গাপুরের সোমেশ্বরী নদীতে বালু উত্তোলন করার খনন যন্ত্রের (ড্রেজার) পাইপ লাগাতে গিয়ে নিখোঁজ শ্রমিকের কোনো খোঁজ পাওয়া যায়নি। গতকাল মঙ্গলবার বেলা আড়াইটার দিকে ওই বালুশ্রমিক নদীর তেরী বাজার বালু ঘাট এলাকায় নিখোঁজ হন। আজ বুধবার বেলা ১১টা পর্যন্ত তাঁর সন্ধান পাওয়া যায়নি।

নিখোঁজ বালুশ্রমিকের নাম মো. আবু বকর (২৫)। তিনি উপজেলার কেরনখলা গ্রামের দুলাল মিয়ার ছেলে।

এলাকার কয়েকজন বাসিন্দা, প্রত্যক্ষদর্শী ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, দুর্গাপুরের সোমেশ্বরী নদীর বিভিন্ন এলাকায় অন্তত পাঁচটি বালুমহাল প্রতিবছর জেলা প্রশাসন থেকে ইজারা দেওয়া হয়। এরপর ইজারাদারেরা কোনোরকম নিয়ম-নীতির তোয়াক্কা না করে নদীতে সহস্রাধিক অবৈধ ড্রেজার বসিয়ে বালু উত্তোলন করে আসছেন। এ বিষয়ে স্থানীয় প্রশাসনেরও কোনো নজরদারি নেই।

আবু বকর নামের ওই শ্রমিক গতকাল বেলা আড়াইটার দিকে একটি নৌকায় ড্রেজার দিয়ে বালু উত্তোলন করতে নদীতে নেমে ড্রেজারের পাইপ লাগাতে যান। এরপর তিনি পানিতে তলিয়ে যান। খবর পেয়ে দুর্গাপুর ফায়ার সার্ভিসের লোকজন খোঁজাখুঁজি করেও তাঁর সন্ধান না পেয়ে ময়মনসিংহ ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরি দলকে খবর দেন। গতকাল সন্ধ্যায় ডুবুরি দল এসে উদ্ধার তৎপরতা চালানো শুরু করে। আজ বেলা ১১টার দিকে এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত তাঁর সন্ধান পাওয়া যায়নি।

দুর্গাপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মিজানুর রহমান বলেন, নিখোঁজ বালুশ্রমিককে উদ্ধারে ডুবুরিরা চেষ্টা চালাচ্ছেন।

স্থানীয় বেশ কয়েকজন বাসিন্দা অভিযোগ করেন, ড্রেজার দিয়ে অপরিকল্পিতভাবে বালু উত্তোলন করার ফলে সোমেশ্বরী নদীর ওপর নির্মিত বিরিশিরি সেতুসহ শত শত বসতবাড়ি হুমকির মুখে পড়ছে। গত দুই মাসে চোরাবালিতে আটকে অন্তত চারজনের মৃত্যু হয়েছে।