ভাঙনের কবলে সড়ক, যোগাযোগ বন্ধ
জামালপুরের দেওয়ানগঞ্জ উপজেলায় ব্রহ্মপুত্র নদের ভাঙনে দেওয়ানগঞ্জ-খোলাবাড়ী সড়কের ৫০০ মিটার বিলীন হয়ে সরু হয়ে গেছে। দুই দিন ধরে এই সড়কে যোগাযোগ বন্ধ রয়েছে। এতে চরম দুর্ভোগের মধ্যে রয়েছে স্থানীয় লোকজন। তারা ভাঙন রোধে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানিয়েছে।
গত মঙ্গলবার সরেজমিনে দেখা গেছে, উপজেলার চিকাজানী ইউনিয়নের মণ্ডলবাজার এলাকায় দেওয়ানগঞ্জ-খোলাবাড়ী সড়কটি ভেঙে যাচ্ছে। সেখানে সড়কের পাঁচটি স্থান ভেঙে গেছে। প্রায় ৫০০ মিটার ভেঙে সরু হয়ে গেছে। সামান্য অংশ বাকি রয়েছে। সেটুকু বিলীন হলে পানি ঢুকে পড়বে লোকালয়ে। বিশাল আকারের ফাটল ধরে আছে কিছু অংশে। স্থানীয় বাসিন্দারা ভাঙা স্থানে গাছ ও কিছু বাঁশ দিয়ে ভাঙন রোধের চেষ্টা করছেন। তবে সড়ক ভেঙে যাওয়ায় সরাসরি যোগাযোগ বন্ধ রয়েছে।
মণ্ডলবাজার এলাকার বাসিন্দা মনজু মিয়া প্রথম আলোকে বলেন, বেশ কিছু দিন থেকেই এই স্থানে ধীরে ধীরে নদ ভাঙছিল। বর্তমান ভাঙন স্থান থেকে নদের দূরত্ব প্রায় ৫০০ মিটার দূরে ছিল। নদের পানি বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে ভাঙন চলছে। গত কয়েক দিন ব্যাপক আকারে ভাঙন শুরু হয়। গত দুই দিনে পুরো সড়কটি ভেঙে যায়। বর্তমানে দেওয়ানগঞ্জ সদরের সঙ্গে এ অঞ্চলের একমাত্র এই সড়কে যোগাযোগ বন্ধ হয়ে যাওয়ায় স্থানীয় লোকজন চরম দুর্ভোগের মধ্যে পড়েছে। লোকজন ভাঙন স্থান হেঁটে পার হয়ে অন্য পাশ থেকে ইজিবাইকে চলাচল করছেন। কিন্তু শত শত ব্যবসায়ী তাঁদের বিভিন্ন মালামাল পরিবহন করতে পারছেন না।
চর ডাকাতিয়া গ্রামের আবদুস ছাত্তার বলেন, ভাঙনের শুরুর দিকে ব্যবস্থা নেওয়া হলে পুরো সড়কটি বিলীন হতো না। পুরো সড়ক বিলীন হয়ে যাওয়ার পর ভাঙন প্রতিরোধের চেষ্টা চলছে। দ্রুত সময়ে মধ্যে ভাঙন রোধ করা না গেলে পাশের ফসলি জমি ও বসতঘর বিলীন হয়ে যাবে।
চিকাজানী ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান মমতাজ উদ্দিন বলেন, ‘পশ্চিম অঞ্চলের প্রায় সাত থেকে আটটি গ্রামের লোকজনের চলাচলের একমাত্র সড়ক এটি। সড়কটি রক্ষায় প্রশাসনের সঙ্গে অনেক যোগাযোগ করেছি। প্রথম দিকে কোনো ব্যবস্থাই নেওয়া হয়নি। এখন সড়কটি পুরোপুরি বিলীন হওয়ার পথে।’
পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) জামালপুরের নির্বাহী প্রকৌশলী আবু সাইদ প্রথম আলোকে বলেন, সেখানে প্রায় ২০০ মিটার অংশ ভেঙে গেছে। ভাঙনরোধে আজ (বুধবার) থেকে কাজ শুরু হয়েছে। নদের পানি কমলেই সড়কের অংশে পাইলিং করে দেওয়া হবে। যাতে সড়কটি আর ভাঙনের মুখে না পড়ে।