সাহেদের অন্যতম সহযোগী তরিকুল গ্রেপ্তার: র‍্যাব

মঙ্গলবার উত্তরায় রিজেন্ট হাসপাতালের উত্তরা শাখা ও চেয়ারম্যানের কার্যালয় বন্ধ করে দেয় র‍্যাব। ছবি: প্রথম আলো
মঙ্গলবার উত্তরায় রিজেন্ট হাসপাতালের উত্তরা শাখা ও চেয়ারম্যানের কার্যালয় বন্ধ করে দেয় র‍্যাব। ছবি: প্রথম আলো

রিজেন্ট হাসপাতালের অনিয়ম ও প্রতারণার ঘটনায় তরিকুল ইসলাম ওরফে তারেক শিবলী নামের এক ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করেছে র‍্যাব।

আজ বৃহস্পতিবার র‍্যাব জানায়, তরিকুলকে রাজধানীর নাখালপাড়া থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। তিনি রিজেন্ট গ্রুপের চেয়ারম্যান মো. সাহেদ ওরফে সাহেদ করিমের অন্যতম সহযোগী।

এই নিয়ে এ ঘটনায় রিজেন্ট গ্রুপ ও হাসপাতালের ৯ জন গ্রেপ্তার হলেন। তবে এ-সংক্রান্ত মামলার ১ নম্বর আসামি সাহেদ করিম এখনো ধরাছোঁয়ার বাইরে আছেন।

র‍্যাবের আইন ও গণমাধ্যম শাখার পরিচালক লে. কর্নেল আশিক বিল্লাহ বৃহস্পতিবার প্রথম আলোকে বলেন, সাহেদকে গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে। হাসপাতালে অভিযান চলার সময় তাঁর অবস্থান ঢাকাতে ছিল।

আশিক বিল্লাহ বলেন, ‘সাহেদের মতো অপরাধীকে গ্রেপ্তারে র‍্যাব জনগণের সম্পৃক্ততা প্রত্যাশা করে।’

র‍্যাবের একটি সূত্র বলেছে, সাহেদের অবস্থান মহাখালীর একটি বেসরকারি হাসপাতালে ছিল। ওই হাসপাতালে সাহেদের বাবা সিরাজুল করিম চিকিৎসাধীন ছিলেন।

রিজেন্ট গ্রুপের চেয়ারম্যান মো. সাহেদ ওরফে সাহেদ করিম। ছবি: সংগৃহীত
রিজেন্ট গ্রুপের চেয়ারম্যান মো. সাহেদ ওরফে সাহেদ করিম। ছবি: সংগৃহীত

সরকারের সঙ্গে চুক্তি ভঙ্গ করে করোনা রোগীদের কাছ থেকে বিল আদায় এবং করোনার ভুয়া প্রতিবেদন তৈরি করে মোটা অঙ্কের টাকা আদায়সহ বিভিন্ন অভিযোগে রিজেন্ট হাসপাতালের মিরপুর শাখা গতকাল বুধবার সিলগালা করে দেন র‍্যাবের ভ্রাম্যমাণ আদালত। এর আগে মঙ্গলবার একই অভিযোগে হাসপাতালটির উত্তরা শাখা ও চেয়ারম্যানের কার্যালয়ও বন্ধ করে দেয় র‍্যাব।

রিজেন্ট গ্রুপের চেয়ারম্যান মো. সাহেদকে প্রধান আসামি করে ১৭ জনের নাম উল্লেখ করে মামলা করেছে র‍্যাব। আসামিদের ১৫ জনই রিজেন্ট গ্রুপ ও হাসপাতালের কর্মকর্তা-কর্মচারী।

রিজেন্ট হাসপাতালের গ্রেপ্তার সাতজনকে পাঁচ দিনের রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করার অনুমতি দিয়েছেন আদালত। ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট (সিএমএম) আদালত গতকাল এই আদেশ দেন। এর আগে গ্রেপ্তার হওয়া আটজনকে আদালতে হাজির করা হয়। একজন আসামি কিশোর হওয়ায় তাকে রিমান্ডে নেওয়ার আবেদন করা হয়নি।