ময়মনসিংহে সুস্থ হয়েছেন ১ হাজার ৫৪৫ জন

করোনাভাইরাস। প্রতীকী ছবি
করোনাভাইরাস। প্রতীকী ছবি

ময়মনসিংহে এবার এক দিনে সুস্থ হয়েছেন ১৬৫ জন কোভিডে আক্রান্ত রোগী। একদিনে সুস্থ হওয়ার এটি নতুন রেকর্ড। এর আগে এক দিনে ১৫২ জন সুস্থ হয়েছেন। এ নিয়ে আজ শুক্রবার পর্যন্ত জেলায় সুস্থ হয়েছেন ১ হাজার ৫৪৫ জন। জেলায় সুস্থতার হার বৃদ্ধি পেয়ে ৭২ শতাংশে উন্নীত হয়েছে।

সিভিল সার্জন কার্যালয় সূত্রমতে, জেলায় ২ হাজার ১৪৭ জন করোনায় সংক্রমিত হওয়ার বিপরীতে সুস্থ হয়েছেন ১ হাজার ৫৪৫ জন। এর মধ্যে গতকাল বৃহষ্পতিবার ময়মনসিংহ সদরে ১১৪ জন, ভালুকায় ৩০, হালুয়াঘাট ও মুক্তাগাছায় ৫ জন করে, ত্রিশালে ৪, ঈশ্বরগঞ্জ ও ধোবাউড়ায় ২ জন করে, নান্দাইল, তারাকান্দা ও ফুলবাড়িয়ায় ১ করে মোট ১৬৫ জন সুস্থ হয়েছেন।

সুস্থ হওয়া ব্যক্তিদের মধ্যে ১ হাজার ১৯৫ জনের তথ্য লিপিবদ্ধ রয়েছে সিভিল সার্জন কার্যালয়ে। তথ্য বিশ্লেষণ করে দেখা যায়, সুস্থ হওয়া ব্যক্তিরা বেশির ভাগই হোম আইসোলেশনে থেকে সুস্থ হয়েছেন। নিজ বাড়িতে থেকে সুস্থ হয়েছেন ৯৫৯ জন এবং প্রাতিষ্ঠানিক আইসোলেশনে সুস্থ হয়েছেন ২৩৬ জন। সুস্থ ব্যক্তিদের মধ্যে ৮৫১ জন পুরুষ ও ৩৪৪ জন নারী। সুস্থদের তালিকায় ২৭৯ জন স্বাস্থ্যকর্মী রয়েছেন।

জেলায় সবচেয়ে বেশি সদর উপজেলায় করোনা রোগী শনাক্ত হয়েছেন। এই উপজেলায় ১ হাজার ২৪৯ জন শনাক্ত হয়েছেন, যা মোট শনাক্তের ৫৮ শতাংশ। তাঁদের বেশির ভাগই সিটি করপোরেশন এলাকার বাসিন্দা। সদর বাদে বাকি ১২টি উপজেলা মিলে ৮৯৮ জন শনাক্ত হয়েছেন।

সুস্থ হওয়ার তালিকাতেও এগিয়ে সদর উপজেলা। এখানে ৮০১ জন সুস্থ হয়েছেন, যা জেলার মোট সুস্থ হওয়া ব্যক্তিদের মধ্যে ৫২ শতাংশ। এর পরেই রয়েছে ভালুকায় ১৮৬ জন, ঈশ্বরগঞ্জে ৬৯, ত্রিশালে ৫৮, মুক্তাগাছায় ৫৫, ধোবাউড়ায় ৫৩, ফুলপুরে ৪৮ ও গফরগাঁওয়ে ৫০ জন। এ ছাড়াও নান্দাইলে ৩১ জন, ফুলবাড়িয়ায় ২৪, তারাকান্দায় ২২, হালুয়াঘাটে ৩২ ও গৌরিপুরে ১২ জন সুস্থ হয়েছেন।

সিভিল সার্জন এ বি এম মসিউল আলম বলেন, এখন পর্যন্ত ৫৬৮ জন আইসোলেশনে রয়েছেন। নির্দিষ্ট সময় পর ফলোআপ টেস্টে তাদের নমুনা ‘নেগেটিভ’ এলে তাদের করোনামুক্ত ঘোষণা করা হবে। এ পর্যন্ত জেলায় ২৪ জনের মৃত্যু হয়েছে।