ভার্চ্যুয়াল পদ্ধতিতে ৪০ কার্যদিবসে ৫৪ হাজার ৬৭৭ জনের জামিন

ফাইল ছবি
ফাইল ছবি

তথ্যপ্রযুক্তি ব্যবহার করে ভার্চ্যুয়াল উপস্থিতির মাধ্যমে সারা দেশের অধস্তন আদালতে গত ৪০ কার্যদিবসে ১ লাখ ৭ হাজার ৩৭টি জামিন আবেদনের শুনানি ও নিষ্পত্তি হয়। আর এই সময়ে বিভিন্ন মামলায় ৫৪ হাজার ৬৭৭ জন আসামির জামিন মঞ্জুর হয়েছে। এ হিসাব ১১ মে থেকে ৯ জুলাই পর্যন্ত সময়ের, যেখানে আদালতের কার্যদিবস ছিল ৪০ দিন।

সুপ্রিম কোর্টের মুখপাত্র মোহাম্মদ সাইফুর রহমান আজ রোববার এসব তথ্য জানান।

গত সপ্তাহের পাঁচ কার্যদিবসের তথ্য তুলে ধরে সাইফুর রহমান জানান, ৫ থেকে ৯ জুলাই পর্যন্ত সারা দেশের অধস্তন আদালতে ১১ হাজার ৫১৪টি জামিন আবেদনের শুনানি ও নিষ্পত্তি হয়, যেখানে ৪ হাজার ৯১৫ জন আসামির জামিন মঞ্জুর হয়েছে।

করোনাভাইরাসের সংক্রমণে উদ্ভূত প্রেক্ষাপটে ৯ মে আদালত কর্তৃক তথ্য-প্রযুক্তি ব্যবহার অধ্যাদেশ জারি করে সরকার। ফলে অডিও-ভিডিও বা অন্য কোনো ইলেকট্রনিক পদ্ধতিতে তথ্য-প্রযুক্তি ব্যবহারের মাধ্যমে শারীরিক উপস্থিতি ছাড়া ভার্চ্যুয়াল উপস্থিতির মাধ্যমে বিচারকাজ পরিচালনার সুযোগ তৈরি হয়। ৯ জুলাই অধ্যাদেশটি আইনে পরিণত হয়। অধ্যাদেশের বিধান অনুসারে ১০ মে সুপ্রিম কোর্ট প্রশাসন থেকে এ বিষয়ে প্র্যাকটিস নির্দেশনা (ব্যবহারিক দিকনির্দেশনা) প্রকাশ করা হয়। এরপর ১১ মে থেকে আদালতে ভার্চ্যুয়াল পদ্ধতিতে কার্যক্রম শুরু হয়। বিধান অনুসারে এরপর সময় সময় নতুন নির্দেশনা–সংবলিত প্র্যাকটিস (ব্যবহারিক) নির্দেশনা প্রকাশ করেন সুপ্রিম কোর্ট প্রশাসন। এর ধারাবাহিকতায় ‘চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট/ চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে ফৌজদারি মামলায় অভিযুক্ত ব্যক্তি/ ব্যক্তিদের আত্মসমর্পণ–সম্পর্কিত প্র্যাকটিস (ব্যবহারিক) নির্দেশনা বিষয়ে ৪ জুলাই একটি বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়। এর মধ্য দিয়ে ফৌজদারি মামলায় অভিযুক্ত ব্যক্তি বা ব্যক্তিদের স্বাস্থ্যবিধি মেনে আদালতে আত্মসমর্পণের সুযোগ তৈরি হয়।

গত সপ্তাহের পাঁচ কার্যদিবসের সুপ্রিম কোর্টের মুখপাত্র সাইফুর রহমান প্রথম আলোকে বলেন, ৫ থেকে ৯ জুলাই পর্যন্ত সময়ে দেশের চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট/ চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে ৬ হাজার ৫৮৮টি মামলায় আত্মসমর্পণ আবেদন শুনানি ও নিষ্পত্তি হয়, যেখানে ২৩ হাজার ৩৯৬ জন অভিযুক্তের জামিন মঞ্জুর হয়েছে।