শেরপুরে কোভিডে আক্রান্তদের মধ্যে চিকিৎসকসহ স্বাস্থ্যকর্মী ১৭ শতাংশ

প্রতীকী ছবি। ছবি: রয়টার্স
প্রতীকী ছবি। ছবি: রয়টার্স

শেরপুরে আরও একজন চিকিৎসকের শরীরে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ শনাক্ত হয়েছে। তিনি হলেন নকলা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসা কর্মকর্তা মো. আবদুল ওয়াদুদ। তিনিসহ মোট আক্রান্ত মানুষের সংখ্যা দাঁড়াল ২৯৭। আক্রান্ত ব্যক্তিদের মধ্যে ১০ জন চিকিৎসকসহ ৫১ জন স্বাস্থ্যকর্মী রয়েছেন। অর্থাৎ স্বাস্থ্য বিভাগের আক্রান্তের হার ১৭ শতাংশ।

মোট সুস্থ হয়েছেন ২৫২ জন। শনাক্ত হিসাবে সুস্থতার হার ৮৬ শতাংশ। মৃত্যু হয়েছে চারজনের। গতকাল শুক্রবার রাতে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজের পিসিআর ল্যাব থেকে পাঠানো প্রতিবেদনের বরাত দিয়ে জেলা সিভিল সার্জন এ কে এম আনওয়ারুর রউফ এসব তথ্য জানান।

স্বাস্থ্য বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, গতকাল রাতে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজের পরীক্ষাগারে শেরপুর জেলার ৮টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়। এর মধ্যে চিকিৎসা কর্মকর্তা আবদুল ওয়াদুদের পজিটিভ আসে। চিকিৎসক ওয়াদুদ জেলায় করোনাভাইরাসের সংক্রমণ দেখা দেওয়ার পর থেকেই নকলা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন করোনা রোগীদের চিকিৎসাসেবা দিয়ে আসছিলেন।

এর আগে জেলা সদর হাসপাতালের মেডিসিন বিশেষজ্ঞ আলমগীর মোস্তাক আহম্মদ, সার্জারি বিশেষজ্ঞ মো. রবিউল করিম ও জেলা বিএমএর সভাপতি এম এ বারেক আক্রান্ত হয়েছিলেন। তাঁরা চিকিৎসা নিয়ে সুস্থ হয়ে ওঠেন।

সিভিল সার্জন আনওয়ারুর রউফ বলেন, শেরপুরে গত ৫ এপ্রিল প্রথম দুই নারীর শরীরে করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়। এরপর প্রায় পৌনে চার মাসে জেলায় ২৯৭ জনের শরীরে এই ভাইরাস শনাক্ত হয়েছে।

জেলায় মোট আক্রান্ত ব্যক্তিদের মধ্যে শেরপুর সদরে ১৩০ জন, নকলায় ৫৫, নালিতাবাড়ীতে ৬০, ঝিনাইগাতীতে ২৭ ও শ্রীবরদী উপজেলায় ২৫ জন রয়েছেন।