তবু আদরের শিশুরা হারাচ্ছে জলে

গাইবান্ধা সদর উপজেলার রামচন্দ্রপুর ইউনিয়নের উত্তর হরিণসিংহা গ্রাম। সেখানে মা–বাবার সঙ্গে ঈদের ছুটিতে নানার বাড়িতে বেড়াতে এসেছিল পাঁচ বছরের আবিদ। ৭ আগস্ট শুক্রবার দুপুরে সমবয়সীদের সঙ্গে খেলার সময় হঠাৎ করে সবার অজান্তে বাড়ির পাশের পুকুরে ডুবে যায় সে।

পানি থেকে ডুবন্ত মানুষকে উদ্ধারের কাজে অভিজ্ঞ মেরিও ভিটটোনি এবং ড. ফ্রেন্সিস্কো পিয়ার মতে, ‘সাঁতার না জানা ডুবন্ত ব্যক্তি সাহায্যের জন্য চিৎকার করতে বা কথা বলতে পারে না। হাত ওপরে তুলতে পারে না। বড়জোর ২০ থেকে ৬০ সেকেন্ড পর্যন্ত শুধু শ্বাস নেওয়ার জন্য কোনোমতে মাথাটা ভাসিয়ে রাখতে পারে’ (ইউএস কোস্টগার্ড জার্নাল)। অর্থাৎ নিমেষেই সব শেষ হয়ে যায়। আবিদের ক্ষেত্রেও তাই ঘটে। সাথিরা টের পাওয়ার আগেই সে তলিয়ে যায় পুকুরে। পরে উদ্ধার করে হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসক শিশু আবিদকে মৃত ঘোষণা করেন।

শিশু আবিদ একা নয়, ঈদের সময় (গত ২৯ জুলাই থেকে ৯ আগস্ট পর্যন্ত) ১২ দিনে পানিতে ডুবে মারা গেছে ৬৯টি শিশু (ছেলেশিশু ৪২টি এবং মেয়েশিশু ২৭টি)। এই হিসাব শুধু সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত তথ্য অনুযায়ী পাওয়া। সব শিশুর মৃত্যু সংবাদ হয় না। বলা হয়, দেশে গড়ে দিনে ৪০ জন শিশু পানিতে ডুবে মারা যায়। জনসংখ্যার অনুপাতে পানিতে ডুবে শিশু মৃত্যুর হার বাংলাদেশেই বেশি।

ঈদের সময় মারা যাওয়া ৬৯টি শিশুর মধ্যে আবার ৩৭ জনের বয়স পাঁচ বছরের কম। যদিও বলা হয়, পাঁচ বছরের কম বয়সী শিশুদের মৃত্যুর দ্বিতীয় প্রধান কারণ পানিতে ডোবা আর প্রথম কারণ নিউমোনিয়া। কিন্তু অনেকেই মনে করেন, সবচেয়ে বেশি শিশু, বিশেষ করে পাঁচ বছরে কম বয়স্ক শিশু মারা যায় পানিতে ডুবে। সব মৃত্যুর ঘটনা গণমাধ্যমে আসে না। পুলিশের খাতায়ও এদের হিসাব থাকে না। ২০১৭ সালে ২৬৮টি দুর্ঘটনায় ডুবে যাওয়া ৩৬৪ জনের ওপর একটা সমীক্ষা চালিয়ে বেসরকারি সংস্থা দুর্যোগ ফোরাম দেখেছে, এদের মধ্যে ২৪৪ জনই হচ্ছে অপ্রাপ্তবয়স্ক আর মোট মৃত্যুর প্রায় ৫১ শতাংশের (১৮৬ জন) বয়স আট বছরের নিচে।

যুক্তরাষ্ট্রের জনস হপকিন্স বিশ্ববিদ্যালয় বাংলাদেশের তিন সহযোগী প্রতিষ্ঠানকে সঙ্গে নিয়ে চালানো একটি গবেষণার ফলাফল প্রকাশ করেছিল ২০১৭ সালের মে মাসে। আগের বছরের (২০১৬ সাল) ঘটনাপঞ্জিভিত্তিক এই গবেষণা অনুযায়ী, প্রতিদিন নানা দুর্ঘটনায় গড়ে ১২৫টি শিশু মারা যাচ্ছে। এতে দেখা যায়, নানা দুর্ঘটনায় মারা যাওয়া শিশুদের মধ্যে প্রায় ২৪ শতাংশই মারা যায় পানিতে ডুবে। ওই গবেষণা অনুযায়ী, বাংলাদেশে এখন প্রতিবছর প্রায় ১৫ হাজার শিশু পানিতে ডুবে মারা যায়। এটা পাঁচ বছরের কম বয়সী মোট শিশুমৃত্যুর প্রায় ৪৩ শতাংশ। নানা প্রতিষেধক আবিষ্কার আর টিকাদান কর্মসূচির সফল বাস্তবায়নের জন্য অসুখ-বিসুখে শিশুমৃত্যুর হার উল্লেখযোগ্যভাবে কমে গেছে ঠিকই, কিন্তু সে জায়গা এখন দখল করছে নানা রকমের দুর্ঘটনা, বিশেষ করে পানিতে ডুবে শিশুমৃত্যু। সব শিশু যে নদীতে বা পুকুরে ডুবে মারা যাচ্ছে, তা কিন্তু নয়।

পাঠকের নিশ্চয় মনে আছে, গত বছরের অক্টোবরে কুয়ায় আটকে পড়া দুই বছরের এক শিশুকে উদ্ধারের খবর টেলিভিশনে সরাসরি সম্প্রচার করা হচ্ছিল। সেই ঘটনা দেখতে ব্যস্ত ছিলেন এক দম্পতি। এমন সময় তাঁদেরই সংসারে ঘটে যায় এক মর্মান্তিক দুর্ঘটনা। টিভিতে ডুবে থাকা মা–বাবার অলক্ষ্যে তিন বছরের শিশু বাড়িতে ধরে রাখা পানির গামলায় ডুবে মারা যায়। অসতর্ক–অবহেলার এমন অনেক উদাহরণ আছে। আবার অনেক নিরুপায় মায়ের সতর্কতার করুণ কাহিনিও আমরা জেনেছি। ধানের চাতালে কাজ করার সময় এক মা তাঁর ছোট্ট শিশুকে শরীরের সঙ্গে বেঁধে রাখার ছবি বছর কয়েক আগে ফেসবুকে ভাইরাল হয়েছিল। ছবিটি ছিল নিরুপায় মায়ের এক জুতসই সমাধান। ঝিনাইদহের এক মা তাঁর প্রতিবন্ধী শিশুকে প্রতিদিন শিকলে বেঁধে রেখে কাজে যেতেন। সে করুণ ছবিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের বদৌলতে আমরা দেখেছি।

কখন ডুবে মারা যায় শিশু

প্রায় সারা বছরই শিশুর ডুবে মারা যাওয়ার খবর আসে। তবে বড় ছুটি, বর্ষা, বন্যা, নৌভ্রমণ, লঞ্চ বা নৌকাডুবিতে শিশুমৃত্যুর ঘটনা বেশি ঘটে।

অনেক খবরে দেখা যায়, একটি নয়, শিশু পানিতে ডুবে মারা যাচ্ছে জোড়ায় জোড়ায়, কখনোবা তিন বা চারজন একসঙ্গে। যেমন কুষ্টিয়া সদরের আইচরায় দুই আপন চাচাতো ভাইবোন রাবেয়া আর নাফিজ বাড়ির ঠিক পাশেই পুকুরের নালার মধ্যে পড়ে মারা যায়। ধারণা করা যায়, দুজন একসঙ্গে খেলতে খেলতে কেউ একজন নালায় পড়ে গেলে আরেকজন তাকে উদ্ধারে এগিয়ে গেলে দুজনেরই মৃত্যু হয়। আমরা দেখেছি টাঙ্গাইলে দুই ভাইবোন ঝুমু (১০) আর শুভ (৭) ভেলা নিয়ে বাড়ির পাশের বিলে শাপলা তুলতে গিয়ে আর ফিরে আসেনি। প্রথমে শুভ পানিতে পড়ে গেলে ঝুমু তাকে উদ্ধারের জন্য পানিতে লাফিয়ে পড়লে দুজনেই ডুবে মারা যায়।

কোন শিশু কী কারণে ডুবে মরছে

নানা পর্যবেক্ষণ, তথ্য বিশ্লেষণ ও পেশাদার গবেষণা প্রতিষ্ঠানের জরিপ থেকে যেসব ঝুঁকি থেকে শিশুদের পানিতে ডোবার ঘটনা ঘটেই চলেছে, তার একটা মোটা দাগের সারসংক্ষেপ এভাবে করা যায়:

১. গরিব পরিবারে শিশুরাই বেশি মারা যায়।

২. লোকালয়ের প্রয়োজনে কৃষি, মাছ চাষ, গোসল ইত্যাদির জন্য বসতবাড়ির কাছাকাছি ছোট–বড় জলের আধার পুকুর, ডোবা, জলাশয় ইত্যাদির চারপাশ খোলা থাকে। ফলে শিশুরা চট করে সেখানে চলে যায় আর দুর্ঘটনার শিকার হয় (৮০ শতাংশ দুর্ঘটনা সেসব পুকুরেই হয়, যেগুলো বাড়ির সীমানা বা ঘরের ২০ মিটারের মধ্যে)।

৩. শিশুর প্রতি সারা দিনের মধ্যে নজরদারি সবচেয়ে শিথিল থাকে মা যখন রান্নার কাজে ব্যস্ত হয়ে পড়েন, বড় ভাইবোনেরা স্কুলে থাকে আর বাবারা থাকেন মাঠে, বাজারে, হাটে বা বাইরের কাজে। দেখা গেছে, সকাল দশটা–এগারোটা থেকে বেলা একটা–দুইটা পর্যন্ত সময়ের মধ্যে ৬০ শতাংশ শিশু পানিতে ডোবার দুর্ঘটনা ঘটে থাকে।

ওপরের ২ ও ৩ নম্বর কারণ মূলত পাঁচ বছরের কম বয়সী শিশুদের জন্য বিশেষভাবে প্রযোজ্য। কিন্তু সাঁতার জানা বয়সী বড় শিশুরা কেন ডুবে মারা যায়?

১. বড় শিশুদের ডুবে যাওয়ার একটা বড় কারণ হচ্ছে ডুবন্ত প্রায় অন্য শিশুকে বাঁচাতে যাওয়া। নিজে সাঁতার জানা আর অন্যকে ডুবে যাওয়া থেকে বাঁচানো দুটো দুই রকমের দক্ষতা।

২. পানি থেকে উদ্ধারের সঙ্গে সঙ্গে অনেক সময় শিশুকে বাঁচানো সম্ভব হতে পারে। কিন্তু কীভাবে পানি থেকে উঠিয়ে শ্বাসপ্রশ্বাস চালুর ব্যবস্থা করতে হবে—এই তাৎক্ষণিক প্রাথমিক চিকিৎসাজ্ঞান কমিউনিটি স্বাস্থ্যকর্মী এমনকি উপজেলা পর্যায়ের স্বাস্থ্যকর্মী বা চিকিৎসকদের অনেকেরই নেই।

৩. তাৎক্ষণিক প্রাথমিক চিকিৎসাজ্ঞান না থাকলে কী হবে, ভুল জানার কোনো অভাবও নেই। যেমন উদ্ধার করা শিশুকে তার মাকে ছুঁতে না দেওয়া, শিশুকে মাথায় তুলে চারদিকে ঘোরানো।

৪. পানি থেকে উদ্ধার করে নিয়ে আসা শিশুকে হাসপাতাল পর্যন্ত নিতে প্রথমে কী করতে হবে, সে সম্পর্কে কোনো সুনির্দিষ্ট প্রটোকল সম্পর্কে কারও কিছু জানা নেই। উদ্ধার পাওয়া শিশুর প্রাথমিক সাড়া সম্পর্কে প্রশিক্ষিত স্বাস্থ্যকর্মী বা চিকিৎসক নেই বললেই চলে।

বেঁচে যাওয়া শিশুদের জন্য কী ব্যবস্থা

যত শিশু ডুবে মারা যায়, তার প্রায় চার গুণ শিশু ডুবতে ডুবতে বেঁচে যায়। যারা বেঁচে যায়, তার কোনো সংবাদমূল্য নেই। কাজেই তাদের খবর কারও কাছে পৌঁছায় না। সবার অলক্ষ্যে এসব শিশু পিছিয়ে পড়তে থাকে সমবয়স্ক শিশুদের থেকে। দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে এমন যত শিশুর সঙ্গে দেখা হয়েছে, তাদের কমবেশি সবাইকে কোনো না কোনো শারীরিক বা মানসিক সমস্যার শিকার বলে মনে হয়েছে। স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা মনে করেন, খুব অল্প সময়ের জন্য হলেও ডুবন্ত অবস্থায় শিশুর মস্তিষ্কে অক্সিজেন চলাচল বন্ধ থাকলে তার কোনো না কোনো প্রভাব শিশুর স্বাভাবিক বিকাশকে প্রভাবিত করতে পারে। দুর্ভাগ্যজনক হলেও এ বিষয়ে আমাদের কোনো গবেষণা বা পদক্ষেপ–আক্ষেপ কোনোটাই নেই।

উপায় কী হতে পারে

দক্ষিণ এশিয়ার এই অঞ্চলে পাঁচ বছরের কম বয়স্ক শিশুদের পানিতে ডুবে মৃত্যুর হার সবচেয়ে কম ভারতের কেরালা রাজ্যে। সেখানে সরকার স্কুলে যাওয়ার বয়স না হওয়া পর্যন্ত শিশুদের সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত দেখাশোনার একটা সামাজিক ব্যবস্থাপনা গড়ে তুলেছিল। ‘অঙ্গনবাড়ি’ নামের এই ব্যবস্থাপনা গ্রামের মায়েদের সম্পৃক্ত করে গড়ে তোলা হয়। গ্রামের মায়েরাই অঙ্গনবাড়ি কেন্দ্রের দেখাশোনা করেন ভাগাভাগি করে। ৩০ পরিবারের একটি অঙ্গনবাড়িতে গড়ে এক দিন এক মায়ের দায়িত্ব পড়ে। কেরালা ছাড়িয়ে এখন এই ব্যবস্থা ভারতের বিভিন্ন রাজ্যে ছড়িয়ে পড়ছে।

বাংলাদেশে একাধিক বেসরকারি সংস্থা পরীক্ষামূলকভাবে কোথাও ‘আঁচল,’ কোথাও ‘আপন ঘর’ ইত্যাদি নামে এই ব্যবস্থা চালু করার চেষ্টা করছে। তবে স্থানীয় সরকারব্যবস্থার সঙ্গে যুক্ত করে সমাজের সবার অংশগ্রহণে এটার একটা স্থায়ী রূপ দিতে না পারলে এটা বেশি দূর এগিয়ে নিয়ে যাওয়া যাবে না।

শিশুদের পানিতে ডোবা থেকে রক্ষার উপায় নিয়ে কিছু মডেলও তৈরি করা হয়েছে। জুতা আবিষ্কার আর চাকা আবিষ্কার মার্কা এসব গবেষণা কেউ প্লাস্টিক কোম্পানিকে দিয়ে পাঁচ বছরের কম বয়সী শিশুদের বাড়িতে আটকে রাখার নানা কলকবজা (নাম দিয়েছিলেন প্লেপ্যান) বানিয়ে পরীক্ষা করেছেন, কেউ শিশুযত্ন কেন্দ্র খুলে বসেছেন। গত বছর দেশ–বিদেশের প্রায় সোয়া ডজন গবেষককে দিয়ে মডেলগুলোর মূল্যায়ন করা হয়। এ বছরের ২০ মে ১২ পৃষ্ঠার মূল্যায়ন প্রতিবেদন অনলাইনে প্রকাশ করা হয়েছে। শেষ পর্যন্ত তারা কেরালা মডেলের পক্ষে কথা বলেছেন। কেরালা মডেল বা অঙ্গনবাড়ি ব্যবস্থার প্রধান সৌন্দর্য হচ্ছে স্থানীয় সরকার অর্থাৎ গ্রাম পঞ্চায়েতকে সার্বিকভাবে সম্পৃক্ত করে শিশুদের মায়েদের অর্থাৎ কমিউনিটিকে পরিচালনার আসনে রাখা।

দুঃখজনক হলেও সত্যি, দাতাদের চাপাচাপিতেই হোক আর না বুঝেই হোক অথবা কথিত প্রকল্পের চকচকে গাড়ি আর সহজ খরচের অবাধ অধিকার পাওয়ার জন্যই হোক আমরা আবার সেই প্রকল্পের ফাঁদে পড়তে যাচ্ছি। মহিলা ও শিশুবিষয়ক মন্ত্রণালয় ইতিমধ্যে পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের প্রাথমিক অনুমোদনের জন্য সারসংক্ষেপের সংশোধিত প্রস্তাব তৈরি করেছে। প্রস্তাব অনুযায়ী, শুরুতে ১৬ জেলায় পাঁচ বছরের কম বয়সী শিশুদের জন্য ৮ হাজার সমাজভিত্তিক সমন্বিত শিশুযত্ন কেন্দ্র সৃষ্টি করবে। সেখানে এক থেকে পাঁচ বছর বয়সী দুই লাখ শিশুকে সকাল নয়টা থেকে বেলা একটা পর্যন্ত নিরাপত্তা দেওয়া হবে। সাঁতার শেখানো মহিলা ক্লাব তৈরির মতো নানা উপকথা এই পরিকল্পনায় রাখা হয়েছে। বলা হয়েছে, টাকা দেবে নানা দাতা সংস্থা।

কোনো বিবেচনাতেই শিশু সুরক্ষার কাজটিতে স্থানীয় সরকার আর নির্বাচিত নারী প্রতিনিধিদের পাশ কাটিয়ে কোনো একটি মন্ত্রণালয়কে দিয়ে পরিচালনা করলে কাজে আসবে না। প্রস্তাবে যেসব কর্মকাণ্ড আর প্রশাসনিক খুঁটিনাটির কথা বলা হয়েছে, সেগুলো মায়েদের সঙ্গে বসে ঠিক করতে হবে। পরিসংখ্যান যখন বলছে সাপ্তাহিক ছুটি আর বড় ছুটিতে বেশি দুর্ঘটনা ঘটে, তখন প্রস্তাবে বলা হচ্ছে, সরকারি ছুটি মেনে ‘শিশুযত্ন কেন্দ্র’ চলবে। প্রস্তাব করেছে সপ্তাহে ছয় দিনের যত্ন। এ রকম প্রচুর অবিবেচনাপ্রসূত প্রস্তাব আছে সারসংক্ষেপে। তাই বিষয়টি নিয়ে জন–আলোচনা হওয়া উচিত।

সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হলো কেউ ডুবলেও তাকে উদ্ধারের পরপর তাদের যদি শ্বাসপ্রশ্বাস চালুর প্রাথমিক জ্ঞান না থাকে, তাহলে অনেক শিশুকে পরেও বাঁচানো যাবে না। ভাবতে হবে বেঁচে যাওয়া শিশুদের নিয়ে, তাদের বিকাশের পথ আর পন্থা নিয়েও।

গওহার নঈম ওয়ারা: [email protected]