চিরনিদ্রায় শায়িত বশির আহমেদ

বশির আহমেদ
বশির আহমেদ

চিরনিদ্রায় শায়িত হলেন দেশের বরেণ্য সংগীতশিল্পী, সুরকার ও সংগীত পরিচালক বশির আহমেদ। আজ রোববার বেলা আড়াইটায় রাজধানীর মোহাম্মদপুরে ঈদগাহ গোরস্থানে তাঁকে দাফন করা হয়েছে। 

এ প্রসঙ্গে বশির আহমেদের মেয়ের জামাই মাসুদ ইকবাল জানিয়েছেন, বাদ জোহর জহুরী মহল্লা জামে মসজিদে তাঁর জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। এরপর বেলা আড়াইটায় ঈদগাহ গোরস্থানে তাঁর দাফন সম্পন্ন হয়েছে।

দীর্ঘদিন ধরে হৃদরোগ ও ক্যানসারে ভুগছিলেন বশির আহমেদ। গত কয়েক দিন ধরে তাঁর স্বাস্থ্যের মারাত্মক অবনতি ঘটে। গতকাল শনিবার রাত সাড়ে ১০টার দিকে মোহাম্মদপুরে নিজ বাসায় তিনি শেষনিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। তাঁর বয়স হয়েছিল ৭৫ বছর। বশির আহমেদের স্ত্রী মীনা বশির, ছেলে রাজা বশির ও মেয়ে হুমায়রা বশিরও গানের সঙ্গে যুক্ত।

দিল্লির সওদাগর পরিবারের সন্তান বশির আহমেদ ১৯৩৯ সালের ১৯ নভেম্বর কলকাতার খিদিরপুরে জন্মগ্রহণ করেন। তাঁর বাবার নাম নাসির আহমেদ। ষাটের দশকের শুরুতে তিনি সপরিবারে ঢাকায় আসেন। ঢাকায় আসার আগেই উর্দু চলচ্চিত্রে গান গাওয়া শুরু করেন তিনি। ওই সময়ই শিল্পী হিসেবে তাঁর সুনাম ছড়িয়ে পড়ে। রাগ সংগীতেও দখল ছিল তাঁর। ওস্তাদ বড়ে গোলাম আলী খাঁর কাছে তালিম নেন তিনি। ‘তালাশ’ চলচ্চিত্রে তিনি বিখ্যাত শিল্পী তালাত মাহমুদের সঙ্গে কাজ করেন। রেডিও পাকিস্তানেও গান গেয়েছেন বশির আহমেদ।

বশির আহমেদ ছিলেন একাধারে সংগীতশিল্পী, সুরকার, গীতিকার ও সংগীত পরিচালক। একুশে পদক, জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারসহ অনেক পুরস্কার ও সম্মাননা পেয়েছেন গুণী এ শিল্পী। তাঁর জনপ্রিয় গানের মধ্যে রয়েছে: ‘অনেক সাধের ময়না আমার’, ‘আমাকে পোড়াতে যদি এত লাগে ভালো’, ‘যারে যাবি যদি যা/পিঞ্জর খুলে দিয়েছি’, ‘ডেকো না আমারে তুমি/কাছে ডেকো না’।