সাংসদ নাসিম ওসমান মারা গেছেন

এ কে এম নাসিম ওসমান
এ কে এম নাসিম ওসমান

নারায়ণগঞ্জ-৫ (শহর-বন্দর) আসনের সাংসদ ও জাতীয় পার্টির (জাপা) সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য এ কে এম নাসিম ওসমান ইন্তেকাল করেছেন (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)। গতকাল বুধবার ভোর সোয়া চারটার দিকে ভারতের দেরাদুনের একটি হাসপাতালে মারা যান তিনি। তাঁর বয়স হয়েছিল ৬৫ বছর।

প্রয়াত এই সাংসদের ছোট ভাই নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনের আওয়ামী লীগের সাংসদ এ কে এম শামীম ওসমান। তিনি বড় ভাইয়ের মৃত্যুর খবর গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেন। নাসিম ওসমান স্ত্রী, এক ছেলে, দুই মেয়েসহ অসংখ্য আত্মীয়স্বজন ও শুভানুধ্যায়ী রেখে গেছেন।

নাসিম ওসমানের মৃত্যুতে রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, জাতীয় সংসদের স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরী ও জাপার চেয়ারম্যান এইচ এম এরশাদ গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করেছেন।

পারিবারিক সূত্র জানায়, চিকিৎসার জন্য গত ১৮ এপ্রিল নাসিম ওসমান ভারতে যান। দিল্লিতে স্বাস্থ্য পরীক্ষার পর তিনি দেরাদুন যান। সেখানে একটি আবাসিক হোটেলে অবস্থানকালে আকস্মিক হূদেরাগে আক্রান্ত হলে দ্রুত তাঁকে হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানে তিনি মারা যান। তাঁর মরদেহ দেশে আনার প্রক্রিয়া চলছে। দেশে আনার পর তাঁর প্রথম জানাজা সংসদ ভবন প্রাঙ্গণে অনুষ্ঠিত হবে। এরপর নারায়ণগঞ্জে দ্বিতীয় জানাজা শেষে স্থানীয় মাসদাইর করবস্থানে তাঁর বাবা এ কে এম শামসুজ্জোহার কবরের পাশে দাফন করা হবে। শামসুজ্জোহা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ঘনিষ্ঠ সহচর ও মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক ছিলেন।

নাসিম ওসমান জাপার প্রার্থী হিসেবে চারবার (১৯৮৬, ১৯৮৮, ২০০৮ ও ২০১৪ সালে) শহর-বন্দর আসন থেকে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। তাঁর বাবা এ কে এম সামসুজ্জোহা ১৯৭০ ও ১৯৭৩ সালে এ আসনের সাংসদ ছিলেন। তাঁর আরেক ভাই এ কে এম সেলিম ওসমান বাংলাদেশ নিটওয়্যার ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যান্ড এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনের (বিকেএমইএ) সভাপতি।

গতকাল সকালে নাসিম ওসমানের মৃত্যুর খবর ছড়িয়ে পড়লে নারায়ণগঞ্জ, বিশেষ করে জাতীয় পার্টির নেতা-কর্মীদের মধ্যে শোকের ছায়া নেমে আসে। জাপার কার্যালয়সহ শহরের বিভিন্ন স্থাপনায় কালো পতাকা উত্তোলন এবং কোরআন তিলাওয়াত করা হয়।

জাপার চেয়ারম্যান এইচ এম এরশাদ নাসিম ওসমানের মৃত্যুর খবর শুনে তাঁর গুলশানের বাসায় যান। তিনি পরিবারের সদস্যদের সান্ত্বনা দেন। এ ছাড়া পৃথক বিবৃতিতে সংসদ উপনেতা সৈয়দা সাজেদা চৌধুরী, আইনমন্ত্রী আনিসুল হক, তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু, জাতীয় শ্রমিক লীগ, রেলওয়ে শ্রমিক লীগ, আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগের নেতারা শোক প্রকাশ করেছেন।