চলে গেলেন চলচ্চিত্র নির্মাতা বেলাল আহমেদ

বেলাল আহমেদ
বেলাল আহমেদ

দেশের প্রখ্যাত চলচ্চিত্র নির্মাতা বেলাল আহমেদ আর নেই। আজ সকালে মৃত্যুবরণ করেন তিনি (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাহি রাজিউন)। তাঁর বয়স হয়েছিল ৬৬ বছর। বেলাল আহমেদের মৃত্যুর খবরটি প্রথম আলোকে নিশ্চিত করেছেন বাংলাদেশ চলচ্চিত্র পরিচালক সমিতির মহাসচিব মুশফিকুর রহমান গুলজার। বেলাল আহমেদ এক পুত্রসন্তানসহ অসংখ্য ভক্ত ও গুণগ্রাহী রেখে গেছেন।

তিন দিন ধরে বুকে ব্যথা অনুভব করছিলেন নির্মাতা বেলাল আহমেদ। আজ সোমবার সকালে ব্যথাটা বেড়ে যায়। এরপর তাঁকে হাতিরপুলের বাসা থেকে স্কয়ার হাসপাতালে নেওয়া হয়। হাসপাতালে নেওয়ার পর তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন কর্তব্যরত চিকিত্সক। চিকিত্সক এও জানান, পথেই শেষনিঃশ্বাস ত্যাগ করেছেন বেলাল আহমেদ।

পরিচালক সমিতির মহাসচিব গুলজার বলেন, ‘হাতিরপুলে জানাজা শেষে বাদ আসর বেলাল আহমেদের মরদেহ এফডিসিতে নেওয়া হবে। এফডিসিতে জানাজা শেষে বনানী কবরস্থানে বাবার কবরে তাঁকে সমাহিত করা হবে।’

১৯৪৮ সালের ২৮ নভেম্বর জামালপুরে জন্মগ্রহণ করেন বেলাল আহমেদ। ষাটের দশকে প্রথমে ‘বন্ধন’ ছবিতে শিশুশিল্পী হিসেবে অভিনয় করেন তিনি। ১৯৬৭ সালে পরিচালক নজরুল ইসলামের সঙ্গে ‘স্বরলিপি’ ছবিতে সহকারী পরিচালক হিসেবে কাজ শুরু করেন। এর পর আরও অনেকের সঙ্গে সহকারী হিসেবে কাজ করেন বেলাল আহমেদ। ১৯৭৯ সালে ‘নাগরদোলা’ চলচ্চিত্রটি পরিচালনার মধ্য দিয়ে পূর্ণাঙ্গ পরিচালক হিসেবে আত্মপ্রকাশ করেন বেলাল আহমেদ। ব্যবসায়িকভাবে ছবিটি সফলতা লাভ করলেও বেশ কয়েক বছর নির্মাণের কাজ থেকে নিজেকে বিরত রাখেন তিনি। এরপর ১৯৮৪ সালে ‘নয়নের আলো’ সিনেমাটি মুক্তির পর নিয়মিত চলচ্চিত্র নির্মাণ শুরু করেন। তাঁর নির্মিত উল্লেখযোগ্য সিনেমা হচ্ছে ‘ঘর আমার ঘর’, ‘আমানত’, ‘গঙ্গা যমুনা’, ‘সাক্ষী প্রমাণ’ , ‘ক্রিমিনাল’, ‘নন্দিত নরকে’ ও ‘অনিশ্চিত যাত্রা’।

বেলাল আহমেদ তাঁর দীর্ঘ চলচ্চিত্রজীবনে মোট নয়টি চলচ্চিত্র নির্মাণ করেছেন। সর্বশেষ তিনি ইমপ্রেস টেলিফিল্মের ব্যানারে নির্মিতব্য অনুদানের ছবি ‘ভালোবাসবোই তো’ ছবির কাজ করছিলেন। ২৫ আগস্ট থেকে ছবিটির বাকি অংশের শুটিং শুরু হওয়ার কথা ছিল। অসম প্রেমের গল্প নিয়ে নির্মিতব্য ছবিটির অভিনয়শিল্পীরা হলেন মৌসুমী ও নিলয়।