বেবী মওদুদ মানবতার একনিষ্ঠ সাধক

বেবী মওদুদ ছিলেন নির্মোহ, নিরহংকার এবং সাদা মনের মানুষ। সারা জীবন তিনি মানবতার একনিষ্ঠ সাধনা করেছেন। এভাবেই প্রয়াত সাংবাদিক ও সাবেক সাংসদ বেবী মওদুদের স্মৃতিচারণা করেছেন তাঁর বন্ধু, সহকর্মী ও সংস্কৃতিকর্মীরা।
গতকাল সোমবার রাজধানীর বাংলা একাডেমিতে আয়োজিত স্মরণসভায় মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন নারী আন্দোলনের নেত্রী অধ্যাপক মালেকা বেগম। তবে তিনি উপস্থিত না থাকায় তাঁর পক্ষে প্রবন্ধ পাঠ করেন বাংলা একাডেমির সহপরিচালক সায়রা হাবিব।
বিকেল সাড়ে চারটায় এক মিনিট নীরবতা পালনের মধ্য দিয়ে অনুষ্ঠানের শুরু হয়। এরপর পরিবেশন করা হয় রবীন্দ্রসংগীত ‘বড়ো বেদনার মতো বেজেছ তুমি হে আমার প্রাণে’।
অনুষ্ঠানের মূল প্রবন্ধে বেবী মওদুদের জীবন, সাধনা ও জীবনদর্শন নিয়ে আলোচনা করা হয়। এ ছাড়া তাঁর শিক্ষার্থী জীবন থেকে শুরু করে ছাত্র ইউনিয়নের কর্মী হিসেবে তাঁর ভূমিকা, সাংবাদিক ও নারী আন্দোলনের কর্মী হিসেবে তাঁর কাজের আলোচনা তুলে ধরা হয়। আলোচনায় উঠে আসে বাংলাদেশের স্বাধীনতাযুদ্ধে তাঁর অবদানের নানান উদাহরণ।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন সংস্কৃতিমন্ত্রী আসাদুজ্জামান নূর। তিনি বলেন, কাজের জন্য বেবী মওদুদের উৎসাহের কোনো শেষ ছিল না। যে কাজে তাঁর ভূমিকা রাখা সম্ভব মনে করেছেন, সেখানেই তিনি ছুটে গেছেন।
অধ্যাপক মুনতাসীর মামুন বেবী মওদুদের সাহিত্যকর্মের জন্য তাঁকে বাংলা একাডেমি পুরস্কার দেওয়ার আহ্বান জানান। এ ছাড়া তাঁর জীবনী প্রকাশ ও তাঁর লেখা নিয়ে রচনাবলি প্রকাশেরও তাগিদ দেন তিনি। পরে সভাপতির বক্তব্যে বাংলা একাডেমির মহাপরিচালক শামসুজ্জামান খান জানান, ইতিমধ্যেই এ জন্য পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে।
অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন বাংলাদেশ মহিলা পরিষদের সভানেত্রী আয়শা খানম, সংস্কৃতিসচিব রণজিৎ কুমার বিশ্বাস, বিশিষ্ট আলোকচিত্র সাংবাদিক পাভেল রহমান ও বেবী মওদুদের ছেলে রবিউল হাসান।