জাতীয় অধ্যাপক সালাহ্উদ্দীন আহমদ আর নেই

জাতীয় অধ্যাপক সালাহ্‌উদ্দীন আহমদ। ছবি: খালেদ সরকার
জাতীয় অধ্যাপক সালাহ্‌উদ্দীন আহমদ। ছবি: খালেদ সরকার

জাতীয় অধ্যাপক সালাহ্‌উদ্দীন আহমদ আর নেই (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাহি রাজিউন)।
আজ রোববার ভোর সাড়ে ছয়টার দিকে বনানীর নিজ বাসভবনে ইন্তেকাল করেন এই ইতিহাসবিদ। পরিবারের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, তাঁর বয়স হয়েছিল ৯০ বছর।

সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটের সাধারণ সম্পাদক হাসান আরিফ জানিয়েছেন, সর্বস্তরের মানুষের শ্রদ্ধা নিবেদনের জন্য সালাহ্‌উদ্দীন আহমদের মরদেহ আজ বিকেল তিনটা থেকে চারটা পর্যন্ত কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে রাখা হবে।
সালাহ্‌উদ্দীন আহমদের জন্ম ১৯২৪ সালে, ফরিদপুরে। কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ইতিহাসে এমএ করেছেন তিনি। পড়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের পেনসিলভানিয়া বিশ্ববিদ্যালয়েও। পিএইচডি করেছেন লন্ডন বিশ্ববিদ্যালয় থেকে।

ছাত্রজীবনে সমাজতান্ত্রিক আন্দোলনের সঙ্গে যুক্ত হন সালাহ্‌উদ্দীন আহমদ। ১৯৪৮ সালে যোগ দেন জগন্নাথ কলেজে। রাজশাহী, জাহাঙ্গীরনগর ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যাপনা করেছেন তিনি। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ১৯৮৪ সালে অবসর নেওয়ার পর সেখানে বিশ্ববিদ্যালয়ে সংখ্যাতিরিক্ত অধ্যাপক ছিলেন তিনি।
২০১১ সালে জাতীয় অধ্যাপক হন সালাহ্‌উদ্দীন আহমদ। তিনি একুশে পদক ও স্বাধীনতা পুরস্কার পেয়েছেন।

সালাহ্‌উদ্দীন আহমদের উল্লেখযোগ্য গ্রন্থ হলো—সোশাল আইডিয়াস অ্যান্ড সোশাল চেঞ্জ ইন বেঙ্গল: ১৮১৮-১৮৩৫, বেঙ্গলি ন্যাশনালিজম অ্যান্ড দ্য এমারজেন্স অব বাংলাদেশ: অ্যান ইনট্রোডাকটরি আউটলাইন, হিস্ট্রি অ্যান্ড হেরিটেজ: রিফ্লেকশনস অন সোসাইটি পলিটিক্স অ্যান্ড কালচার অব সাউথ এশিয়া, বাঙালির সাধনা ও বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ, বরণীয় ব্যক্তিত্ব ও স্বাধীন সুহৃদ, উনিশ শতকে বাংলার সমাজ-চিন্তা ও সমাজ বিবর্তন, ইতিহাসের আলোকে, ইতিহাস ঐতিহ্য জাতীয়তাবাদ গণতন্ত্র প্রভৃতি।