রক্ষণাবেক্ষণের অভাবে ধ্বংস হওয়ার পথে মথুরাপুর দেউল

অযত্ন আর অবহেলায় পড়ে রয়েছে ফরিদপুরের মধুখালী উপজেলার ঐতিহ্যবাহী প্রত্নতাত্ত্বিক নিদর্শন মথুরাপুর দেউল। রক্ষণাবেক্ষণের অভাবে এ নিদর্শনটি এখন ধ্বংসের পথে।

মধুখালী-বালিয়াকান্দি আঞ্চলিক সড়কে মধুখালী সদর থেকে দুই কিলোমিটার দূরে গাজনা ইউনিয়নের মথুরাপুরে দেউলটি অবস্থিত। ওই সড়কের পূর্বদিকে দেউলটির অবস্থান। আর সড়কের পশ্চিম দিক দিয়ে বয়ে গেছে চন্দনা নদী।

সম্প্রতি সরেজমিনে দেখা গেছে, দেউলে প্রবেশের ফটকটি ভাঙা। দেউলের দক্ষিণ পাশে একটি ফাটলের সৃষ্টি হয়েছে। স্থানীয় ব্যক্তিরা জানান, লাল পোড়ামাটি দিয়ে নির্মিত দেউলটির টেরাকোটাগুলো প্রতিনিয়তই চুরি হয়ে যাচ্ছে। দেউলটি কবে ও কেন নির্মাণ করা হয়েছিল, এ নিয়ে মতভেদ রয়েছে। এলাকাবাসীর মতে, দেউলটির বয়স ৩০০ থেকে ৫০০ বছরের মধ্যে। মোগল আমলে ভূষণার (বর্তমান মধুখালী) স্বাধীন শাসক ছিলেন রাজা সীতারাম। তিনি মোগলদের আধিপত্য মেনে নেননি। মোগলদের সঙ্গে যুদ্ধে তিনি পরাজিত হন। এ বিজয়ের সঞ্চারক হিসেবে মোগলেরা এ দেউলটি নির্মাণ করেন।

স্থানীয় বাসিন্দা আবু ফজল সিকদার অভিযোগ করেন, প্রত্নতত্ত্ব অধিদপ্তরের লোকেরা দেউলটি ঠিকমতো রক্ষণাবেক্ষণ করেন না। তাঁরা মাসে দু-এক দিন এখানে এসে নামমাত্র দায়িত্ব পালন করেন। কর্তৃপক্ষের উদাসীনতার কারণে প্রত্নতাত্ত্বিক এ নিদর্শনটি আজ ধ্বংস হওয়ার পথে।

দেউলটির রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্বে নিয়োজিত প্রত্নতাত্ত্বিক অধিদপ্তরের সাইড পরিচালক অতুল কুণ্ডু বলেন, দেউলটিতে বর্তমানে অনেক সমস্যা রয়েছে। ঢোকার দরজা ও দক্ষিণ পাশের ফাটল মেরামত করতে হবে। এ ছাড়া সীমানাপ্রাচীর চার থেকে ছয় ফুট উঁচু করতে হবে। তিনি বলেন, এসব সমস্যার কথা ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে লিখিতভাবে জানানো হয়েছে। �5������ �@� �াপন করা যাচ্ছে না। ওখানে বালুর ফিল্টার স্থাপনের পরিকল্পনা আছে।

পাউবোর মঠবাড়িয়ার উপবিভাগীয় প্রকৌশলী তাওহিদুল ইসলাম জানান, ভাঙা বেড়িবাঁধ জরুরি সংস্কারের জন্য ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে। বরাদ্দ পেলে এর সংস্কার করা হবে।