তিনজন আটক, দেশ ছেড়েছেন মূল হোতা

রাজধানীর গুলশানে আবাসিক হোটেলে নজরুল ইসলাম নামের এক ব্যবসায়ীকে হত্যার ঘটনায় তিনজনকে আটক করেছে র্যাব। তাঁরা হলেন রকিবুল ইসলাম (৩২), হেলাল উদ্দিন (৩৬) ও আমিনুল ইসলাম ওরফে সোহাগ (২০)।
র্যাব বলছে, গত শুক্রবার রাতে ঢাকাসহ বিভিন্ন স্থান থেকে এই তিনজনকে আটক করা হয়। এঁদের মধ্যে হেলালকে আটক করা হয়েছে হত্যায় সরাসরি জড়িত থাকার অভিযোগে। আর রকিবুল হলেন এ ঘটনার মূল পরিকল্পনাকারী রফিকুল ইসলামের ভাই। রফিকুল ঘটনা ঘটিয়ে সপরিবারে মালয়েশিয়া চলে গেছেন। আমিনুলকে আটক করা হয়েছে হত্যাকারীদের কাছে চেতনানাশক বিক্রির অভিযোগে।
গত ১৩ অক্টোবর গুলশানে হোটেল আমরী ইন্টারন্যাশনালের একটি কক্ষ থেকে নজরুলের লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। তিনি গুলশানের ডিসিসি মার্কেটে পল্টন মানি এক্সচেঞ্জ পয়েন্ট নামের একটি প্রতিষ্ঠানের মালিক। এ ঘটনায় নজরুলের স্ত্রী ডলি আক্তার বাদী হয়ে গুলশান থানায় একটি মামলা করেন। ঘটনার পর জড়িতদের ধরতে পুলিশের পাশাপাশি র্যাবও অনুসন্ধান শুরু করে।
গতকাল শনিবার সংবাদ ব্রিফিং করে এ ঘটনায় তিনজনকে আটকের কথা জানান র্যাব-১-এর অধিনায়ক লে. কর্নেল তুহিন মোহাম্মদ মাসুদ। তিনি বলেন, ঘটনার অন্যতম হোতা রফিকুল ইসলাম নিহত নজরুলের পূর্বপরিচিত। বৈদেশিক মুদ্রা কেনার কথা বলে নজরুলকে ওই হোটেলে ডেকে নিয়ে যান রফিকুল। এরপর রফিকুল ও হেলাল মিলে নজরুলকে চেতনানাশক প্রয়োগ করেন। নজরুল অচেতন হয়ে পড়লে শ্বাসরোধ করে তাঁকে হত্যা করে তাঁর সঙ্গে থাকা বৈদেশিক মুদ্রা নিয়ে যান রফিকুল ও হেলাল। ঘটনা ঘটিয়ে ওই রাতেই মালয়েশিয়া চলে যান রফিকুল।
লে. কর্নেল তুহিন বলেন, মামলার এজাহারে বলা হয়েছে, খুনিরা নজরুলের সঙ্গে ৫২ লাখ টাকা নিয়ে গেছে। এখন ধারণা করা হচ্ছে, এর পরিমাণ আরও বেশি হবে। তিনি জানান, রফিকুলকে গ্রেপ্তারে ইন্টারপোলের সহায়তা নেওয়া হবে।
র্যাব-১-এর অধিনায়ক জানান, হোটেলের বিভিন্ন নিরাপত্তা ক্যামেরায় ধারণকৃত দৃশ্য দেখে রফিকুলকে শনাক্ত করে র্যাব। এরপর মহাখালী থেকে রফিকুলের ভাই রকিবুলকে আটক করা হয়। তাঁর দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে ময়মনসিংহের গফরগাঁও থেকে হেলালকে এবং পরে পুরান ঢাকা থেকে আমিনুলকে আটক করা হয়। আমিনুল পুরান ঢাকার মিটফোর্ড এলাকার একটি কেমিক্যালের দোকানের কর্মচারী। তিনি রফিকুল ও হেলালের কাছে চেতনানাশক ওষুধ বিক্রি করেছিলেন।
গুলশান থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রফিকুল ইসলাম প্রথম আলোকে জানান, আটক তিন জনকে গুলশান থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে। তাঁদের আজ রোববার আদালতে পাঠিয়ে রিমান্ড চাওয়া হবে।