পাঁচ বছরেও সংস্কার হয়নি ছাত্রাবাস

পাঁচ বছর আগে রাজনৈতিক সহিংসতায় বন্ধ হয়ে যায় সিলেট সরকারি কলেজের একমাত্র ছাত্রাবাসটি। এটি দীর্ঘ দিনেও সংস্কার ও চালু না হওয়ায় ভোগান্তিতে পড়েছেন অনেক শিক্ষার্থী। তাঁরা আবাসন সমস্যার পাশাপাশি শিক্ষা কার্যক্রম নিয়েও সমস্যায় ভুগছেন।
১৯৬৪ সালে নগরের টিলাগড় এলাকায় সিলেট সরকারি কলেজ প্রতিষ্ঠিত হয়। বর্তমানে এখানে উচ্চমাধ্যমিক, স্নাতক ও স্নাতকোত্তর পর্যায়ে সাড়ে তিন হাজার শিক্ষার্থী পড়াশোনা করছেন।
২০১০ সালের ১৮ ফেব্রুয়ারি ছাত্রলীগের কর্মীরা ‘শিবির খেদাও’ নামে ছাত্রাবাসটি দখলে নিতে ব্যাপক ভাঙচুর চালান এবং অগ্নিসংযোগ করেন। এরপর অনির্দিষ্টকালের জন্য এটি বন্ধ ঘোষণা করে কলেজ কর্তৃপক্ষ। ছাত্রাবাসে ৫২টি কক্ষ ছিল। তাতে প্রায় তিন শ ছাত্র থাকতেন।
ভুক্তভোগী কয়েকজন ছাত্রের অভিযোগ, ছাত্রাবাসের অভাবে তাঁরা বাইরে মেসে থাকছেন। এতে অতিরিক্ত খরচের পাশাপাশি তাঁরা শিক্ষার পরিবেশের অভাবেও ভুগছেন। আবার অনেক বাড়ির মালিক ব্যাচেলরদের কাছে বাসা ভাড়া দিতে চান না। ফলে দূরদূরান্তের অনেকেই নিয়মিত ক্লাসে আসতে পারছেন না।
কলেজের একটি সূত্র জানায়, ছাত্রাবাসটি বন্ধ ঘোষণার পর এটি সংস্কারের আর কোনো উদ্যোগ নেয়নি কর্তৃপক্ষ। তবে ২০১০-১১ অর্থবছরে ছাত্রাবাসটি সংস্কারে শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তর পাঁচ লাখ টাকার একটি প্রকল্প গ্রহণ করেছিল। কিন্তু ছাত্রলীগের বাধার কারণে সেই প্রকল্প বাস্তবায়ন করা যায়নি। পরে প্রকল্পের টাকা দিয়ে কলেজের শ্রেণিকক্ষ সংস্কার করা হয়।
এসব বিষয়ে জানতে চাইলে কলেজের অধ্যক্ষ আশফাক আহমদ বলেন, ছাত্রাবাস না থাকায় ছাত্রদের খুব ভোগান্তি হচ্ছে, এটা সত্যি। এটি সংস্কারের উদ্যোগ নিতে শিক্ষা প্রকৌশল ও শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের একাধিকবার লিখিত ও মৌখিকভাবে অনুরোধ জানানো হয়েছে।