টাইগারপাসে যুবককে কুপিয়ে হত্যার ঘটনায় মামলা

চট্টগ্রামের টাইগারপাস এলাকায় সাদ্দাম হোসেন নামের যুবককে কুপিয়ে ও পিটিয়ে হত্যার ঘটনায় কাউকে আটক করা যায়নি। এ ঘটনায় গতকাল শুক্রবার নগরের খুলশী থানায় পৃথক দুটি মামলা হয়েছে। পুলিশ বাদী হয়ে একটি হত্যা এবং মন্দির লুটের ঘটনায় আরেকটি মামলা দায়ের করে।
গত বৃহস্পতিবার রাতের ওই হত্যার ঘটনায় খুলশী থানার উপপরিদর্শক (এসআই) আবু হানিফ বাদী হয়ে অজ্ঞাতপরিচয় ব্যক্তিদের আসামি করে মামলা করেছেন। অপরদিকে মন্দির লুটের ঘটনায় মন্দিরের সাধারণ সম্পাদক অধীর রঞ্জন দাশ বাদী হয়ে তপন, রতন, কান্ত, হাফিজ, এরশাদ ও সাদ্দামকে আসামি করে আরেকটি মামলা করেছেন।
খুলশী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাঈনুল ইসলাম ভুঁইয়া জানান, টাইগারপাসের মালিপাড়া এলাকায় ছিঁচকে সন্ত্রাসী তপন, রতন ও হাফিজের নেতৃত্বে ছয়জন যুবক স্থানীয় কালীমন্দিরে মূর্তিকে পরানো সোনার গয়না লুট করে। এর ভাগ-বাঁটোয়ারা নিয়ে মারামারি শুরু হয়। এদিকে মন্দির লুটের খবর ছড়িয়ে পড়লে স্থানীয় লোকজনও তাদের ধাওয়া দেয়। তপন, রতনসহ পাঁচজন পালিয়ে গেলেও সাদ্দাম পালাতে পারেনি। গণপিটুনিতে নিহত হয় সাদ্দাম।
ওসি জানান, তপন-রতনরা এলাকায় ছিঁচকে সন্ত্রাসী হিসেবে পরিচিত। তারা যে দল ক্ষমতায় আসে তাদের সমর্থক দাবি করে নিজেদের। এখন যুবলীগের সমর্থক হিসেবে এলাকায় প্রচার করছে। আসামিদের গ্রেপ্তারে পুলিশের অভিযান চলছে।
গতকাল বিকেলে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতাল মর্গের সামনে নিহত সাদ্দামের বড় বোন হাসিনা আক্তার জানান, কক্সবাজারের মহেশখালীর সিকদারপাড়ায় তাঁদের বাড়ি। সাদ্দাম কক্সবাজার থেকে মহেশখালীগামী স্পিডবোট চালাত। সপ্তাহ খানেক আগে পরিবারের কাউকে না জানিয়ে চট্টগ্রামে আসে।
হাসিনা আক্তার জানান, বৃহস্পতিবার রাতে তাঁদের পুলিশ জানায়, তাঁর ভাই গণপিটুনিতে নিহত হয়েছে। সাদ্দাম চট্টগ্রামে কেন কার কাছে এসেছিল, হাসিনা আক্তার ও সাদ্দামের বড় ভাই আবুল কালাম কিছুই জানেন না বলে জানান। ময়নাতদন্ত শেষে বিকেলে লাশ দাফনের জন্য মহেশখালীতে নিয়ে যাওয়া হয়। তাঁরা কোনো মামলা করবেন না বলেও জানান।