বাংলাদেশ উন্নয়ন ফোরাম ২০১৫–এর উদ্বোধন
বাংলাদেশ উন্নয়নের বিস্ময় হিসেবে আবির্ভূত হতে পারে: প্রধানমন্ত্রী
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, উন্নয়ন সহযোগীদের প্রতিশ্রুত সহায়তা পেলে বাংলাদেশ অদূর ভবিষ্যতে উন্নয়নের এক বিস্ময় হিসেবে আবির্ভূত হতে পারে। এ লক্ষ্যে তাঁর সরকার সুনির্দিষ্ট পরিকল্পনা ও কর্মসূচি নিয়ে কাজ করছে।
গতকাল রোববার বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে বাংলাদেশ উন্নয়ন ফোরাম-২০১৫-এর উদ্বোধনের সময় প্রধানমন্ত্রী এ কথা বলেন। খবর বাসসের।
শেখ হাসিনা বলেন, ‘উন্নয়ন অগ্রযাত্রায় আন্তর্জাতিক উন্নয়ন সহযোগীদের সঙ্গে পেলে আমরা আনন্দিত হব।’ তিনি বলেন, অন্তর্ভুক্তিমূলক উন্নয়নের মাধ্যমে ২০২১ সালের মধ্যে বাংলাদেশকে উচ্চ মধ্যম আয়ের দেশ ও ২০৪১ সালে উন্নত সমৃদ্ধ দেশে পরিণত করার লক্ষ্যে তাঁর সরকার কাজ করে যাচ্ছে। তিনি বলেন, ‘আমরা দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি যে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় বাংলাদেশের বর্তমান উন্নয়ন ধারা এগিয়ে নিতে সার্বিক সহযোগিতা অব্যাহত রাখবে।’
উন্নয়ন সহযোগীদের প্ল্যাটফর্ম হিসেবে বাংলাদেশ উন্নয়ন ফোরাম (বিডিএফ) ২০০৫ সাল থেকে অনুষ্ঠিত হচ্ছে। উন্নয়ন সহযোগী, সুশীল সমাজ এবং বেসরকারি খাতের সঙ্গে সরকারের কৌশল, সংস্কার ও অগ্রাধিকার নিয়ে মতবিনিময়ের পাশাপাশি এ পরিকল্পনা বাস্তবায়নের পন্থা নিয়ে আলোচনার লক্ষ্যে এই ফোরাম অনুষ্ঠিত হয়।
অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত, এশিয়ান ইনফ্রাস্ট্রাকচার ইনভেস্টমেন্ট ব্যাংকের দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রেসিডেন্ট জিং লিকুন, এশিয়ান ডেভেলপমেন্ট ব্যাংকের ভাইস প্রেসিডেন্ট ওয়েনকেই ঝাং, জাপানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ডেপুটি ডাইরেক্টর জেনারেল কিংগো টয়োডা অন্যদের মধ্যে অনুষ্ঠানে বক্তৃতা করেন। ইউএসএইড বাংলাদেশের প্রধান স্থানীয় কনসালটেটিভ গ্রুপের কো-চেয়ার জানিনা জারুজেলস্কি ও ইআরডির সিনিয়র সচিব মেজবাহ উদ্দিন স্বাগত বক্তৃতা দেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, তাঁর বিশ্বাস বাংলাদেশ উন্নয়ন ফোরাম ২০১৫ আগামী দিনের দারিদ্র্যমুক্ত, ক্ষুধামুক্ত, সমৃদ্ধ বাংলাদেশ বিনির্মাণের জন্য যৌথ কর্মপন্থা নির্ধারণ ও প্রয়োজনীয় সুপারিশ প্রণয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে। তিনি বলেন, তাঁর রূপকল্প-২০২১-এর মূল লক্ষ্য হচ্ছে বাংলাদেশকে একটি মধ্যম আয়ের দেশে রূপান্তরিত করা। এই লক্ষ্য বাস্তবায়নে টেকসই ও অন্তর্ভুক্তিমূলক প্রবৃদ্ধির মাধ্যমে জনগণের আর্থসামাজিক উন্নয়ন নিশ্চিত করতে সরকার সম্প্রতি সপ্তম পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনা গ্রহণ করেছে। দুই দিনের এই উন্নয়ন ফোরামে মূলত সপ্তম পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনার লক্ষ্য ও কৌশল নিয়ে আলোচনা হওয়ার কথা।