দুটি তথ্যের প্রতিবাদ

২৫ ফেব্রুয়ারি প্রথম আলোয় প্রকাশিত ‘দুটি পাঠ্যবইয়ে ১০টি ভুল’ শীর্ষক প্রতিবেদনে উল্লেখ করা পদবি বা পরিচয়-সংক্রান্ত দুটি তথ্যের প্রতিবাদ জানিয়েছেন সরকারি বিজ্ঞান কলেজের সাবেক অধ্যক্ষ মোরশেদ শফিউল হাসান। তাঁকে পরিমার্জনকারী হিসেবে প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হলেও তিনি বইটির পর্যালোচনাকারী (রিভিউয়ার) ছিলেন বলে জানিয়েছেন।
প্রতিবেদনে তাঁর পরিচয় দেওয়া হয়েছে জগন্নাথ কলেজের সাবেক অধ্যাপক। মোরশেদ শফিউল হাসান বলেছেন, বইটি পর্যালোচনাকারীর দায়িত্ব তিনি যখন পালন করেন, তার কয়েক বছর আগে তিনি সরকারি বিজ্ঞান কলেজের অধ্যক্ষ পদ থেকে অবসর নেন। তাই প্রতিবেদনে অধুনালুপ্ত জগন্নাথ কলেজের অধ্যাপক পরিচয় ব্যবহার করা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন তিনি।
মোরশেদ শফিউল হাসান দুই পৃষ্ঠার একটি বক্তব্যে জানান, তিনি সপ্তম শ্রেণির সপ্তবর্ণা বইয়ের অজস্র ভুলত্রুটি চিহ্নিত করে প্রাসঙ্গিক মন্তব্যসহ তা এনসিটিবিতে জমা দেন। ২০১৪ সালে বগুড়ায় এ-সংক্রান্ত কর্মশালায় অংশ নেন। ঢাকায় ফেরার পর তিনি যখন উপলব্ধি করেন যে, সব ভুল সংশোধন হবে না, তখন বিরক্ত হয়ে তিনি এনসিটিবির কোনো কাজে অংশ নেবেন না বলে সিদ্ধান্ত নিয়ে চলে আসেন।
প্রতিবেদকের বক্তব্য: জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ডের (এনসিটিবি) তদন্ত প্রতিবেদনে সপ্তবর্ণা বইয়ের ১১ জন রচয়িতা, সম্পাদক ও পরিমার্জনকারীর নাম উল্লেখ আছে। সেখানে পরিমার্জনকারী হিসেবেই মোরশেদ শফিউল হাসানের নাম উল্লেখ করা হয়েছে। এ ছাড়া তদন্ত প্রতিবেদনে তাঁকে জগন্নাথ কলেজের সাবেক অধ্যাপক হিসেবে দেখানো হয়েছে। তদন্ত প্রতিবেদনের এ দুটি ভুল তথ্য ব্যবহার করায় আমরা দুঃখিত। তবে এর বাইরে দুই পৃষ্ঠার যে দীর্ঘ বক্তব্য তিনি দিয়েছেন, তা প্রতিবেদন সম্পর্কিত নয়। প্রতিবেদনের মূল লক্ষ্য ছিল, তদন্ত প্রতিবেদনের ভিত্তিতে ভুলত্রুটিগুলো তুলে ধরা।