হতাশা থেকে দুই সন্তানকে হত্যা করেছেন মা মাহফুজা

সন্তানদের শিক্ষা জীবন ও ভবিষ্যত নিয়ে হতাশা থেকেই দুই সন্তানকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করেছেন মা মাহফুজা মালেক জেসমিন। আজ রোববার ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিম আদালতে ফৌজদারি কার্যবিধির ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দিতে তিনি এ কথা বলেন।
ঢাকার মহানগর হাকিম গোলাম নবী তাঁর খাস কামরায় মাহফুজা মালেক জেসমিনের জবানবন্দি গ্রহণ করেন। আদালত তাঁর জবানবন্দি গ্রহণ শেষে তাঁকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
পুলিশ ও আদালত সূত্র জানায়, আজ পাঁচ দিনের রিমান্ড শেষে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিবি) মাহফুজাকে আদালতে হাজির করেন। পরে মাহফুজার জবানবন্দি গ্রহণের আবেদন করেন।
আজ মাহফুজা মালেক আদালতে জবানবন্দি দিয়ে দুই সন্তানকে হত্যার কথা স্বীকার করেন। জবানবন্দিতে তিনি বলেন, মেয়ে নুসরাত আমান অরণী ভিকারুননিসা নূন স্কুলের পঞ্চম শ্রেণি এবং ছোট মেয়ে আলভি আমান হলি ক্রিসেন্ট ইন্টারন্যাশনাল স্কুল এন্ড কলেজের নার্সারির শিক্ষার্থী ছিল।
মাহফুজা মালেক বলেন, সন্তানদের স্কুলের পরীক্ষার ফলাফল এবং ভবিষ্যৎ নিয়ে সব সময় দুশ্চিন্তায় থাকতেন তিনি। পরীক্ষার ফলাফল আশানুরূপ না হলে তিনি অস্থির হয়ে উঠতেন। তাঁর ধারণা হয়েছিল, সন্তানেরা বড় হয়ে কিছুই করতে পারবে না। তাই তিনি হতাশায় ভোগতেন। এই দুশ্চিন্তা থেকেই ২৯ ফেব্রুয়ারি বিকেলে প্রথমে মেয়ে অরণীকে ওড়না দিয়ে পেঁচিয়ে শ্বাসরোধ করে হত্যা করেন তিনি। পরে ছেলে আলভিকে খাটের উপর ঘুমন্ত অবস্থায় একইভাবে শ্বাসরোধ করে হত্যা করেন। হত্যার পর সন্তানদের লাশের সামনে কিছু সময় কান্নাকাটি করেন এবং স্বামী ও অন্যান্যদের খবর দেন।
গত ২৯ ফেব্রুয়ারি বনশ্রীতে খুন হন নুসরাত আমান ও আলভী আমান নামের দুই শিশু। এ ঘটনায় তাদের মা মাহফুজাকে আসামি করে বাবা আমান উল্লাহ রামপুরা থানায় এ মামলা করেন।