নিহতদের মধ্যে ১৭ বিদেশি, ৩ বাংলাদেশি

রাজধানীর গুলশানে হলি আর্টিজান বেকারি রেস্তোরাঁয় সন্ত্রাসী হামলায় নিহত ২০ জনের মধ্যে নয়জনই ইতালির নাগরিক। এ ছাড়া সাতজন জাপানের ও একজন ভারতের নাগরিক রয়েছেন। বাকি তিনজন বাংলাদেশি। 

রেস্তোরাঁয় জিম্মিদের মধ্যে ২০ জনকে হত্যা করা হয় বলে জানান, বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর মিলিটারি অপারেশনসের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল নাঈম আশফাক চৌধুরী। তবে এঁরা কে, কোন দেশের, তা দুপুর পর্যন্ত নিশ্চিত করেনি আন্তবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তর (আইএসপিআর)। তবে রাতে জাপান সরকার তাদের সাত নাগরিকের মৃত্যুর কথা নিশ্চিত করেছে। সন্ত্রাসী হামলায় ইতালির নয়জন নাগরিক আছেন বলে জানিয়েছেন ইতালির পররাষ্ট্রমন্ত্রী পাওলো জেনতিলোনি।
ঢাকা মহানগর পুলিশ জানিয়েছে, নিহত ইতালির নাগরিকদের মধ্যে ছয়জনের নাম জানা গেছে। এঁরা হলেন: ভিন সেন জো, নাদিয়া বেনেদেত্তি, আদি, মার্কো, মারিয়া ও সিমনি।
এই ছয়জনই স্টুডিও টেক্স লিমিটেড নামে একটি প্রতিষ্ঠানে কাজ করতেন। ওই প্রতিষ্ঠানের প্রশাসনিক ব্যবস্থাপক ফারুক আলম খতিব আজ শনিবার সকাল সোয়া ১০টায় ঘটনাস্থলে প্রথম আলোকে এই ছয়জনের নিখোঁজের কথা জানান। ফারুক আলম বলেন, তাঁদের প্রতিষ্ঠানে কর্মরত ওই ছয় ইতালীয় শুক্রবার রাতে ওই রেস্তোরাঁয় খেতে যান। তাঁরা যে দুটি গাড়িতে করে রেস্তোরাঁয় যান, সেই দুই গাড়ির চালক শরিক ও ভিনছং ফারুক আলমকে জানিয়েছেন, সেখানে গোলাগুলি শুরু হলে তাঁরা (চালকেরা) সেখান থেকে পালিয়ে যান। চালকেরা ইতালীয়দের ব্যাপারে আর কিছু জানাতে পারেনি।

নিহতদের মধ্যে একজন ভারতীয় নাগরিক রয়েছেন। ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী সুষম স্বরাজ নিশ্চিত করেন, হামলায় তারিশি জৈন নামে ১৯ বছর বয়সী ওই নারীর মৃত্যু হয়েছে। সুষমা তারিশির বাবা শ্রী সঞ্জীব জৈনের সঙ্গে কথাও বলেছেন। ইউনিভার্সিটি অব ক্যালিফোর্নিয়া, বার্কলের ছাত্রী তারিশি ছুটিতে ঢাকায় এসেছিলেন। তাঁর বাবা-মা কর্মসূত্রে ঢাকায় থাকেন।

নিহতদের মধ্যে তিন বাংলাদেশি
নিহতদের মধ্যে বাংলাদেশি আছেন তিনজন। এঁরা হলেন, ট্রান্সকম গ্রুপের চেয়ারম্যান লতিফুর রহমানের নাতি ফারাজ আইয়াজ হোসেন, ঢাকার ইনস্টিটিউট অব এশিয়ান ক্রিয়েটিভস এর সাবেক পরিচালক ইশরাত আখন্দ এবং ল্যাভেন্ডার গ্রুপের মালিক মনজুর মোরশেদের নাতনি অবিন্তা কবীর।