ব্যাংকার, চিকিৎসকসহ সাতজনকে গ্রেপ্তার

ব্যাংকার, চিকিৎসকসহ সাতজনকে গ্রেপ্তার করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। গতকাল রোববার তাঁদের গ্রেপ্তার করা হয়। দুদকের জনসংযোগ বিভাগ প্রথম আলোকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছে।

গ্রেপ্তার সাতজন হলেন ইসলামী ব্যাংক রাজধানীর বংশাল শাখার সাবেক অ্যাসিস্ট্যান্ট ভাইস প্রেসিডেন্ট ইনামুল হক, সাবেক সিনিয়র প্রিন্সিপাল অফিসার মো. শামসুদ্দিন, চিকিৎসক এম এ মান্নান, গ্রামীণ ব্যাংক চাঁপাইনবাবগঞ্জের একটি শাখার সেন্টার ইনচার্জ আবদুল কাইয়ুম, ফরিদপুরের নিউ প্রাইম মাল্টিপারপাস কো-অপারেটিভ সোসাইটির সেক্রেটারি শম্পা রানী সাহা, সাতক্ষীরার শ্যামনগর ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক দুই সদস্য মো. আজিজুর রহমান ও আবুল কালাম আজাদ।

দুদক সূত্র বলেন, মিরপুর হাউজিং এস্টেটের একটি জমির জাল দলিল তৈরি করে ইসলামী ব্যাংকের বংশাল শাখা থেকে ১২ কোটি ১৩ লাখ ৩৭ হাজার ৫৯১ টাকা তুলে নিয়ে আত্মসাৎ করার অভিযোগে গত ২১ জুন বংশাল থানায় মামলা করেন দুদকের উপপরিচালক সৈয়দ তাহসিনুল হক। ওই মামলার তদন্ত কর্মকর্তা সহকারী পরিচালক মোয়াজ্জেম হোসেন সেগুনবাগিচা থেকে ব্যাংকটির সাবেক দুই কর্মকর্তা ইনামুল হক ও মো. শামসুদ্দিন এবং চিকিৎসক এম এ মান্নানকে গ্রেপ্তার করেন।

৬ লাখ ৯২ হাজার ৬১ টাকা তুলে নিয়ে আত্মসাতের মামলায় রাজশাহী থেকে গ্রেপ্তার করা হয় গ্রামীণ ব্যাংকের কর্মকর্তা মো. আবদুল কাইয়ুমকে। অতিরিক্ত লাভের আশ্বাস দিয়ে সাধারণ মানুষের কাছ থেকে ১ কোটি ১৪ লাখ ২৯ হাজার টাকা আত্মসাতের মামলায় ফরিদপুর থেকে গ্রেপ্তার করা হয় শম্পা রানী সাহাকে।

২০০২-২০০৩ অর্থবছরে গ্রামীণ অবকাঠামো সংস্কার কর্মসূচির ৮৫ হাজার ৫০০ টাকা তুলে নিয়ে প্রকল্পের কোনো কাজ না করে আত্মসাতের অভিযোগে করা মামলায় শ্যামনগর ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক দুই সদস্য মো. আজিজুর রহমান ও আবুল কালাম আজাদকে গ্রেপ্তার করা হয় শ্যামনগর থেকে।