জামিলুর রেজা চৌধুরীকে সম্মাননা দিল জাইকা

জাইকার সম্মাননা অনুষ্ঠানে অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত ও জামিলুর রেজা চৌধুরী । ছবি: প্রথম আলো
জাইকার সম্মাননা অনুষ্ঠানে অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত ও জামিলুর রেজা চৌধুরী । ছবি: প্রথম আলো

দেশের বিশিষ্ট প্রকৌশলী, শিক্ষাবিদ ও সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা জামিলুর রেজা চৌধুরীকে বিশেষ সম্মাননা দিয়েছে জাপানের দাতা সংস্থা জাইকা। কয়েক দশক ধরে জাইকার প্রকল্পসহ দেশের উন্নয়নে বিশেষ অবদানের জন্য তাঁকে ‘জাইকা রিকগনিশন অ্যাওয়ার্ড’ শীর্ষক সম্মাননা দেওয়া হয়।
গতকাল মঙ্গলবার ঢাকার বারিধারার এক হোটেলে জাইকা আয়োজিত সম্মাননা প্রদান অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত, জাইকার আবাসিক প্রতিনিধি তাদাও তোদা ও জামিলুর রেজা চৌধুরী। অনুষ্ঠানে জামিলুর রেজা চৌধুরীর হাতে বিশেষ সনদ তুলে দেন তাদাও তোদা।
এ বছর জামিলুর রেজা চৌধুরী ছাড়াও থাইল্যান্ড, ভিয়েতনাম ও ইন্দোনেশিয়ার তিনজন বিশিষ্ট ব্যক্তিকে এই বিশেষ সম্মাননা দেওয়া হয়।
আবুল মাল আবদুল মুহিত বলেন, যমুনা সেতু, চট্টগ্রাম বিমানবন্দর, মেট্রোরেলসহ দেশের বড় অবকাঠামো উন্নয়ন প্রকল্পের সঙ্গে জামিলুর রেজা চৌধুরী সম্পৃক্ত ছিলেন। তিনি এ দেশের উন্নয়নের বিভিন্ন স্তরে সম্পৃক্ত থেকে বিশেষ ভূমিকা রাখছেন।
পদ্মা সেতু প্রসঙ্গে অর্থমন্ত্রী বলেন, বিশ্বব্যাংক যে অভিযোগ করেছে, তা ‘ননসেন্স’। বাংলাদেশের বদনাম করেছে বিশ্বব্যাংক। এটা ষড়যন্ত্রমূলক।
ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতার কথা উল্লেখ করে অর্থমন্ত্রী জানান, জামিলুর রেজা চৌধুরীর কাছ থেকেই তিনি যমুনা সেতু নির্মাণ প্রকল্প সম্পর্কে সবচেয়ে ভালো ‘ব্রিফ’ পেয়েছিলেন। আর পরিবেশ আন্দোলনের সঙ্গে সম্পৃক্ত থাকার সময় জনাব চৌধুরী উপদেষ্টা হিসেবে ভূমিকা রেখেছিলেন।
অর্থমন্ত্রী মনে করেন, সময়মতো চলমান প্রকল্পগুলো শেষ করাই এখন জাইকার বড় চ্যালেঞ্জ।
তাদাও তোদা বলেন, কয়েক দশক ধরে জাইকার প্রায় সব প্রকল্পেই জড়িত ছিলেন জামিলুর রেজা চৌধুরী। তিনি দেশের উন্নয়নেও ভূমিকা রেখেছেন।
জামিলুর রেজা চৌধুরী বলেন, ‘এ ধরনের সম্মাননা পেয়ে আমি খুবই সম্মানিত বোধ করছি। গত কয়েক দশকে জাইকার শতাধিক প্রকল্পে জড়িত ছিলাম। ১৯৭৩ সালে প্রথম জাইকার সঙ্গে সম্পৃক্ত হই।’ তিনি মনে করেন, জাপানি প্রকৌশলীদের সঙ্গে কাজ করে আমি অনেক কিছু শিখেছি।
উল্লেখ্য, গত ২০ বছরে বিভিন্ন প্রকল্পে ৪০০ কোটি ডলার দিয়েছে জাইকা। এর মধ্যে বেশির ভাগই অনুদান।