স্বামীকে মৃত দেখিয়ে বিধবা ভাতা!

স্বামী জীবিত থাকলেও পাঁচ বছর ধরে ‘বিধবা’ ভাতা পাচ্ছেন মৌলভীবাজারের জুড়ী উপজেলার ফুলতলা ইউনিয়নের এক নারী। স্বামীকে ‘মৃত’ দেখিয়ে তৎকালীন এক ইউপি সদস্য তাঁকে এ ভাতার ব্যবস্থা করে দেন বলে অভিযোগ উঠেছে।
ভাতা পাওয়া ওই নারীর নাম পাতারুন নেছা (৫০)। তিনি ফুলতলা ইউনিয়নের কোনাগাঁও গ্রামের মো. এরাব মিয়ার (৬০) স্ত্রী।
এলাকার অনেকে জানান, ২০১১-১২ অর্থবছর থেকে পাতারুন বিধবা ভাতা পাচ্ছেন। অথচ তাঁর স্বামী এরাব মিয়া এখনো জীবিত। পাতারুনের ভাতা বইয়ের নম্বর-৫৯৪। বইয়ে শুধু তাঁর বাবার নাম উসমান আলী উল্লেখ করা আছে। এ বিষয়ে জাহেদ আহমদ নামের স্থানীয় এক ব্যক্তি গত ২৪ আগস্ট জুড়ী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার (ইউএনও) কাছে লিখিত অভিযোগ দেন। ইউএনও উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তাকে বিষয়টি তদন্ত করে প্রতিবেদন দিতে বলেছেন।
সরেজমিনে গতকাল বুধবার সকালে কোনাগাঁও গ্রামে গিয়ে পাতারুন ও তাঁর স্বামী এরাব মিয়া দুজনকেই বাড়িতে পাওয়া যায়। স্বামী-স্ত্রী দুজনেই দিনমজুরি করেন। এ দম্পতির এক ছেলে ও দুই মেয়ে রয়েছে।
বিধবা ভাতার বিষয়ে জানতে চাইলে পাতারুন বলেন, ‘অনেক আগে খালিক মেম্বাররে (ফুলতলা ইউপির স্থানীয় ওয়ার্ডের সাবেক সদস্য, বর্তমানে প্রয়াত) কইছিলাম একটা ভাতার ব্যবস্থা করি দিতা। তাইন এইটা দিছইন। সরকারে দিলে সমস্যা কিতা?’
ফুলতলা ইউপির চেয়ারম্যান ফয়াজ আলী গতকাল মুঠোফোনে বলেন, আগের চেয়ারম্যানের (মাসুক আহমদ) সময়ে পাতারুনের নাম বিধবা ভাতার তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করা হয়। সম্প্রতি অভিযোগ পাওয়ার পর তাঁর ভাতার বইটি জব্দ করা হয়েছে। বিষয়টি উপজেলা সমাজসেবা কার্যালয়কেও জানানো হয়েছে।
উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা খাইরুল ইসলাম প্রথম আলোকে বলেন, তদন্ত করে এ ব্যাপারে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।