ঢাকার একটি প্রাক্-মুঘল মসজিদ

বালু নদের পাড়ঘেঁষা বেরাইদ ইউনিয়ন ঢাকার বাড্ডা থানায়। এলাকার আশপাশের প্রায় সব ফসলি জমি বালু দিয়ে ভরাট করে চলছে প্লট বিক্রি। ইউনিয়নের কাঁচা-পাকা পথ ধরে ভূঁইয়াপাড়া জামে মসজিদের সামনে গেলে অবাক না হয়ে পারবেন না। মসজিদটি প্রমাণ করে কোনো এককালে এলাকাটি গুরুত্বপূর্ণ ছিল। এলাকাবাসী জানান, এখানে আরও বেশ কিছু প্রাচীন ও ঐতিহাসিক স্থাপনা ছিল; প্রধানত মসজিদ। তাই ইউনিয়নের আরেক নাম ‘মসজিদের গ্রাম’। কিন্তু মূল রূপে অবশিষ্ট আছে এক গম্বুজবিশিষ্ট মসজিদটি। ১৪ বছর আগে মসজিদটিকে পুরাকীর্তি হিসেবে ঘোষণা করে প্রত্নতত্ত্ব অধিদপ্তর। অধিদপ্তরের উপপরিচালক আতাউর রহমানের মতে, এটি প্রাক্‌-মুঘল আমলের মসজিদ। স্থানীয় অনেকের ধারণা, মসজিদটি সুলতানি আমলের। মসজিদটির কোনো নামফলক বা শিলালিপি পাওয়া যায়নি। নারায়ণগঞ্জ বন্দরের বাবা সালেহ কর্তৃক নির্মিত বন্দর শাহি মসজিদের নির্মাণশৈলীর সঙ্গে এ মসজিদের নির্মাণশৈলীর অনেক মিল রয়েছে। বর্গাকার পরিকল্পনায় নির্মিত মসজিদের বাইরে ২১ বর্গফুট এবং ভিত্তিভূমি থেকে বেষ্টনী পর্যন্ত উচ্চতা ১৭ ফুট ৬ ইঞ্চি। মূল স্থাপনার পূর্ব, উত্তর ও দক্ষিণ দিকে মসজিদ সম্প্রসারিত হওয়ায় আদি অংশটুকু ক্ষতিগ্রস্ত হলেও মেহরাব অটুট রয়েছে। মূল স্থাপনার ভেতরের আয়তন ১৬ বাই ১৬ ফুট। স্থাপনাটির আশপাশে যত্রতত্র গড়ে উঠছে বহুতল ভবন। ছবিগুলো সম্প্রতি তোলা।

.
.

নিখুঁত কারুকাজে তৈরি হওয়া গম্বুজ।

.
.

মসজিদের ভেতরের অংশেও রয়েছে নকশা করা কারুকাজ।

.
.

দেয়ালে করা হয়েছে আলাদা রকম কারুকাজ।

.
.

ওপর থেকে দেখলে বোঝা যায়, কোনো রকম দাঁড়িয়ে আছে নিদর্শনটি।