ব্লিৎসের সম্পাদক শোয়েব চৌধুরীর ৭ বছর কারাদণ্ড

রাষ্ট্রদ্রোহের অভিযোগে করা মামলায় ব্লিৎস পত্রিকার সম্পাদক সালাউদ্দিন শোয়েব চৌধুরীকে সাত বছরের কারাদণ্ডাদেশ দিয়েছেন আদালত। ঢাকার মহানগর দায়রা জজ মো. জহুরুল হক গতকাল বৃহস্পতিবার এ রায় ঘোষণা করেন।
রায়ে বলা হয়, মামলায় আসামির বিরুদ্ধে আনীত রাষ্ট্রদ্রোহের অভিযোগ রাষ্ট্রপক্ষ প্রমাণে সক্ষম হওয়ায় তাঁকে এই শাস্তি দেওয়া হলো। আদালত শোয়েব চৌধুরীর বিরুদ্ধে সাজা পরোয়ানা জারি করে তাঁকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
এই মামলায় শোয়েব চৌধুরী জামিনে থাকলেও ৭ জানুয়ারি তাঁর জামিন বাতিল করা হয়। তবে প্রতারণার অভিযোগে করা একটি মামলায় তিনি আগে থেকেই কারাগারে আছেন। গতকাল রায় ঘোষণার আগে তাঁকে কারাগার থেকে আদালতে হাজির করা হয়।
২০০৪ সালের ২৪ জানুয়ারি বিমানবন্দর থানায় সালাউদ্দিন শোয়েব চৌধুরীর বিরুদ্ধে এই মামলা করা হয়। মামলার অভিযোগে বলা হয়, ২০০৩ সালের ২৯ নভেম্বর শোয়েব চৌধুরী ইসরায়েলে যাওয়ার উদ্দেশে তৎকালীন জিয়া আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে (বর্তমানে হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর) গেলে ইমিগ্রেশন পুলিশ তাঁকে আটক করে। এ সময় তাঁর কাছ থেকে ‘এডুকেশন টুয়ার্ডস কালচার অব পিস’ শীর্ষক কনফারেন্সে উপস্থাপনের জন্য একটি ভাষণের কপি ও সিডি উদ্ধার করা হয়। ২০০৩ সালের ১ ডিসেম্বর থেকে ৩ ডিসেম্বর পর্যন্ত এই কনফারেন্স হওয়ার কথা ছিল। ওই ভাষণে বাংলাদেশে আল-কায়েদাসহ জঙ্গি সংগঠনের তৎপরতার কথা উল্লেখ ছিল।
পরে বিমানবন্দর থানার পুলিশ শোয়েব চৌধুরীর বিরুদ্ধে রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে বিরূপ মন্তব্য ও ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত দেওয়ার অভিযোগে রাষ্ট্রদ্রোহের এই মামলা করে। ২০০৫ সালের ৯ জানুয়ারি এই মামলায় অভিযোগপত্র দেওয়া হয়। শোয়েব চৌধুরীর বিরুদ্ধে এই মামলায় অভিযোগ গঠন করা হয় পরের বছরের ১৩ নভেম্বর। গত বছরের ২৭ অক্টোবর এই মামলায় রাষ্ট্রপক্ষের সাক্ষ্য গ্রহণ শেষ হয়। রাষ্ট্রপক্ষ আদালতে ১৯ জন সাক্ষী উপস্থাপন করে।
গত মঙ্গলবার এই মামলায় উচ্চ আদালতের আদেশ দাখিল করার দিন ধার্য ছিল। কিন্তু আসামিপক্ষ তা দাখিল করতে না পারায় আদালত রায় ঘোষণার দিন ধার্য করেন।
রায়ের পর শোয়েব চৌধুরীর আইনজীবী মাহবুব হোসেন সাংবাদিকদের বলেন, মামলার রায়ের অনুলিপি পাওয়ার পর উচ্চ আদালতে আপিল করা হবে।
শোয়েব চৌধুরীর বিরুদ্ধে আরেকটি মামলা আছে।