উৎসে কর কমানোর দাবি ইএবির

আগামী পাঁচ বছরের জন্য পণ্য রপ্তানিতে উৎসে কর শূন্য দশমিক ২৫ শতাংশ করার দাবি করেছে এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ইএবি)।

সংগঠনটি বলেছে, বর্তমান প্রেক্ষাপটে রপ্তানি খাতের উৎসে কর বিষয়ে প্রস্তাবিত বাজেটে সুস্পষ্ট নির্দেশনা না থাকার ব্যাপারটি বিস্ময়কর। আগামী ১ জুলাই থেকে ১ শতাংশ হারে উৎসে কর কার্যকর হলে রপ্তানিমুখী শিল্পের স্বাভাবিক কার্যক্রম স্থবির হয়ে পড়বে। শিল্পের সক্ষমতা কমে যাবে। অর্থনৈতিক উন্নয়ন বাধাগ্রস্ত হবে, যা কিনা বিনিয়োগ ও কর্মসংস্থান সৃষ্টিতে নেতিবাচক প্রভাব ফেলবে।

আগামী ২০১৭-১৮ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেট বিষয়ে গতকাল সোমবার নিজেদের প্রতিক্রিয়া জানায় ইএবি। সংগঠনের পক্ষে লিখিত প্রতিক্রিয়া জানান ইএবির সভাপতি আব্দুস সালাম মুর্শেদী।

প্রস্তাবিত বাজেটে পোশাক খাতের করপোরেট কর ২০ শতাংশ থেকে কমিয়ে ১৫ শতাংশ করা হয়েছে। তবে ইএবি বিনিয়োগ ও কর্মসংস্থানে গতি আনার জন্য পোশাকশিল্পের করপোরেট কর ১০ শতাংশ করার প্রস্তাব করেছে। এ ছাড়া বর্তমান সংকটময় পরিস্থিতিতে পোশাক খাতকে সুরক্ষা দিতে দুই বছরের জন্য ৫ শতাংশ নগদ সহায়তা দাবি করেছে সংগঠনটি। 

ব্যাংক আমানতের ওপর প্রস্তাবিত আবগারি শুল্ক প্রত্যাহারের দাবি জানিয়ে ইএবি বলেছে, ব্যাংকে অর্থ লেনদেনের ক্ষেত্রে আবগারি শুল্ক বাড়ানো ব্যতিক্রমধর্মী পশ্চাদপসরণ। সার্বিকভাবে আমানতের ওপর সুদের হার কমেছে। ফলে আমানতকারীরা দুভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন। আমানতকারীরা এখন শঙ্কিত, তাঁরা কোথায় যাবেন।

ইএবি বলেছে, অর্থনৈতিক উন্নতি ও সমৃদ্ধির মূলমন্ত্র হলো বিনিয়োগ বৃদ্ধি ও কর্মসংস্থান সৃষ্টি। তবে প্রস্তাবিত বাজেটে বিনিয়োগ বৃদ্ধির বিষয়ে প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষ কোনো দিকনির্দেশনা নেই। বিষয়টি পুনর্বিবেচনার দাবি করেছে ইএবি।