তিনটি সামাজিক উদ্যোগে এলজির সহায়তা

এলজি বাংলাদেশ
এলজি বাংলাদেশ

তরুণদের তিনটি সামাজিক উদ্যোগকে আর্থিক সহায়তা দিয়েছে ইলেকট্রনিকস পণ্য বিপণনকারী কোম্পানি এলজি বাংলাদেশ। রাজধানীর কারওয়ান বাজারে হোটেল লা ভিঞ্চিতে আজ মঙ্গলবার আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে তরুণদের তিনটি সংগঠনের হাতে আর্থিক সহায়তার চেক তুলে দেন এলজি বাংলাদেশের ব্যবস্থাপনা পরিচালক এডওয়ার্ড কিম।

কোম্পানিটি সামাজিক উদ্যোগ নেওয়া তরুণদের বলছে ‘এলজি অ্যাম্বাসেডর’।

তরুণদের উদ্যোগে সহায়তার জন্য এলজি প্রথমে তাদের ফেসবুক পেজে প্রকল্প প্রস্তাব আহ্বান করে। এতে ২৩৭টি প্রস্তাব জমা পড়ে। এসব প্রস্তাব থেকে বাছাই করা হয় সেরা তিন উদ্যোগকে।

এর মধ্যে একটি উদ্যোগ ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগর উপজেলার রসুল্লাবাদ ইউএ খান উচ্চবিদ্যালয়ের উচ্চমাধ্যমিকের ৯৭তম ব্যাচের। এ ব্যাচের শিক্ষার্থীরা রসুল্লাবাদের সঙ্গে অন্য পাঁচটি গ্রামের মানুষের চলাচলের জন্য তিতাসের শাখা নদীর ওপর একটি কাঠ ও বাঁশের সেতু তৈরির উদ্যোগ নিয়েছে। এতে সহায়তা হিসেবে পাঁচ লাখ টাকা দেয় এলজি।

বিদ্যালয়টির ৯৭তম ব্যাচের শিক্ষার্থী হাসান জাভেদ বলেন, একটি সেতুর অভাবে গ্রামের মানুষের অনেক কষ্ট হয়। বিশেষ করে বর্ষায় নৌকা ছাড়া চলাচল করা যায় না। শীতে সাঁকো দিয়ে চলাচল করতে হয়।

চাঁদপুরে তারুণ্যের অগ্রদূত নামের একটি সংগঠনও পেয়েছে পাঁচ লাখ টাকা। ওই সংগঠনটি ২০১৪ সাল থেকে সুবিধাবঞ্চিত শিশুদের শিক্ষাদান করছে। সংগঠনটির উদ্যোক্তাদের একজন ভিভিয়ান ঘোষ বলেন, তাঁরা সপ্তাহে দুই দিন শিশুদের শিক্ষাদান করেন। এখন তাঁদের বিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীর সংখ্যা ৮০।

নোয়াখালীর সুবর্ণ আলো পাবলিক লাইব্রেরি পেয়েছে সাড়ে চার লাখ টাকা। এ লাইব্রেরিও তরুণদের উদ্যোগে প্রতিষ্ঠিত। উদ্যোক্তাদের একজন পিন্টু রঞ্জন অর্ক বলেন, গ্রামে কোনো পাঠাগার ছিল না বলেই তাঁরা এটি প্রতিষ্ঠার উদ্যোগ নেন। ২০০৮ সাল থেকে পাঠাগারটি চলছে।

অনুষ্ঠানে এডওয়ার্ড কিম বলেন, ‘তরুণদের উদ্যোগগুলো আমাকে মুগ্ধ করেছে। আমরা বাংলাদেশের এ ধরনের সামাজিক কার্যক্রমের পাশে থাকতে চাই।’

অনুষ্ঠানে এলজি বাংলাদেশের কনজ্যুমার ইলেকট্রনিকস বিভাগের প্রধান মাহমুদুল হাসান বলেন, দক্ষিণ কোরিয়ার প্রতিষ্ঠান এলজি বাংলাদেশে ২৫ বছর ধরে ব্যবসা করছে। ২০১২ সালে তারা ঢাকায় কার্যালয় খুলেছে।