বিজিএমইএ নির্বাচনে তৃতীয় পক্ষ

দেশের তৈরি রপ্তানিকারকদের সংগঠন বিজিএমইএর নির্বাচনে অংশ নিতে নতুন আরেকটি পক্ষ আত্মপ্রকাশ করেছে। স্বাধীনতা পরিষদ, বিজিএমইএ নামের এ পক্ষটি বলছে, তারা সংগঠনটির নির্বাচন প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ করবে। তাদের আশঙ্কা, এখন বিজিএমইএতে সক্রিয় দুই পক্ষ সম্মিলিত পরিষদ ও ফোরাম নিজেদের মধ্যে সমঝোতা করে নির্বাচন করতে পারে।

আজ বৃহস্পতিবার রাজধানীর কারওয়ান বাজারে একটি হোটেলে স্বাধীনতা পরিষদ এক সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করে। এতে পরিষদের আহ্বায়ক মো. জাহাঙ্গীর আলম বলেন, ‘বিজিএমইএতে পরিচালক পদের যে সংখ্যা, তার চেয়ে একজন প্রার্থী বেশি হলেই ভোটের আয়োজন করতে হবে। আমরা সেটাই চাই।’ তিনি বলেন, সমঝোতার মাধ্যমে কমিটি হলে ভোটারদের অধিকার ক্ষুণ্ন হয়। পাশাপাশি ভোটবিহীন নির্বাচনে জয়ী নেতাদের সদস্যদের কাছে জবাবদিহি থাকে না।

বিজিএমইএর পরিচালক পদে নির্বাচন আগামী ৭ মার্চ। মনোনয়ন পত্র দাখিলের শেষ দিন ৩০ জানুয়ারি। তবে আশঙ্কা আছে যে, ২০১৫ সালের এক সমঝোতা অনুযায়ী সভাপতি, সহসভাপতি ও ২৭টি পরিচালক পদ সম্মিলিত পরিষদ ও ফোরামের মধ্যে ভাগাভাগি হবে। সম্মিলিত পরিষদ ও ফোরামের নেতারা যাঁদের সবুজ সংকেত দেবেন, কেবল তাঁরাই মনোনয়নপত্র কিনবেন ও বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হবেন।

স্বাধীনতা পরিষদের আহ্বায়ক জাহাঙ্গীর আলম বলেন, ‘আমরা নির্বাচন করব। আমি নিজেই প্রার্থী হব।’

সংবাদ সম্মেলনে আহ্বায়ক কমিটির সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।