বুধবার শুরু হচ্ছে বিডিএফ সভা

সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য দিচ্ছেন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত। ঢাকা, ১৫ জানুয়ারি। ছবি: প্রথম আলো
সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য দিচ্ছেন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত। ঢাকা, ১৫ জানুয়ারি। ছবি: প্রথম আলো

আগামী বুধবার থেকে ঢাকায় বসছে দুই দিনব্যাপী বাংলাদেশ উন্নয়ন ফোরাম বা বিডিএফ সভা। রাজধানীর সোনারগাঁও হোটেলে বিডিএফ সভা অনুষ্ঠিত হবে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সভার উদ্বোধন করবেন। দুই দিনব্যাপী এই সভার বিভিন্ন অধিবেশনে সরকারি-বেসরকারি পর্যায়ের কর্মকর্তা ও বিশেষজ্ঞ, দাতা দেশ ও সংস্থার উচ্চপদস্থ কর্মকর্তারা অংশ নেবেন। এবারের সভায় দাতাদের কাছে বাংলাদেশের উন্নয়ন কার্যক্রম তুলে ধরা হবে।

আজ সোমবার বিডিএফ উপলক্ষে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানানো হয়। অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগ (ইআরডি) এই সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করে। পরিকল্পনা কমিশনের এনইসি মিলনায়তনে এই সংবাদ সম্মেলন হয়। এতে বক্তব্য দেন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত।
সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, দুই দিনের বিডিএফ বৈঠকে মোট আটটি বিষয়ে আটটি কর্ম অধিবেশন হবে। বিষয়গুলো হলো কৃষি খাতে জলবায়ু পরিবর্তনের ঝুঁকি কমানো; বিদেশি ও বেসরকারি বিনিয়োগ আকর্ষণে পরিবেশ সৃষ্টি; বৈষম্য দূর ও সবার জন্য স্বাস্থ্যসুবিধা নিশ্চিত করা; দক্ষ মানবসম্পদ উন্নয়নে মানসম্পন্ন শিক্ষা ও দক্ষতা বৃদ্ধি; নারীর ক্ষমতা বৃদ্ধি ও নারীর প্রতি সহিংসতা বন্ধ; স্বল্পোন্নত দেশ থেকে উত্তরণে চ্যালেঞ্জ ও সুযোগ; টেকসই উন্নয়নে নগর-সুবিধা উন্নয়ন এবং এসডিজির অর্থায়ন। এসব বিষয়ের ওপর আলোচনা শেষে সব পক্ষের মতামতের ভিত্তিতে যৌথ ঘোষণা দেওয়া হবে। এবারের অতিথিদের তালিকায় আছেন বিশ্বব্যাংকের দক্ষিণ এশিয়াবিষয়ক ভাইস প্রেসিডেন্ট অ্যানেট ডিক্সন, এশীয় উন্নয়ন ব্যাংকের (এডিবি) ভাইস প্রেসিডেন্ট ওয়েন চাই ঝ্যাং, জাপানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের উপমহাপরিচালক মিনরু মাসুঝিমা। উল্লেখ্য, ২০১৫ সালে সর্বশেষ বিডিএফ সভা অনুষ্ঠিত হয়।
সংবাদ সম্মেলনে অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত বলেন, এসডিজি অর্জনে আমরা বিনিয়োগের ওপর জোর দিচ্ছি। বিশেষ করে বিদেশি বিনিয়োগ আকৃষ্ট করা হচ্ছে। অভ্যন্তরীণ চাহিদাই বিদেশি বিনিয়োগ নিয়ে আসবে। এখনো বিদেশি বিনিয়োগপ্রবাহ যথেষ্ট ভালো। অর্থমন্ত্রীর মতে, এসডিজি অর্জনে ট্রিলিয়ন ট্রিলিয়ন ডলার পাওয়া যাবে না। কম পাওয়া যাবে এটা ধরেই কাজ করতে হবে।
এক প্রশ্নের জবাবে অর্থমন্ত্রী জানান, ঢাকা-সিলেট চার লেনের সড়ক নিজস্ব অর্থায়নেই হবে। এটি চীনের অর্থে হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু কোনো কারণে তা হয়নি। চীনের প্রেসিডেন্টের সফলকালে সমঝোতা চুক্তি হওয়া ২২ বিলিয়ন ডলারের সাহায্যে ২৬ প্রকল্প হওয়ার কথা। এখন পর্যন্ত চারটি প্রকল্পের ঋণচুক্তি হয়েছে।
সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য দেন ইআরডি সচিব কাজী সফিকুল আযম, অতিরিক্ত সচিব মনোয়ার আহমেদ প্রমুখ।