ব্যাংকগুলোর জন্য আরও ছাড়

আবুল মাল আবদুল মুহিত। ফাইল ছবি
আবুল মাল আবদুল মুহিত। ফাইল ছবি

সরকারি আমানতের অর্ধেক পাওয়ার পর আরও বড় ধরনের নিয়ন্ত্রণমূলক ছাড় পেয়েছে বেসরকারি ব্যাংকগুলো। এখন থেকে ব্যাংকগুলোর আমানতের ওপর কেন্দ্রীয় ব্যাংকে যে নগদ টাকা জমা রাখে (সিআরআর), তা–ও ১ শতাংশ কম রাখতে হবে। বর্তমানে ব্যাংকগুলো সাড়ে ৬ শতাংশ টাকা নগদ জমা রাখে। আজ দুপুরে রাজধানীর সোনারগাঁও হোটেলে এক জরুরি সভায় এসব সিদ্ধান্ত হয়।

সভা শেষে অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত বলেন, ‘সরকারি যে সিদ্ধান্ত, তা দিয়ে দিয়েছি। সরকারি টাকার অর্ধেক বেসরকারি ব্যাংকে রাখা যাবে। অন্য সুবিধা আমি দিতে পারি না। ব্যাংক খাতের নিয়ন্ত্রক গভর্নর। আমি প্রভাবিত করতে পারি। এ নিয়ে বিস্তর আলোচনা হয়েছে। ব্যাংকগুলোকে সাড়ে ৬ শতাংশ নগদ জমা রাখতে (সিআরআর) হয়, তা ১ শতাংশ কমানোর সিদ্ধান্ত হয়েছে। এতে মূল্যস্ফীতিতে কোনো প্রভাব পড়বে না।’

বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব ব্যাংকসের (বিএবি) চেয়ারম্যান নজরুল ইসলাম মজুমদার বলেন, বর্তমানে যে সুদ হার, তা দিয়ে ব্যবসা করা সম্ভব নয়। নতুন এসব সিদ্ধান্তের ফলে সুদ হার কমবে।

ব্যাংক উদ্যোক্তাদের বিভিন্ন দাবি নিয়ে এ বৈঠকে অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত, বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ফজলে কবির, ডেপুটি গভর্নর এস এম মুনিরুজ্জামান, কেন্দ্রীয় ব্যাংকের উপদেষ্টা এস কে সুর চৌধুরী, বিএবির চেয়ারম্যান নজরুল ইসলাম মজুমদার, আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ হাসিনার বেসরকারি খাত উন্নয়নবিষয়ক উপদেষ্টা ও আইএফআইসি ব্যাংকের চেয়ারম্যান সালমান এফ রহমান, প্রিমিয়ার ব্যাংকের চেয়ারম্যান ও আওয়ামী লীগের সাবেক সাংসদ এইচ বি এম ইকবাল, অর্থ মন্ত্রণালয়ের ভারপ্রাপ্ত সচিব মোহাম্মদ মুসলিম চৌধুরী, আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের সচিব ইউনুসুর রহমান, ব্যাংক নির্বাহীদের সংগঠন (এবিবি) চেয়ারম্যান সৈয়দ মাহবুবুর রহমান, মিউচুয়াল ট্রাস্ট ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) আনিস এ খান, আইএফআইসি ব্যাংকের এমডি শাহ এ সারওয়ারসহ আর্থিক খাতের শীর্ষ কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

সভা শেষে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের পক্ষ থেকে সাংবাদিকদের কোনো সিদ্ধান্তের কথা জানানো হয়নি।

বর্তমান সরকারের চলতি মেয়াদে ব্যাংক খাতের সংকট মেটাতে আর্থিক খাতের শীর্ষস্থানীয় কর্মকর্তাদের নিয়ে বৈঠকের ঘটনা এটাই প্রথম। এর আগে গত শুক্রবার রাতে বিএবি কার্যালয়েও এক সভা হয়। তবে সেখানে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের কেউ উপস্থিত ছিলেন না।

বেসরকারি খাতের ব্যাংকগুলোর চেয়ারম্যান, ব্যবস্থাপনা পরিচালকসহ সরকারের আর্থিক খাতের শীর্ষ কর্মকর্তাদের সঙ্গে গত শুক্রবার রাতে অর্থমন্ত্রী সভা করেন। সেখানে ব্যাংক উদ্যোক্তাদের চাপে ব্যাংকের অর্থসংকট মেটাতে সরকারি তহবিলের ৫০ শতাংশ অর্থ বেসরকারি ব্যাংকে রাখা যাবে বলে সিদ্ধান্ত হয়। বিদ্যমান নিয়মে সরকারি তহবিলের ২৫ শতাংশ পর্যন্ত অর্থ বেসরকারি ব্যাংকে রাখা যায়।