ইফতারের নামে চাঁদাবাজি হয়

পবিত্র রমজান মাসে ইফতার অনুষ্ঠানের নামে চাঁদাবাজি করা হয় বলে অভিযোগ উঠেছে ঢাকা চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি (ডিসিসিআই) আয়োজিত এক সভায়। এতে ব্যবসায়ীরা ইফতার অনুষ্ঠান নিয়ন্ত্রণের দাবি করে বলেছেন, বেশির ভাগ ইফতারের নামে পণ্যের অপচয় ও যানজট তৈরি করা হচ্ছে। আর ইফতার অনুষ্ঠানের নামে যে চাঁদা নেওয়া হয়, তা পণ্যের দামের মধ্যেই অন্তর্ভুক্ত হয়।

পবিত্র রমজান মাসে পণ্যের সরবরাহ ও দ্রব্যমূল্য পরিস্থিতি নিয়ে আজ রোববার মতিঝিলে ঢাকা চেম্বার কার্যালয়ে সভাটির আয়োজন করে ডিসিসিআই। এতে প্রধান অতিথি ছিলেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল।

সভায় পুলিশের চাঁদাবাজি, যানজট, পরিবহন খরচ বেড়ে যাওয়াসহ বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়। এ সময় ব্যবসায়ীরা বলেন, পণ্যের সরবরাহ ঠিক থাকলে দাম বাড়ানো যায় না। তাই বড় আমদানিকারকেরা ঠিকমতো আমদানি করছেন কি না, সরবরাহ করছেন কি না, তা নজরে রাখতে হবে।

ইফতার অনুষ্ঠানের বিষয়টি নিয়ে কথা বলেন ঢাকা চেম্বারের সাবেক সহসভাপতি এম এস শেকিল চৌধুরী। তিনি বলেন, ‘একেকটি এলাকায় ৩০ দিনে ৬০টি ইফতার অনুষ্ঠান হয়। এসব ইফতার অনুষ্ঠানের জন্য চাঁদা নেওয়া হয় ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে।’ তিনি বলেন, ইফতার অনুষ্ঠানের নামে চাঁদাবাজি উৎসাহ পেলে পণ্যের দাম নিয়ন্ত্রণ করা কঠিন হয়।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্রিমিনোলজি বিভাগের চেয়ারম্যান জিয়া রহমান বলেন, রমজান মাসে পুলিশের বিভিন্ন বিভাগ, সরকারের বিভিন্ন সংস্থা ও বিভাগ ইফতার অনুষ্ঠানের আয়োজন করে। এটা অনুৎপাদনশীল ধারণা। এটা যানজট বাড়ায় ও পণ্যের অপচয় হয়।

এ সময় ঢাকা চেম্বারের সভাপতি আবুল কাসেম খান বলেন, ‘আমরা ঢাকা চেম্বার থেকে এ বছর ইফতার অনুষ্ঠানের আয়োজন না করে একটি উদাহরণ তৈরি করতে পারি। এতে আমাদের খরচও কমবে।’

এ সময় সংগঠনটির সাবেক সহসভাপতি আবদুস সালাম বলেন, খরচের চিন্তা করে ইফতার অনুষ্ঠানের আয়োজন বাদ দেওয়া ঠিক নয়। কারণ, ইসলাম ধর্মে রোজাদারকে ইফতারি খাওয়ানো সওয়াবের কাজ।

অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ কনজ্যুমারস অ্যাসোসিয়েশনের (ক্যাব) সভাপতি গোলাম রহমানসহ বিভিন্ন পণ্যের পাইকারি ব্যবসায়ীরা উপস্থিত ছিলেন।