অগ্রাধিকার আরও ৫ প্রকল্পে গতি নেই

আওয়ামী লীগ সরকারের দুই মেয়াদে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে নেওয়া বড় প্রকল্পগুলোর মধ্যে পাঁচটির বাস্তবায়নের হার এখনো নগণ্য পর্যায়ে রয়েছে।

প্রকল্পগুলো হচ্ছে পদ্মা সেতু রেলসংযোগ স্থাপন এবং চট্টগ্রামের দোহাজারী থেকে কক্সবাজারের রামু হয়ে মিয়ানমারের কাছাকাছি গুনদুম পর্যন্ত সিঙ্গেল লাইন দ্বৈতগেজ রেলপথ, কক্সবাজারের মহেশখালীতে এলএনজি টার্মিনাল ও সোনাদিয়ায় গভীর সমুদ্রবন্দর এবং পটুয়াখালীতে পায়রা গভীর সমুদ্রবন্দরের অবকাঠামো নির্মাণ।

পদ্মা সেতু রেলসংযোগ

পদ্মা সেতু দিয়ে রাজধানী ঢাকার সঙ্গে দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চল, বিশেষ করে খুলনা পর্যন্ত ১৭২ কিলোমিটার রেলপথ নির্মাণ করা হবে। ২০১৬ সালের মে মাসে ৩৪ হাজার ৯৮৯ কোটি টাকা ব্যয়ে পদ্মা সেতু রেলসংযোগ প্রকল্প পাস করা হয়। মূল কাজ শুরু হওয়ার আগেই এই প্রকল্পে খরচ বেড়েছে ৪ হাজার ২৫৮ কোটি টাকা। সংশোধনের পর এই প্রকল্পের ব্যয় দাঁড়িয়েছে ৩৯ হাজার ২৪৬ কোটি ৮০ লাখ টাকা। এর পাশাপাশি প্রকল্পের মেয়াদ দুই বছর বাড়ানো হয়েছে। গত দুই বছরে এই প্রকল্পে বরাদ্দের মাত্র ২ হাজার ১৯৬ কোটি টাকা খরচ হয়েছে।

রামপাল কয়লাবিদ্যুৎ কেন্দ্র

বাগেরহাটের রামপাল উপজেলায় নেওয়া হয়েছে বাংলাদেশ-ভারত মৈত্রী সুপার থারমাল পাওয়ার প্রজেক্ট। প্রকল্পটি নেওয়া হয়েছে ২০১০ সালে। ১৫ হাজার ৯১৯ কোটি টাকার এ প্রকল্পে তিন-চতুর্থাংশের বেশি অর্থ ঋণ হিসেবে দিচ্ছে ভারতীয় এক্সিম ব্যাংক। এ বিদ্যুৎকেন্দ্রের উৎপাদনক্ষমতা ১ হাজার ৩২০ মেগাওয়াট। ২০১৮ সালের ডিসেম্বর মাসের মধ্যে প্রথম পর্যায়ে বিদ্যুৎ উৎপাদন শুরু হওয়ার কথা রয়েছে।

পায়রা গভীর সমুদ্রবন্দর

পায়রা গভীর সমুদ্রবন্দরের অবকাঠামো নির্মাণের জন্য ২০১৫ সালে ৩ হাজার ৩৫০ কোটি টাকার প্রকল্প নেওয়া হয়। আগে নির্মাণ করা অবকাঠামো দিয়ে সীমিত পরিসরে পায়রা বন্দরের কার্যক্রম শুরু হয়েছে। এই প্রকল্পে এখন পর্যন্ত ৬১০ কোটি টাকা খরচ হয়েছে।

মহেশখালী এলএনজি টার্মিনাল

প্রায় ছয় বছর আগে চট্টগ্রামে তরলীকৃত প্রাকৃতিক গ্যাস টার্মিনাল বা এলএনজি টার্মিনাল নির্মাণের প্রকল্প নেওয়া হয়। এখনো মূল কাজই শুরু হয়নি। নানা দেনদরবারের পর দুই বছর আগে যুক্তরাষ্ট্রের এক্সিলারেট এনার্জি নামের একটি কোম্পানির সঙ্গে ঠিকাদারি চুক্তি হয়েছে। এই প্রকল্পের ব্যয় ধরা হয়েছে ১৫৬ কোটি ডলার।

সোনাদিয়া গভীর সমুদ্রবন্দর

কক্সবাজারের সোনাদিয়ায় গভীর সমুদ্রবন্দর নির্মাণের জন্য কারিগরি ও অর্থনৈতিক সমীক্ষা শেষ হয়েছে। এটি গভর্নমেন্ট টু গভর্নমেন্ট (জি-টু-জি) পদ্ধতিতে নির্মাণ করা হবে। এ জন্য প্রাথমিকভাবে চীন, ভারত, যুক্তরাজ্যসহ বেশ কয়েকটি দেশ আগ্রহ দেখিয়েছে।