মাছের মূল্যমান বৃদ্ধিতে আমরা শুধু পিছিয়েই না, শূন্যের কাছাকাছি

প্রথম অালো ফাইল ছবি
প্রথম অালো ফাইল ছবি

মাছ উৎপাদনে বাংলাদেশ অনেক এগিয়ে গেছে। কিন্তু প্রক্রিয়াজাতকরণের মাধ্যমে মাছের মূল্যমান বৃদ্ধিতে আমরা শুধু পিছিয়েই না, শূন্যের কাছাকাছি অবস্থান করছি। প্রাণিজ আমিষের অন্যতম উৎস হওয়ার পরেও আজকালের শিশুদের মাছ খেতে আগ্রহ কম। এই শিশুদের মাছ দিয়ে তৈরি বিভিন্ন পণ্য গ্রহণের দিকে ঝোঁক বাড়াতে হবে। এসব দিক বিবেচনা করেই সরকারের নীতিনির্ধারণী পর্যায়ে কাজ করা হচ্ছে।

জাতিসংঘের কৃষি ও খাদ্য সংস্থা এবং বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা কাউন্সিলের আঞ্চলিক নীতি সংলাপ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন নেত্রকোনা-৩ আসনের সাংসদ ইফতিকার উদ্দিন তালুকদার পিন্টু। তিনি মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়সংক্রান্ত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য। বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসের পার্শ্ববর্তী দিঘারকান্দা এলাকায় অবস্থিত আসপাডা প্রশিক্ষণ একাডেমিতে আজ বৃহস্পতিবার সকাল ১০টায় ওই আঞ্চলিক নীতি সংলাপ অনুষ্ঠিত হয়।

কৃষি সেক্টরের উদ্ভাবনী ক্ষমতার দক্ষতা বৃদ্ধি প্রকল্পের আওতায় মৎস্যক্ষেত্রে সরকারের বর্তমান নীতি (পলিসি) এবং সেগুলোর সঠিক বাস্তবায়নের জন্য মৎস্য খামারি ও চাষি, বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ও গবেষক, জেলা প্রশাসন ও জনপ্রতিনিধি এবং স্থায়ীয় সুধী সমাজের মধ্যে এই সংলাপ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হলো। সংলাপ পরিচালনা এবং মৎস্যক্ষেত্রের বিভিন্ন নীতি ও পরিকল্পনা উপস্থাপন করেন কৃষি ও খাদ্য সংস্থার প্রকল্প ব্যবস্থাপক নাসরীন সুলতানা এবং বাংলাদেশ মৎস্য গবেষণা ইনস্টিটিউটের ঊর্ধ্বতন বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা মশিউর রহমান।

সংলাপে মাছের উৎপাদন খরচ ও খাদ্য নিয়ন্ত্রণ, বিদ্যুতের উচ্চমূল্য, মৎস্যচাষিদের ব্যাংকঋণ পেতে সমস্যা, মৎস্য অধিদপ্তরের জনবলের অভাব ও মাছ প্রক্রিয়াজাত বিষয়ে সরকারের নীতির বিভিন্ন দিক ও করণীয় সম্পর্কে আলোচনা করা হয়। মৎস্যখামারি ও চাষিদের এসব সমস্যা ও চাহিদার বিষয়গুলো সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভায় প্রস্তাব করবেন বলে জানান সাংসদ।

আঞ্চলিক নীতি সংলাপ অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে মৎস্য অধিদপ্তরের উপপরিচালক রেজাউল করিম এবং বাংলাদেশ ব্যাংকের উপমহাব্যবস্থাপক মনি শংকর কুণ্ডু উপস্থিত ছিলেন। সংলাপে ময়মনসিংহ অঞ্চলের অর্ধশতাধিক মৎস্যখামারি ও চাষি, পোনা ও মাছের খাদ্য উৎপাদনকারী বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের মালিক ও কর্মকর্তা এবং স্থানীয় জনপ্রতিনিধি উপস্থিত ছিলেন।