চীনা কোম্পানিগুলো বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতে বিনিয়োগ নিয়ে আসে: জ্বালানি প্রতিমন্ত্রী

বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজসম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ। প্রথম আলো ফাইল ছবি
বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজসম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ। প্রথম আলো ফাইল ছবি

বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বলেছেন, ‘আমার দরজায় প্রতিদিন অন্তত ১০টি চীনা কোম্পানি টোকা দেয়। তারা বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতে বিনিয়োগ নিয়ে আসে।’ 

সিঙ্গাপুরের একটি ব্যবসায়ী প্রতিনিধিদলের সঙ্গে বৈঠকে তিনি এসব কথা বলেন। আজ মঙ্গলবার বিকেলে রাজধানীর সোনারগাঁও হোটেলে বাংলাদেশ শিল্প ও বণিক সমিতি ফেডারেশন (এফবিসিসিআই) সিঙ্গাপুরের ব্যবসায়ীদের সঙ্গে এ বৈঠকের আয়োজন করে। এতে প্রধান অতিথি ছিলেন নসরুল হামিদ। বিভিন্ন দেশের বিনিয়োগ প্রস্তাবের উদাহরণ দিয়ে তিনি আরও বলেন, সিঙ্গাপুর হতে পারে বাংলাদেশের বিশ্বস্ত অংশীদার।

প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বলেন, উৎপাদনের পর এবার বিদ্যুৎ সঞ্চালনেও বেসরকারি বিনিয়োগের সুযোগ দিচ্ছে সরকার। এ জন্য আইন ও বিধিমালায় প্রয়োজনীয় সংশোধনী আনার কাজ চলছে।

নসরুল হামিদ বলেন, দেশের জ্বালানি ও বিদ্যুৎ খাতে আগামী পাঁচ থেকে ছয় বছরে চার হাজার কোটি ডলার বিনিয়োগ হবে, যা বাংলাদেশি মুদ্রায় ৩ লাখ ৩৬ হাজার কোটি টাকার সমান। ইতিমধ্যে চীন, জাপান, ভারতসহ বিভিন্ন দেশ এ খাতে বিনিয়োগে এগিয়ে এসেছে। তিনি সিঙ্গাপুরের ব্যবসায়ীদের জ্বালানি খাতে বিনিয়োগের সুযোগ নেওয়ার আহ্বান জানান।

অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (বিডা) নির্বাহী চেয়ারম্যান কাজী এম আমিনুল ইসলাম, এফবিসিসিআইয়ের সভাপতি মো. শফিউল ইসলাম মহিউদ্দিন, বাংলাদেশ বিজনেস চেম্বার অব সিঙ্গাপুরের সভাপতি মো. শহীদুজ্জামান ও স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ড ব্যাংক বাংলাদেশের বৈশ্বিক ব্যাংকিং বিভাগের প্রধান এনামুল হক তাঁদের বক্তব্যে বাংলাদেশে বিনিয়োগের সম্ভাবনা ও সুবিধা তুলে ধরেন। অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন এফবিসিসিআইয়ের জ্যেষ্ঠ সহসভাপতি শেখ ফজলে ফাহিম।
অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ অর্থনৈতিক অঞ্চল কর্তৃপক্ষের (বেজা) নির্বাহী চেয়ারম্যান পবন চৌধুরী, সিঙ্গাপুর ইন্ডিয়ান চেম্বারের সহসভাপতি প্রসূন মুখার্জিসহ বাংলাদেশ ও সিঙ্গাপুরের ব্যবসায়ীরা উপস্থিত ছিলেন।