দুর্নীতিপরায়ণদের সঙ্গে আমাদের মেলাবেন না

আহসান খান চৌধুরী
আহসান খান চৌধুরী
>

প্রাণ পুরোপুরি বাংলাদেশের ব্র্যান্ড। প্রাণের ব্র্যান্ড হয়ে ওঠার গল্প অবশ্য খুব মসৃণ নয়। মাত্র ৩৭ বছরে টিউবওয়েল উৎপাদনকারী ছোট্ট একটা কোম্পানি থেকে প্রাণ-আরএফএল গ্রুপ হয়ে উঠেছে দেশের শীর্ষস্থানীয় শিল্পগোষ্ঠীর একটি। এই পথচলায় কখনো তাদের বিরুদ্ধে উঠেছে বিভিন্ন অভিযোগ, আবার অনেক সময় নানা ধরনের অপপ্রচারের মুখে পড়তে হয়েছে তাদের। ব্যবসা, ভবিষ্যৎ লক্ষ্য, বাংলাদেশে কৃষি প্রক্রিয়াজাত পণ্যের বাজারের পাশাপাশি প্রাণ-আরএফএলের বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ আর অপপ্রচার নিয়ে প্রতিষ্ঠানটির চেয়ারম্যান ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা আহসান খান চৌধুরী কথা বলেছেন প্রথম আলোর সঙ্গে। আলোচনায় এসেছে প্রাণের পণ্য রপ্তানি ও মানের বিষয়টিও। সাক্ষাৎকার নিয়েছেন রাজীব আহমেদ।

প্রথম আলো: আমরা সবাই জানি, প্রাণ-আরএফএলের পণ্য সারা দেশে পাওয়া যায়। পাশাপাশি বিভিন্ন দেশে রপ্তানি হচ্ছে। প্রকৃতপক্ষে আপনাদের ব্যবসা এখন কতটুকু বিস্তৃত?

আহসান খান চৌধুরী: আরএফএল যাত্রা শুরু করে ১৯৮১ সালে। এরপর প্রাণ ১৯৮৫ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়। এখন দেশের ১৩টি স্থানে আমাদের কারখানা আছে। প্রাণের শ্রেণিভিত্তিক পণ্যসংখ্যা ৮০০ এবং আরএফএলের ১ হাজার ৮০০। প্রাণ-আরএফএলের অধীন ২৫টি কোম্পানি আছে। এতে সরাসরি কাজ করেন এক লাখের বেশি মানুষ। পরোক্ষ কর্মসংস্থান প্রায় ১৫ লাখ মানুষের। প্রাণের সঙ্গে চুক্তিভিত্তিক কাজ করেন ৮০ হাজার কৃষক। দেশের প্রতিটি জায়গায় প্রাণের পণ্য পৌঁছে গেছে। পাশাপাশি ১৪১টি দেশে আমরা পণ্য রপ্তানি করি। আমাদের ব্র্যান্ড সংখ্যা ২০০টির মতো।

প্রথম আলো: প্রাণের পণ্য বিভিন্ন দেশে রপ্তানি হচ্ছে। এর মধ্যে ভারত অন্যতম। প্রতিবেশী দেশের বাজারে আপনারা কীভাবে ভালো করছেন?

আহসান খান চৌধুরী: ভারতসহ অন্যান্য রপ্তানি বাজারে ভালো করার কারণ তুলনামূলক কম দামে মানসম্পন্ন পণ্য পৌঁছে দেওয়া। ২০ বছর আগে আমরা প্রথম আগরতলায় গিয়ে দেখলাম, সেখানে পণ্য রপ্তানির সুযোগ আছে। এরপর ভারতের ত্রিপুরা রাজ্যে আমরা আমদানিকারক ও পরিবেশক নিয়োগ করলাম। এভাবেই শুরু। এখন ১৫টি রাজ্যে আমরা পণ্য রপ্তানি করি। আগামী কয়েক বছরে প্রাণ ভারতের প্রতিটি রাজ্যে পৌঁছে যাবে আশা করা যায়।

প্রথম আলো: ভারতে প্রাণের কারখানা আছে বলে বলা হয়। আসলে সেই কারখানার মালিকানার ধরন কী?

আহসান খান চৌধুরী: বাংলাদেশের প্রাণের সঙ্গে ভারত ও নেপালের প্রাণের মালিকানার কোনো সম্পর্ক নেই। ভারতের প্রতিষ্ঠান আমাদের কাছ থেকে প্রাণ নামটি ব্যবহারের অনুমতি নিয়েছে। তাদের কাছে আমরা কাঁচামাল পাঠাই। তারা সেটা দিয়ে পণ্য তৈরি করে। আমরা ভারতে কারখানা করিনি। তবে আমি সরকারের কাছে অনুরোধ জানাব, যাতে সরকার বাংলাদেশি প্রতিষ্ঠানকে বিবেচনা সাপেক্ষে বিদেশে বিনিয়োগের অনুমতি দেয়।

প্রথম আলো: ভারতে যেসব পণ্য রপ্তানি হয়, অথবা যেসব পণ্য মধ্যপ্রাচ্য ও ইউরোপে যায়, সেগুলো কি আলাদা কোনো কারখানায় তৈরি হয়? নাকি দেশে বিপণন করা পণ্য ও রপ্তানি হওয়া পণ্য একই কারখানায় তৈরি?

আহসান খান চৌধুরী: না। রপ্তানি পণ্য আলাদা কোনো কারখানায় তৈরি হয় না। আর ভারতে রপ্তানি হওয়া পণ্যের সঙ্গে মানেরও কোনো পার্থক্য নেই। কারণ, ভারত বাংলাদেশের মান নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ স্ট্যান্ডার্ড অ্যান্ড টেস্টিং ইনস্টিটিউশনের (বিএসটিআই) মান সনদ গ্রহণ করে। তবে ইউরোপ ও আরও কিছু ক্ষেত্রে বিদেশি ব্র্যান্ড তাদের চাহিদা অনুযায়ী পণ্য চায়। আমরা সে অনুযায়ী তৈরি করে দিই।

প্রথম আলো: তাহলে প্রাণের পণ্যের মান নিয়ে কিছু অভিযোগের কথা শোনা যায়, সে বিষয়ে আপনার উত্তর কী হবে?

আহসান খান চৌধুরী: দেখেন, আমাদের অনেক প্রতিযোগী আছে। অনেকে আমাদের কাছে নানা সুবিধা চায়। তাদের আমরা সব সময় হয়তো সন্তুষ্ট করতে পারি না। এসব কারণেই তারা আমাদের বিরুদ্ধে নানা কথা বলে। প্রাণ তার পণ্যের মান রক্ষা ও উন্নয়নে সর্বদা সচেষ্ট। আমরা কী প্রক্রিয়ায় পণ্য উৎপাদন করি, তা দেখার জন্য আপনাকে আমন্ত্রণ জানাচ্ছি। গণমাধ্যমের জন্য দরজা খোলা। তারা কারখানায় যাওয়ার জন্য আমাদের জানালে আমরাই নিয়ে যাব। এখানে গোপনে যাওয়ার প্রয়োজন নেই, গোপন করার কিছু নেই।

দেশে আমরা নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষ ও বিএসটিআইয়ের সঙ্গে কাজ করি। বৈশ্বিক সংস্থা ব্যুরো ভেরিতাস আমাদের কারখানা নিরীক্ষা করে। আমাদের পণ্য পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে মান পরীক্ষার সম্মুখীন হয়। সেখানে উত্তীর্ণ হওয়ার পরেই কেবল তাদের বাজারে পণ্য বিক্রির সুযোগ পাওয়া যায়। ওই সব দেশের ক্রেতা প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধিরা বারবার আমাদের কারখানা পরিদর্শনে আসেন।

প্রথম আলো: কারখানায় আমের মণ্ড রাসায়নিক দিয়ে সংরক্ষণ করার বিষয়ে কিছু বলবেন?

আহসান খান চৌধুরী: যারা পণ্য সংরক্ষণের বিষয়ে কিছু জানে না, তারা এটা নিয়ে অভিযোগ করে। আমের মণ্ড সংরক্ষণে সংরক্ষক বা প্রিজারভেটিভ মাত্রা অনুযায়ী ব্যবহার বৈধ। মৌসুমের সময় সংগ্রহ করে আমের মণ্ড তৈরি করে এভাবেই সংরক্ষণ করা হয়। এটা দুই বছর পর্যন্ত ভালো থাকে। আমেরিকার বাজারেও আপনি প্রিজারভেটিভ দিয়ে পণ্য বাজারজাত করতে পারবেন, তবে মাত্রা সীমার মধ্যে রাখতে হবে। আমরা এখন নতুন প্রযুক্তিতে আম প্রক্রিয়াজাত করি, যা হিমাগারে রাখা হয়। কারখানায় খোলা আকাশের নিচে কিছু রাখা হয় না। ব্রাজিল থেকে আমরা যখন অরেঞ্জ জুস কনসেনট্রেট (ঘন অবস্থায় থাকা ফলের রস) কিনে নিয়ে আসি, সেটা কিন্তু হিমায়িতই থাকে। তাহলে আপনি কি বলবেন, ব্রাজিলের ওই পণ্য খারাপ। পৃথিবীতে ফলের রস সংরক্ষণের পদ্ধতিই এটা। হিমাগারের আলুই কিন্তু আমরা সারা বছর খাই।

আমি এখানে একটি কথা বলতে চাই, চোখের দেখায় অপপ্রচার না চালিয়ে আমাদের পণ্য স্বীকৃত পরীক্ষাগারে পরীক্ষা করে দেখা যেতে পারে। তাহলেই সবকিছু পরিষ্কার হয়ে যাবে।

প্রথম আলো: দুধে ভেজাল দেওয়ার অভিযোগ সম্পর্কেও নিশ্চয়ই শুনেছেন। জবাব কী বলবেন?

আহসান খান চৌধুরী: দুধে ভেজাল দেওয়ার কথা বলা হলে আমি খুব ব্যথিত হই। এখানে ভেজাল দেওয়ার কোনো উপায়ই নেই। আমরা দুধ কিনি খামারিদের কাছ থেকে। আজকের দিনে রাজশাহীর বাঘাবাড়ি এলাকায় প্রাণের ৩০০ জন সম্প্রসারণকর্মী কাজ করছেন। দুধে যাতে ভেজাল দেওয়া না হয়, সে জন্য আমরা যন্ত্রপাতি বসিয়েছি, পরীক্ষক নিয়োগ করেছি। প্রতিদিন আমরা দুই লাখ লিটার দুধ কিনি। কেউ যদি বলে আমরা দুধে ভেজাল দিই, সেটা কৃষককে অবমাননার শামিল। এ ক্ষেত্রেও চোখের দেখা নয়, আপনারা পরীক্ষা করে দেখুন।

প্রথম আলো: ফরমালিন নিয়ে কী বলবেন?

আহসান খান চৌধুরী: ফরমালিন নিয়ে আমাদের অনেক ভোগান্তি হয়েছে। কয়েক বছর আগে মেহেরপুরের গাংনীতে আমাদের আমের মণ্ডের ড্রাম ফেলে দেওয়া হলো। আমরা তাদের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তবে আমি বলতে চাই, যে যন্ত্রটি দিয়ে ফরমালিন পরীক্ষা করা হতো, সেটা উচ্চ আদালতের নির্দেশে পরীক্ষার পর অকার্যকর প্রমাণিত হয়েছে। এখন নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষও কিন্তু বলেছে, ফরমালিন কখনো মাছ ও মাংস ছাড়া অন্য কিছুতে কাজ করে না।

দেখেন, প্রাণ দেশের সম্পদ। আমার বাবা প্রাণ ব্র্যান্ডকে সঙ্গে নিয়ে পরলোকে যেতে পারেননি। আমার বয়স ৪৮ বছর, আমাকেও একসময় চলে যেতে হবে। অনুগ্রহ করে আমাদের দুর্নীতিপরায়ণ ব্যবসায়ীদের সঙ্গে মেলাবেন না। আমাদের সংকল্প ছিল দেশে কৃষি বিপ্লব ঘটানো, মানুষের কর্মসংস্থান করা। মৃত্যুর আগ পর্যন্ত আমিও সেই চেষ্টা চালিয়ে যাব।

প্রথম আলো: কয়েক বছর আগে আপনাদের হলুদের গুঁড়ায় সিসা পাওয়া গিয়েছিল?

আহসান খান চৌধুরী: আমরা হলুদ কিনি কৃষকের কাছ থেকে। তাঁরা বিক্রির জন্য হলুদের ওপর রং করেন। ওই রঙে যে ডাই, তাতে সিসা রয়েছে। এটা ধরা পড়ার পর আমরা কৃষকের কাছ থেকে রং করা হলুদ কেনা বন্ধ করেছি। এরপর পাঁচ কোটি টাকা খরচ করে সিসা পরীক্ষার যন্ত্র বসিয়েছি। এখন হলুদের গুঁড়া কোনো বাধা ছাড়াই রপ্তানি হচ্ছে।

প্রথম আলো: অনেকের মধ্যে একটা ধারণা, ম্যাঙ্গো ড্রিংকে আম নেই।

আহসান খান চৌধুরী: প্রাণের ম্যাঙ্গো ড্রিংকে আম আছে কি না, এর উত্তর উত্তরবঙ্গের কৃষকেরা দিতে পারবেন। আমরা তাঁদের ওপর দায়িত্ব ছেড়ে দিচ্ছি। আমরা প্রচুর পরিমাণে আম কিনি। যাঁরা ড্রিংকের বদলে শতভাগ জুস পান করতে চান, তাঁদের জন্য আমরা একটি ব্র্যান্ড এনেছি। নাম ল্যাটিনা।

প্রথম আলো: জমি দখলের অভিযোগের জবাব কী হবে?
আহসান খান চৌধুরী: দেখেন, আমরা জমির ব্যবসা করি না। এ ব্যবসা করার কোনো ইচ্ছাও আমাদের নেই। কারখানা করার জন্য যা প্রয়োজন, ততটুকু জমি আমরা কিনেছি। জমি দখলের অভিযোগ একেবারেই অমূলক। কেউ যদি অভিযোগকারী থাকেন, আমাদের কাছে এলে আমরা তাঁর সমস্যা জেনে সমাধান করব।

প্রথম আলো: কারখানায় পরিবেশদূষণের ব্যাপারেও কথা হচ্ছে।

আহসান খান চৌধুরী: আমাদের প্রতিটি কারখানায় বর্জ্য পরিশোধনাগার আছে। আমরা প্রায় ২০০ কোটি টাকা ব্যয়ে এসব পরিশোধনাগার করেছি। সেগুলো ভালোভাবে চলে। পরিবেশদূষণের অভিযোগ সত্য নয়। নাটোরের কারখানায় দূষণের অভিযোগ তদন্তের জন্য উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কার্যালয় একটি তদন্ত কমিটি করেছিল। কমিটির পরিদর্শন চলার সময় অভিযোগকারী সব অভিযোগ প্রত্যাহার করে নেন। এ বিষয়ে নথিপত্র আমি আপনাকে দিতে পারি।

প্রথম আলো: আমি শেষ প্রশ্ন করব। আপনার কোম্পানি যে পণ্য তৈরি করে, সেটা আপনি বা আপনাদের পরিবারের সদস্যরা কি গ্রহণ করেন?

আহসান খান চৌধুরী: সব সময়। প্রতিটি পণ্য আমি নিজে গ্রহণ করি। ভালো-মন্দ জানাই। শুধু নিজে না, আমাদের পরিবারের সদস্যরা প্রাণের পণ্য গ্রহণ করে। আমরা প্রাণকে ভালোবাসি।

প্রথম আলো: এবার তাহলে আপনাদের শুরুটা জানা যাক। প্রাণ-আরএফএলের যাত্রার শুরুটা কীভাবে হয়েছিল?

আহসান খান চৌধুরী: প্রথমে যাত্রা শুরু করে আরএফএল। আমার বাবা সামরিক বাহিনীর চাকরি থেকে অবসর নিয়ে ১৯৮১ সালে রংপুরের বিসিক শিল্পনগরে একটি টিউবওয়েল তৈরির ছোট কারখানা করেন। তখন জাতিসংঘের সংস্থা ইউনিসেফ সাধারণ মানুষকে সুপেয় পানির ব্যবস্থা করতে টিউবওয়েল সরবরাহ করত। আমার বাবা দেখলেন টিউবওয়েল তৈরি করলে সেটা বিক্রি করা সম্ভব। পাশাপাশি মানুষের সুপেয় পানিরও ব্যবস্থা হয়।
এরপর আমরা কৃষিপণ্য উৎপাদন করে তা ঢাকার কারওয়ান বাজারে বিক্রি শুরু করি। দেখা গেল, মৌসুমের সময় অতি সরবরাহের কারণে পণ্যের দাম কমে যায়। তখন বাবা চিন্তা করলেন কৃষিপণ্য প্রক্রিয়াজাত করতে পারলে মূল্য সংযোজন সম্ভব। পাশাপাশি কৃষিপণ্যেরও ভালো দাম পাবেন কৃষক। সেই চিন্তা থেকেই তিনি প্রাণ প্রতিষ্ঠা করেন।

প্রথম আলো: আপনার বাবা সেনাবাহিনীর একজন কর্মকর্তা ছিলেন। পারিবারিকভাবে আপনাদের ব্যবসায়ের অভিজ্ঞতা ছিল না। এই যে প্রাণ-আরএফএলের সাফল্য, এর পেছনে সূত্র কী কী?

আহসান খান চৌধুরী: প্রথমত, আমি বলব পণ্যের দাম। বাংলাদেশে আমরা মানুষের ক্রয়ক্ষমতার প্রতি খুবই শ্রদ্ধাশীল। আমি আমার মাকে দেখেছি, কীভাবে তিনি বাবার সীমিত আয়ে সংসার চালাতেন। সে কারণেই আমরা মানুষের ক্রয়ক্ষমতার মধ্যে পণ্যের দাম রাখার চেষ্টা করি। এ জন্য ব্যবসার বিস্তৃতির প্রয়োজন হয়। প্রাণ সেটা অর্জন করেছে। দ্বিতীয়ত, প্রাণ পণ্য কিনে যাতে ক্রেতার কখনো মনে না হয় যে তিনি ঠকেছেন। এ চেষ্টা আমাদের সর্বদা থাকে। ক্রেতা যদি মনে করেন তিনি ঠকেছেন, তাহলে সেই ক্রেতাকে আর পাওয়া যায় না।

তৃতীয়ত, আমরা প্রাণের পণ্য হাতের নাগালে পৌঁছে দিই। প্রত্যন্ত অঞ্চলেও আপনি প্রাণের পণ্য পাবেন। এর বাইরে প্রাণের কর্মী বাহিনীর কাজের মূল্যায়ন করা হয়। কেউ যদি একজন ব্যবস্থাপনা প্রশিক্ষণার্থী হিসেবেও প্রাণে যোগদান করেন, আমরা আশা করি তিনি একসময় কোম্পানির পরিচালক হবেন। ফলে কর্মীরাই প্রাণকে এগিয়ে নিতে ভূমিকা রাখেন।

একনজরে প্রাণ-আরএফএল
যাত্রা শুরু: ১৯৮১ সালে
কোম্পানির সংখ্যা: ২৫
কারখানা: দেশের ১৩টি জায়গায়
পণ্যের সংখ্যা: ২৬০০
ব্র্যান্ড: ২০০টির মতো
কর্মসংস্থান: সরাসরি ১ লাখের বেশি। 
পরোক্ষ প্রায় ১৫ লাখ।
রপ্তানি আয়: ২০১৭-১৮ অর্থবছরে ২৮০০ কোটি টাকা, প্রবৃদ্ধি ৪২ শতাংশ
চুক্তিভিত্তিক কৃষক: ৮০ হাজার