নির্বাচনে প্রার্থী হতে রিটার্ন জমা বাধ্যতামূলক

জাতীয় সংসদ নির্বাচনে প্রার্থী হতে হলে কর শনাক্তকরণ নম্বর (টিআইএন) থাকার পাশাপাশি আয়কর বিবরণী জমা বা রিটার্ন দেওয়া বাধ্যতামূলক। আয়কর অধ্যাদেশেই এই শর্ত দেওয়া হয়েছে। সেখানে বলা হয়েছে, কোনো পৌরসভা বা সিটি করপোরেশনের কোনো পদে বা সংসদ সদস্য পদে প্রার্থী হতে হলে রিটার্ন দিতে হবে। এনবিআর চাইলে জাতীয় সংসদ নির্বাচনে যাঁরা প্রার্থী হন, তাঁরা রিটার্ন জমা দিয়েছেন কি না, তা খোঁজখবর নিতে পারে।

এর বাইরে আয়কর অধ্যাদেশে ১০ ধরনের পেশাজীবীর রিটার্ন জমা বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। এই ১০ ধরনের পেশাজীবীর করযোগ্য আয় না থাকলেও রিটার্ন জমা বাধ্যতামূলক। এবার জেনে নিই, এই পেশাজীবীর তালিকায় কারা আছেন। যাঁদের বাধ্যতামূলক রিটার্ন জমা দিতে হবে, তাঁরা হলেন চিকিৎসক, দন্তচিকিৎসক, আইনজীবী, হিসাববিদ, ব্যয় ও ব্যবস্থাপনাবিষয়ক বিশেষ হিসাববিদ, প্রকৌশলী, স্থপতি, জরিপকারী, আয়কর পেশাজীবী এবং সরকারি, আধা সরকারি, স্বায়ত্তশাসিত সংস্থা বা স্থানীর সরকারে অংশগ্রহণকারী ঠিকাদার।

সামাজিক অবস্থান ও জীবনযাত্রার বিবেচনায় এসব শ্রেণি-পেশার মানুষের বার্ষিক আয় আড়াই লাখ টাকার কম নয়। এ কারণেই তাঁদের রিটার্ন জমা দেওয়া বাধ্যতামূলক করেছে এনবিআর। তবে যাঁদের আয় সত্যিকার অর্থেই আড়াই লাখ টাকার কম, তাঁরা রিটার্ন দিয়ে আয়-ব্যয়ের ধারাবাহিকতা রক্ষা করবেন। সে ক্ষেত্রে রিটার্ন জমা দিলেও কর দিতে হবে, এমন               কথা নেই।

অন্যদিকে কিছু কিছু ব্যবসায়ীর ক্ষেত্রে রিটার্ন জমা বাধ্যতামূলক, যেমন বণিক বা শিল্পবিষয়ক চেম্বার বা ব্যবসায়ী সংঘের সদস্য, এমন ব্যবসায়ীদের অবশ্যই বছর শেষে আয়কর বিবরণী জমা দিতে হবে। আবার অনেকেই সিটি করপোরেশন, পৌরসভা অথবা ইউনিয়ন পরিষদ থেকে ট্রেড লাইসেন্স নিয়ে ব্যবসা করেন, তাঁরাও বাধ্যতামূলক রিটার্ন দেওয়ার তালিকায় আছেন। অন্যদিকে কোনো কোম্পানির শেয়ারধারী পরিচালক বা কর্মী, ফার্মের অংশীদার হলেও রিটার্ন দিতেই হবে।

চাকরিজীবীদের মধ্যে বেসরকারি চাকরিজীবীদের রিটার্ন জমা বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। ৩০ নভেম্বর পর্যন্ত রিটার্ন দেওয়া যাবে। সেই রিটার্নে ২০১৭ সালের জুলাই থেকে ২০১৮ সালের জুন মাস পর্যন্ত আয়-ব্যয়ের হিসাব দিতে হবে। তাতে করযোগ্য হলে কর দিতে হবে।