তৃতীয় দ্রুত বর্ধনশীল অর্থনীতির দেশ হচ্ছে বাংলাদেশ

বিশ্বের তৃতীয় দ্রুত বর্ধনশীল অর্থনীতির দেশ হচ্ছে বাংলাদেশ। জাতিসংঘের এক প্রতিবেদনের বরাত দিয়ে এই কথা জানিয়েছে সংবাদমাধ্যম এসডি এশিয়া।

‘বিশ্ব অর্থনৈতিক পরিস্থিতি ও প্রত্যাশা’ শীর্ষক জাতিসংঘের ওই প্রতিবেদনে বলা হয়, মোট দেশজ উৎপাদনের (জিডিপি) উন্নয়নের ধারায় ২০১৯ সালের মধ্যে বাংলাদেশ হবে বিশ্বের তৃতীয় দ্রুত বর্ধনশীল অর্থনীতির দেশ। চলতি বছর শক্তিশালী স্থায়ী বিনিয়োগ, ক্রমবর্ধমান বেসরকারি খাত ও অভিযোজিত আর্থিক নীতির কারণে চলতি বছরে বাংলাদেশের জিডিপি দাঁড়াবে ৭ দশমিক ৪ শতাংশে। একই প্রতিবেদন বলা হয়, জিডিপি ৮ দশমিক ১ শতাংশ নিয়ে দ্রুত বর্ধনশীল অর্থনীতির দেশ হিসেবে সবার আগে থাকছে সুদান। ৭ দশমিক ৬ শতাংশ জিডিপি নিয়ে দ্বিতীয় স্থানে থাকবে ভারত।

বাংলাদেশে দেশীয় মুদ্রার মূল্যহ্রাস ও তেলের উচ্চ দামের কারণে ২০১৮ সালে বাজারে মুদ্রাস্ফীতি দেখা গেলেও চলতি বছর পরিস্থিতি স্থিতিশীল থাকবে বলে আশা করা হয়েছে ওই প্রতিবেদনে।

দক্ষিণ এশিয়ার অর্থনীতির ওপর গুরুত্ব দিয়ে জাতিসংঘের ওই প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, ২০১৯ সালের মধ্যে আঞ্চলিক জিডিপি বেড়ে ৫ দশমিক ৪ শতাংশে এবং ২০২০ সালের মধ্যে ৫ দশমিক ৯ শতাংশে উন্নীত হবে বলে আশা করা হচ্ছে।

এদিকে অতিধনী বৃদ্ধির হারের দিক থেকে বাংলাদেশ ছিল বিশ্বে প্রথম। আর কিছুদিন আগে ধনী মানুষের সংখ্যা বৃদ্ধির হারের দিক থেকেও বাংলাদেশের অবস্থান হয় বিশ্বে তৃতীয়। এই দুটি তথ্যই যুক্তরাষ্ট্রের সম্পদ গবেষণা প্রতিষ্ঠান ওয়েলথ-এক্সের। সংস্থাটি বলছে, আগামী পাঁচ বছর বাংলাদেশে ধনী মানুষের সংখ্যা ১১ দশমিক ৪ শতাংশ হারে বাড়বে।

১০ লাখ থেকে ৩ কোটি মার্কিন ডলারের সম্পদের মালিককে (সাড়ে ৮ কোটি থেকে ২৫০ কোটি টাকা) এই তালিকায় রেখেছে ওয়েলথ-এক্স। প্রতিষ্ঠানটি তাদের উচ্চ সম্পদশালী বা হাই নেট ওর্থ (এইচএনডব্লিউ) বলে অভিহিত করেছে। গত ১৬ জানুয়ারি ‘গ্লোবাল এইচএনডব্লিউ অ্যানালাইসিস: দ্য হাই নেট ওর্থ হ্যান্ডবুক’ শীর্ষক এই প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয়েছে। আর অতিধনী বৃদ্ধির প্রতিবেদনটি প্রকাশ পেয়েছিল গত বছরের সেপ্টেম্বরে।