রিজার্ভ চুরি নিয়ে আর কত তদন্ত?

চলতি অর্থবছরের দ্বিতীয়ার্ধের মুদ্রানীতি ঘোষণা অনুষ্ঠানে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাব দেন গভর্নর ফজলে কবির। ঢাকা, ৩০ জানুয়ারি। ছবি: প্রথম আলো
চলতি অর্থবছরের দ্বিতীয়ার্ধের মুদ্রানীতি ঘোষণা অনুষ্ঠানে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাব দেন গভর্নর ফজলে কবির। ঢাকা, ৩০ জানুয়ারি। ছবি: প্রথম আলো

বাংলাদেশ ব্যাংকের রিজার্ভ চুরি নিয়ে গভর্নর ফজলে কবির বলেছেন, ‘একটি বিষয় নিয়ে আর কত তদন্ত হবে আমি ঠিক জানি না। এফবিআই করেছে, ফিলিপাইন করেছে, আমাদের সিআইডি করছে, এ ঘটনায় গঠিত কমিটিও তদন্ত করেছে। আপনারা কি চান তদন্ত হতেই থাকবে, আর আমরা মূল কাজ থেকে এ নিয়ে বেশি ব্যস্ত থাকি।’ 

বাংলাদেশ ব্যাংক ভবনে আজ বুধবার সকালে চলতি অর্থবছরের দ্বিতীয়ার্ধের মুদ্রানীতি ঘোষণা অনুষ্ঠানে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে গভর্নর এসব কথা বলেন। মুদ্রানীতি ঘোষণা অনুষ্ঠানে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের ডেপুটি গভর্নর এস এম মনিরুজ্জামান, বাংলাদেশ ব্যাংকের পরিবর্তন ব্যবস্থাপনা পরামর্শক আল্লাহ মালিক কাজমী, বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিটের (বিএফআইইউ) প্রধান আবু হেনা মোহাম্মদ রাজি হাসান, ব্যাংকিং সংস্কারবিষয়ক উপদেষ্টা এস কে সুর চৌধুরীসহ সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

গতকাল মঙ্গলবার প্রকাশিত খবরে জানা গেছে, রিজার্ভ চুরির অর্থ ফিরিয়ে আনতে ও দোষীদের বিচারে অবশেষে মামলা করতে যাচ্ছে বাংলাদেশ ব্যাংক। বুধবার যুক্তরাষ্ট্রের সাউদার্ন ডিস্ট্রিক্ট কোর্টে এ দেওয়ানি মামলা হবে। কোনো কারণে বুধবার না হলে বৃহস্পতিবার মামলাটি হবে। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের পক্ষে নিযুক্ত যুক্তরাষ্ট্রের একটি আইনি সহায়তা প্রতিষ্ঠান এ মামলা করবে।

রিজার্ভ চুরি বিষয়ে প্রশ্নের জবাবে আজ গভর্নর বলেন, ‘সব প্রস্তুতি শেষে যুক্তরাষ্ট্রের আদালতে মামলা হচ্ছে। আজ রাতেই মামলাটি দায়ের করা হবে। এর মাধ্যমে রিজার্ভের অর্থ ফেরত পাওয়া যাবে। বাংলাদেশ ব্যাংকের একটি দল এ নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের একটি আইনি প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে কাজ করছে। এ জন্য আমরা ফেডারেল রিজার্ভ ব্যাংক অব নিউইয়র্কের সঙ্গে একটি চুক্তিও করেছি। তারা অর্থ উদ্ধারে সহায়তা দেবে। এ মামলার মাধ্যমে সব অর্থ আদায় করা যাবে। মামলা হবে সব সুবিধাভোগীর বিরুদ্ধে।’ 

রিজার্ভ চুরির ঘটনার তদন্ত প্রতিবেদন প্রকাশ বিষয়ে ফজলে কবির বলেন, ২০১৬ মালের মে মাসে তারা রিপোর্ট দিয়েছে। বাংলাদেশ ব্যাংক ওই বছরের মার্চে মামলা দায়ের করে। সিআইডি এ নিয়ে তদন্ত করছে। সরকার হয়তো ভাবছে—একটি তদন্ত চলছে, তাই সেভাবে সিদ্ধান্ত নিয়েছে। সরকার যদি মনে করে, তাহলে প্রকাশ করতে পারে।

কেন্দ্রীয় ব্যাংকের কারা দোষী ও কোনো বিভাগীয় তদন্ত কমিটি করা হবে কি না? এ নিয়ে গভর্নর বলেন, ‘সিআইডি তদন্ত করছে। এরপর বলা যাবে কারা দোষী। সিআইডির তদন্ত কবে শেষ হবে, তারাই ভালো জানাতে পারবেন। আপনারা সঠিক জায়গায় গিয়ে প্রশ্ন করুন। একটি বিষয় নিয়ে আর কত তদন্ত হবে আমি ঠিক জানি না।’