বাজারে ডিম-আলু লাফাচ্ছে, দমেছে পেঁয়াজ-মুরগি

ঢাকার বাজারে কমেছে পেঁয়াজ ও মুরগির দাম। বেড়েছে ডিম ও আলুর। পবিত্র রমজান মাস শেষে চাহিদা কমে যাওয়ায় কমেছে ছোলার দামও।

বিক্রেতারা বলছেন, একে তো করোনার প্রভাব, তার ওপর ঈদের ছুটির আমেজ কাটেনি। সব মিলিয়ে বাজারে ক্রেতা কম। এরই মধ্যে পাইকারি বাজারে পেঁয়াজের দাম কমেছে। ঢাকার মসলাজাতীয় পণ্যের পাইকারি বাজার শ্যামবাজার ও মিরপুর ১ নম্বর সেকশনের ব্যবসায়ীরা জানান, দেশি পেঁয়াজ প্রতি কেজি ৩৫ থেকে ৪০ টাকা ও আমদানি করা পেঁয়াজ ২৫ থেকে ৩০ টাকায় বিক্রি হয়েছে। ঈদের আগে পাইকারিতে দেশি পেঁয়াজ ৪৫ টাকা ও আমদানি করা পেঁয়াজ ৩৫ টাকায় বিক্রি হয়েছিল। খুচরায় দেশি পেঁয়াজের কেজি ৪০ থেকে ৪৫ টাকা। আর ভারতীয় পেঁয়াজের দাম ৪০ টাকা। এ দাম ঈদের আগের তুলনায় ৫ টাকা কম।
শ্যামবাজারের ব্যবসায়ী নারায়ণ চন্দ্র সাহা প্রথম আলোকে বলেন, বাজারে তেমন কোনো ক্রেতা নেই। দামও কমতি।
ঈদের আগে ঢাকার বাজারে ব্রয়লার মুরগির প্রতি কেজির দর ১৯০ টাকায় উঠেছিল। এখন তা কমে ১৫০ টাকায় নেমেছে। এ ছাড়া কক মুরগি প্রতি কেজি ২৫০ ও দেশি মুরগি ৫০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
বেড়েছে ডিমের দাম। ঈদের আগে ফার্মের মুরগির ডিমের ডজন (১২টি) ছিল ৮০ টাকার আশপাশে। এখন তা বেড়ে ৯৫ থেকে ১০০ টাকায় উঠেছে। বিক্রেতারা বলছেন, রোজা শেষে ডিমের চাহিদা একটু বাড়তি। কেজিতে ৫ টাকা বেড়ে আলু ২৮ থেকে ৩০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
ছোলার কেজি নেমেছে ৬৫ থেকে ৭০ টাকায়, যা আগের চেয়ে ৫ টাকা কম। বিক্রেতাদের দাবি, এবার রমজানে ছোলা বিক্রি কম হয়েছে। এখন চাহিদা কম।