প্রবৃদ্ধি নিয়ে যে সন্দেহ তা অযৌক্তিক নয়

মইনুল ইসলাম

বাংলাদেশে অনেক দিন আগে থেকে জিডিপি প্রবৃদ্ধি বাড়িয়ে বলার প্রবণতা শুরু করেছে। বর্তমান পরিকল্পনামন্ত্রীর আগে ওই মন্ত্রণালয়ের যিনি দায়িত্বে ছিলেন ওই সময় থেকেই এ চর্চা ও বিতর্ক শুরু হয়েছে। প্রবৃদ্ধির বিশ্বাসযোগ্যতা নিয়ে প্রশ্ন থাকায় বিশ্বব্যাংক এই প্রবৃদ্ধিকে মেনে নেয় না। তবে এটাও ঠিক, আমাদের অর্থনীতি যে খুব খারাপ করছে, তা বলা যাবে না।

গত অর্থবছরে প্রথম ৯ মাসে অর্থনীতি ভালো করেছে। ১৭ মার্চ থেকে করোনার কারণে ব্যবসা-বাণিজ্যে একধরনের ধস নেমে আসে। দেশে লকডাউন দেওয়া হয়। প্রশ্ন হলো এরপরও কীভাবে আগের বছরের চেয়ে কিছু খাতে বেশি প্রবৃদ্ধি হলো। তবে আমাদের যেহেতু জিডিপির হিসাব বের করার বিকল্প কোনো ব্যবস্থা নেই, তাই না চাইলেও যা বলা হচ্ছে, তা মেনে নিতে হচ্ছে।

পরিসংখ্যান ব্যুরো যেহেতু পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের অধীনে। তাই তাদের নির্দেশনা মেনে কাজ করতে হয়। তথ্য কারসাজি করতে হয়। প্রবৃদ্ধি নিয়ে যে সন্দেহ, তা অযৌক্তিক নয়। জিডিপির হিসাবে নানা কারসাজির সুযোগ আছে, সরকার সেই সুযোগ কাজে লাগাচ্ছে। যেহেতু জিডিপি তথ্য কারসাজি করে বাড়িয়ে দেখানো শুরু হয়েছে, তাই শিগগিরই এ থেকে কেউ বের হয়ে আসবে না। এমনকি পরবর্তী সরকারও এ থেকে বের হয়ে আসতে পারবে না। কারণ, জিডিপি এখন রাজনৈতিক বক্তব্যের অংশ।

লেখক, সাবেক সভাপতি, অর্থনীতি সমিতি