এক সপ্তাহে তোবার সমস্যা সমাধানের আশ্বাস বিজিএমইএর

তোবা গ্রুপের পাঁচটি পোশাক কারখানার শ্রমিকদের বেতন-বোনাস নিয়ে সৃষ্ট জটিলতা এক সপ্তাহের মধ্যে অবসান হবে বলে আশ্বাস দিয়েছে তৈরি পোশাক মালিকদের সংগঠন বিজিএমইএ।

রাজধানীতে বিজিএমইএর কার্যালয়ে আজ বৃহস্পতিবার সংবাদ সম্মেলন করে এমন আশাবাদ ব্যক্ত করেন বিজিএমইএর নেতারা। একই সঙ্গে শ্রমিকদের ধৈর্য ধরার পরামর্শও দেন তাঁরা।

মে, জুন ও জুলাই—এই তিন মাসের বেতন ও ঈদের বোনাস না পেয়ে ঈদুল ফিতরের আগের দিন থেকে অনশন শুরু করেন তোবা গ্রুপের কারখানার শ্রমিকেরা। এখনো অনশন চলছে। এসব কারখানায় এক হাজার ৬০০ শ্রমিক কাজ করেন।

সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে বিজিএমএইএর সহসভাপতি এস এম মান্নান বলেন, তাজরীন ফ্যাশন ছাড়া তোবা গ্রুপের অন্য পোশাক কারখানাগুলো সচল আছে। এসব কারখানায় প্রতি মাসে শ্রমিকদের বেতনই আসে প্রায় আড়াই কোটি টাকা। কিন্তু এর মালিক কারাগারে থাকায় অনেক বিদেশি ক্রেতা সেখানে কার্যাদেশ দিচ্ছে না। আবার শেয়ারড ভবনে (একই ভবনে অন্যান্য প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে ভাগাভাগি করে) কারখানা হওয়ায় ঠিকা কাজও পাচ্ছে না। ফলে আর্থিক সংকটে পড়ে তোবা গ্রুপ। এ কারণেই শ্রমিকের বেতন-বোনাস হয়নি।

এস এম মান্নান আরও বলেন, ঈদের আগে এক মাসের বেতনও যেন দেওয়া যায় সে চেষ্টা বিজিএমইএর পক্ষ থেকে করা হয়েছিল। কিন্তু মালিক কারাগারে থাকায় এবং ব্যাংক থেকে সহযোগিতা না পাওয়ায় শেষ পর্যন্ত তা দেওয়া সম্ভব হয়নি। এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘আমরা কিন্তু সরকারকে এক মাস আগেই বলেছি তোবার মালিক কারাগারে আছেন। এখানে সমস্যা হতে পারে। এ বিষয়ে ব্যবস্থা নেওয়া প্রয়োজন।’

কারাগারে থাকা তোবা গ্রুপের মালিক দেলোয়ার হোসেনের জামিন করানোর জন্যই শ্রমিকদের জিম্মি করে এই ঘটনা ঘটানো হয়েছে—এমন অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে বিজিএমইএর সাবেক সভাপতি টিপু মুন্সী বলেন, ‘উনি (দেলোয়ার) বের হলেই টাকা পাওয়া যাবে, আমরা কিন্তু সেটা বলছি না। আমরা বলছি ব্যাংক একটু সহায়তা করলেই টাকা পাওয়া যাবে। রপ্তানির কার্যাদেশের বিপরীতে ১৫ শতাংশ প্যাকিং ক্রেডিট (ঋণ) পাওয়া যায়। কিন্তু ব্যাংক থেকে পাওয়া গেছে এর অর্ধেক। পুরোটা পেলে শ্রমিকদের বেতন-বোনাস দিয়ে দেওয়া যেত।’

রপ্তানিকারকদের সমিতি ইএবির সভাপতি আবদুস সালাম মুর্শেদী বলেন, ‘ব্যাংক কিন্তু সব সময় ব্যবসাকে টাকা দেয় না। অনেক সময় এর পেছনের মানুষটাকেও দেখে।’