প্রবাসী-আয় কমেছে

ফেব্রুয়ারি মাসেও বিশ্বের বিভিন্ন দেশে বসবাসকারী বাংলাদেশিরা আগের মাসের তুলনায় কম পরিমাণ বৈদেশিক মুদ্রা বা রেমিট্যান্স (প্রবাসী-আয়) দেশে পাঠিয়েছেন। এ সময় প্রবাসীরা দেশে পাঠান ১১৭ কোটি ডলারের সমপরিমাণ বৈদেশিক মুদ্রা।
তবে আগের বছরের ফেব্রুয়ারির তুলনায় এর পরিমাণ কিছুটা বেশি।
এর আগে বছরের প্রথম মাস অর্থাৎ জানুয়ারিতে প্রবাসী বাংলাদেশিরা দেশে পাঠান মোট ১২৪ কোটি ডলারের সমপরিমাণ বৈদেশিক মুদ্রা। তার আগে চলতি অর্থবছরের প্রায় সব মাসেই প্রবাসী-আয় বৃদ্ধির প্রবণতা ছিল।
বলা হচ্ছে, রাজনৈতিক অস্থিরতার কারণে গত দুই মাসে প্রবাসী-আয় কমেছে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের সংশ্লিষ্ট বিভাগের একজন কর্মকর্তা বলেন, প্রবাসীরা দৈনন্দিন খরচ মেটানোর পাশাপাশি বিনিয়োগের উদ্দেশ্যে দেশে টাকা পাঠিয়ে থাকেন। তবে অবরোধ ও থেকে থেকে হরতালের অস্থিরতার কারণে অনেকেই একটু উদ্বিগ্ন থাকায় প্রবাসী-আয় কমে থাকতে পারে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, চলতি অর্থবছরের আট মাসে (জুলাই-ফেব্রুয়ারি) প্রবাসীরা দেশে পাঠিয়েছেন মোট ৯৯০ কোটি ৯০ লাখ ডলারের সমপরিমাণ বৈদেশিক মুদ্রা। এর মধ্যে জুলাইতে পাঠান ১৪৯ কোটি ২৪ লাখ, আগস্টে ১১৭ কোটি ৪৩ লাখ, সেপ্টেম্বরে ১৩৪ কোটি ৪২ লাখ, অক্টোবরে ১০১ কোটি ৮০ লাখ, নভেম্বরে ১১৮ কোটি ২৯ লাখ, ডিসেম্বরে ১২৭ কোটি ৫০ লাখ, জানুয়ারিতে ১২৪ কোটি ৩২ লাখ ডলার ও সর্বশেষ ফেব্রুয়ারি মাসে প্রবাসীরা দেশে পাঠিয়েছেন ১১৭ কোটি ৮৬ লাখ ডলারের সমপরিমাণ বৈদেশিক মুদ্রা।
এর আগে দীর্ঘ সময় ধরে রেমিট্যান্সে উচ্চপ্রবাহ থাকলেও ২০১৩ সালে তাতে ভাটা পড়ে। ওই সময়ে দেশে রাজনৈতিক অস্থিরতাসহ বিভিন্ন কারণে জনশক্তি রপ্তানি কমে যায় এবং ডলারের বিপরীতে টাকা শক্তিশালী হয়ে ওঠায় প্রবাসী-আয় কমে যায় বলে ধারণা করা হয়।