ডাকসুর জিএস পদে স্বতন্ত্র প্রার্থী আসিফুর রহমান

নির্বাচনে জিএস পদে এককভাবে লড়ছেন সাংবাদিক সমিতির দুবারের সভাপতি এ. আর. এম আসিফুর রহমান। মধুর ক্যান্টিনে তিনি সংবাদ সম্মেলন করেন।
নির্বাচনে জিএস পদে এককভাবে লড়ছেন সাংবাদিক সমিতির দুবারের সভাপতি এ. আর. এম আসিফুর রহমান। মধুর ক্যান্টিনে তিনি সংবাদ সম্মেলন করেন।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) নির্বাচনে জিএস (সাধারণ সম্পাদক) পদে স্বতন্ত্রভাবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সাংবাদিক সমিতির সভাপতি এ আর এম আসিফুর রহমান। ডাকসুর গঠনতন্ত্র অনুযায়ী, সরকারি বা বেসরকারি কোনো প্রতিষ্ঠানে কর্মরত কোনো শিক্ষার্থীর প্রার্থিতার সুযোগ না থাকায় সাংবাদিকতার চাকরি ছেড়ে ডাকসুতে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন তিনি।

আজ বুধবার দুপুরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মধুর ক্যানটিনে সংবাদ সম্মেলন করে ডাকসুর জিএস পদে নিজের প্রার্থিতার কথা ঘোষণা করেন আসিফুর রহমান। ডাকসু নির্বাচনকে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের অধিকার ফিরে পাওয়ার লড়াই হিসেবে দেখেন তিনি।

সংবাদ সম্মেলনে আসিফ নিজেই লিখিত বক্তব্য পড়ে শোনান। লিখিত বক্তব্যে নিজের স্বতন্ত্র প্রার্থিতা ও ডাকসু নির্বাচনের সামগ্রিক পরিস্থিতি নিয়ে নিজের অবস্থান তুলে ধরেন তিনি। লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, ‘আজ যারা শিক্ষার্থীদের কথা বলেন, তাঁরা বিভক্ত। নানা দলীয় রাজনৈতিক বৃত্তে আবদ্ধ হয়ে আছে স্বপ্নের ডাকসু। এসব শঙ্কার কথা মাথায় রেখেই আমি ডাকসু নির্বাচনে প্রার্থী হয়েছি। এর আগে সাংবাদিকতা পেশার সঙ্গে যুক্ত ছিলাম। যেখানেই অসংগতি দেখেছি, তা বলার চেষ্টা করেছি। কতটুকু সফল হয়েছি, সেটা শিক্ষার্থীদের বিবেচনা। এখন ক্ষমতার লড়াইয়ে শিক্ষার্থীদের পক্ষে কথা বলার শক্তিগুলো বিচ্ছিন্ন।’

আসিফুর রহমান প্রশ্ন রাখেন, ‘আমরা কি ধারণা করতে পারছি ডাকসু কাদের হতে যাচ্ছে? প্রশাসন যে প্রক্রিয়ায় এগোচ্ছে, তাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা কি তাদের অধিকার ফিরে পাবে? নিশ্চিত হবে কি শিক্ষক-প্রশাসকদের জবাবদিহি? দল-মত ও জাতি-গোষ্ঠী নির্বিশেষে সব শিক্ষার্থীর সমান সুযোগ কি নিশ্চিত হবে?’

শিক্ষার্থীদের মুক্তচিন্তা ও কথা বলার অধিকার না থাকাটাই বিশ্ববিদ্যালয়ের সব সমস্যার মূল কারণ বলে মনে করেন আসিফুর রহমান। ডাকসু নির্বাচনের চলমান প্রক্রিয়াকে ‘প্রশাসনিক নীলনকশার নির্বাচনী প্রক্রিয়া’ আখ্যা দেন তিনি। সংবাদ সম্মেলনে তিনি আরও বলেন, ‘সারা দেশেই কথা বলার অধিকার সংকুচিত হয়েছে। শিক্ষার্থীদের পক্ষের শক্তিগুলোর বিভাজনের কারণে এ পরিবেশ যদি আরও সংকুচিত হয়, এর দায় বিভাজিত শক্তির সবাইকে নিতে হবে। আমি চাই সর্বোচ্চ ছাড় দিয়ে সবাই একসঙ্গে দাঁড়াক।’

আসিফুর রহমান দুই মেয়াদে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সাংবাদিক সমিতির সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সাংবাদিক সমিতির গঠনতন্ত্র অনুযায়ী, এর সদস্যদের ডাকসুতে প্রতিদ্বন্দ্বিতার ক্ষেত্রে কোনো বাধা নেই বলে জানান তিনি।