বোর্ডে জিপিএ-৫-এ সেরা মুহসীন কলেজ

ভালো ফলাফল। বন্ধুর সঙ্গে সাফল্যের আনন্দের ভাগাভাগি। ছবিটি গতকাল বুধবার দুপুরে চট্টগ্রাম সরকারি বাণিজ্য কলেজ থেকে তোলা l সৌরভ দাশ ও জুয়েল শীল
ভালো ফলাফল। বন্ধুর সঙ্গে সাফল্যের আনন্দের ভাগাভাগি। ছবিটি গতকাল বুধবার দুপুরে চট্টগ্রাম সরকারি বাণিজ্য কলেজ থেকে তোলা l সৌরভ দাশ ও জুয়েল শীল

জিপিএ-৫ প্রাপ্তির দিক থেকে চট্টগ্রাম বোর্ডের সেরা ২০ কলেজের তালিকায় এ বছর নগরের সরকারি হাজী মুহম্মদ মুহসীন কলেজ শীর্ষে রয়েছে। কলেজের এক হাজার ৪০৩ জন পরীক্ষার্থীর মধ্যে জিপিএ-৫ পেয়েছেন ৪৯৫ জন।
দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে চট্টগ্রাম কলেজ। এ কলেজের ৭৬০ জন পরীক্ষার্থীর মধ্যে জিপিএ-৫ পেয়েছেন ৪৬৬ জন। ৭৫১ জন পরীক্ষার্থীর মধ্যে ৩২১ জন জিপিএ-৫ পেয়ে তৃতীয় স্থান দখল করেছে সরকারি বাণিজ্য কলেজ।
ফলাফল বিশ্লেষণে দেখা যায়, গত বছর সবচেয়ে বেশি জিপিএ-৫ পেয়ে শীর্ষ স্থান দখল করেছিল চট্টগ্রাম কলেজ। দ্বিতীয় স্থানে ছিল মুহসীন কলেজ এবং তৃতীয় স্থানে ছিল সরকারি বাণিজ্য কলেজ।

ভালো ফলাফল। বন্ধুর সঙ্গে সাফল্যের আনন্দের ভাগাভাগি। ছবিটি গতকাল বুধবার দুপুরে মহসিন কলেজ  থেকে তোলা l সৌরভ দাশ ও জুয়েল শীল
ভালো ফলাফল। বন্ধুর সঙ্গে সাফল্যের আনন্দের ভাগাভাগি। ছবিটি গতকাল বুধবার দুপুরে মহসিন কলেজ থেকে তোলা l সৌরভ দাশ ও জুয়েল শীল

গত বছর চট্টগ্রাম কলেজ থেকে ৪৮০ জন জিপিএ-৫ পেয়েছিলেন। মুহসীন কলেজ থেকে ৪৪৩ জন এবং সরকারি বাণিজ্য কলেজ থেকে জিপিএ-৫ পেয়েছিলেন ৩০৫ জন।
ফলাফল উত্তরণ প্রসঙ্গে মুহসীন কলেজের সদ্য অবসরে যাওয়া অধ্যক্ষ আবদুল মোনায়েম তাঁর প্রতিক্রিয়া জানাতে গিয়ে বলেন, ‘এ সাফল্যে আমি গর্বিত। আমি মনে করি, শিক্ষক–অভিভাবকদের সার্বিক নজরদারি ও আন্তরিকতা এ ফলাফল এনে দিয়েছে।’
গত বছরের তুলনায় এ বছরের ফলাফলে অগ্রগতি প্রসঙ্গে মুহসীন কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ আলমগীর চৌধুরী প্রথম আলোকে বলেন, ‘আমাদের ভালো ফলের পেছনে অনেকগুলো বিষয় জড়িত। আমরা নিয়মিত ক্লাস নিয়েছি। বছরের শুরুতেই প্রত্যেক শিক্ষার্থীর হাতে অ্যাকাডেমিক ক্যালেন্ডার তুলে দিয়েছি। পরীক্ষাও হয়েছে নিয়মিত। এ ছাড়া আমরা প্রতি ৫০ জন শিক্ষার্থীর তদারকির জন্য একজন শিক্ষককে নিয়োজিত রেখেছি। দুর্বল শিক্ষার্থীদের জন্য বিশেষ পাঠদানের ব্যবস্থা ছিল। আর অভিভাবকসমাবেশ ডেকে তাঁদের হাতে আমরা প্রতিটি পরীক্ষার ফলাফল তুলে দিয়েছি। এসব কারণে আমরা এবার জিপিএ-৫-এর দিক দিয়ে এগিয়ে যেতে পেরেছি।’

ইস্পাহানি পাবলিক কলেজ l প্রথম আলো
ইস্পাহানি পাবলিক কলেজ l প্রথম আলো

শ্রেণিকক্ষের সমস্যার কথা তুলে ধরে ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ বলেন, ‘এ সংকট কাটিয়ে উঠতে পারলে আমাদের ফলাফল আরও ভালো হতো।’
সাফল্যের তালিকায় জিপিএ-৫ পেয়ে চতুর্থ স্থানে রয়েছে চট্টগ্রাম ক্যান্টনমেন্ট পাবলিক স্কুল ও কলেজ। কলেজের ২১৫ জন শিক্ষার্থী জিপিএ-৫ পেয়েছেন।
চট্টগ্রাম সরকারি সিটি কলেজ থেকে ১৮৫ জন জিপিএ-৫ পেয়ে পঞ্চম স্থানে রয়েছে। ষষ্ঠ স্থানে রয়েছে চট্টগ্রাম সরকারি মহিলা কলেজ। কলেজের ১৪৬ জন জিপিএ-৫ পেয়েছেন।
সপ্তম স্থানে থাকা কক্সবাজার সরকারি কলেজ থেকে জিপিএ-৫ পেয়েছেন ১০৬ জন। অষ্টম স্থান দখলকারী নৌবাহিনী কলেজ থেকে ৭৬ জন, নবম স্থানে থাকা ইস্পাহানি পাবলিক কলেজ থেকে ৭৩ জন ও দশম স্থান দখলকারী পটিয়া সরকারি কলেজ থেকে জিপিএ-৫ পেয়েছেন ৫১ জন। এ ছাড়া ক্যান্টনমেন্ট ইংলিশ স্কুল ও কলেজ থেকে ৪৯ জন, হাজেরা-তজু ডিগ্রি কলেজ থেকে ৪৪ জন, ফৌজদারহাট ক্যাডেট কলেজ থেকে ৪৩ জন, বিএএফ শাহীন কলেজ থেকে ৩১ জন, বাংলাদেশ মহিলা সমিতি বালিকা উচ্চবিদ্যালয় ও কলেজ থেকে ২৮ জন, চট্টগ্রাম প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় কলেজ থেকে ২১ জন, আগ্রাবাদ মহিলা কলেজ ও বিজ্ঞান কলেজ থেকে ১৩ জন করে, কাপাসগোলা সিটি করপোরেশন কলেজ থেকে ১২ জন এবং এনায়েত বাজার মহিলা কলেজ থেকে সাতজন জিপিএ-৫ পেয়েছেন।