'মা-ই আমার হিরো'

মা মধু চোপড়ার সঙ্গে প্রিয়াঙ্কা চোপড়া
মা মধু চোপড়ার সঙ্গে প্রিয়াঙ্কা চোপড়া

২০০০ সালে মিস ওয়ার্ল্ডের মুকুট জেতেন প্রিয়াঙ্কা চোপড়া। সে বছর ফেমিনা মিস ইন্ডিয়া প্রতিযোগিতায় তিনি ছিলেন প্রথম রানার আপ। অথচ প্রতিযোগিতার প্রথম রাউন্ডে ডাক পড়ার আগ পর্যন্ত ঘুণাক্ষরেও টের পাননি যে এখানে তাঁর নাম দেওয়া হয়েছে।

একটি পার্টিতে এভাবেই ক্যামেরাবন্দী হলেন মা-মেয়ে
একটি পার্টিতে এভাবেই ক্যামেরাবন্দী হলেন মা-মেয়ে

প্রিয়াঙ্কাকে কিছু না জানিয়েই সুন্দরী প্রতিযোগিতায় ছবি পাঠিয়েছেন মা মধু চোপড়া। মায়ের উৎসাহেই আজ এত দূর আসতে পেরেছেন প্রিয়াঙ্কা। গত বুধবার বিশ্বকন্যা শিশু দিবসে ইনস্টাগ্রামে মায়ের সঙ্গে একটি ছবি প্রকাশ করে সেখানে অনুপ্রেরণামূলক কিছু কথা লিখেছেন এই তারকা।

মা আর মেয়ের মধ্যে দারুণ বন্ধুত্ব
মা আর মেয়ের মধ্যে দারুণ বন্ধুত্ব

প্রিয়াঙ্কা চোপড়া ছিলেন তাঁর বাবার আদরের মেয়ে। তবে, ‘ড্যাডিস লিটল গার্ল’ প্রিয়াঙ্কার মনে আত্মবিশ্বাস জাগিয়ে তুলেছিলেন তাঁর মা। মাকে এই নায়িকা বলেন তাঁর ‘গার্ল হিরো’। প্রিয়াঙ্কার মা মধু চোপড়ার জন্ম ভারতের ছোট একটি শহরে। নিজের স্বপ্ন পূরণ করতে অল্প বয়সে বাড়ি ছাড়েন তিনি। পেশায় চিকিৎসক মধু কিন্তু বিমানও চালাতে পারেন। সনদপ্রাপ্ত বৈমানিক তিনি। আবার ছাদ খোলা জিপ চালিয়ে পুরো এলাকা চষে বেড়াতেন। প্রিয়াঙ্কা তাই মজা করে তাঁর মাকে বলেন—‘দুষ্ট মেয়ে’। শুধু যে পড়াশোনাতেই তিনি ভালো ছিলেন তা কিন্তু নয়। নয়টি ভাষাতে কথা বলতে জানেন। আর এই বয়সেও তাঁর ফ্যাশন সেন্স এক কথায় দারুণ। পার্পেল পেবল পিকচার্স নামের প্রযোজনা প্রতিষ্ঠানের অন্যতম অংশীদার।

প্রিয়াঙ্কার আত্মবিশ্বাসের উৎস তাঁর মা মধু চোপড়া
প্রিয়াঙ্কার আত্মবিশ্বাসের উৎস তাঁর মা মধু চোপড়া

মায়ের সম্পর্কে প্রিয়াঙ্কা লিখেছেন, ‘তিনি একজন অসাধারণ মা, মেয়ে, বোন, স্ত্রী ও ব্যবসায়িক অংশীদার। তিনিই আমাকে শিখিয়েছেন যে, আমি চাইলে যা হতে চাই, যা করতে চাই তাই পারি...এ জন্যই তিনি আমার নায়ক।’ প্রিয়াঙ্কা বলেন, ‘আপনার আশপাশের মেয়েদের মধ্যে এই বিশ্বাসটি ঢুকিয়ে দেওয়া খুব জরুরি। এবারের বিশ্ব কন্যা শিশু দিবসে আমরা এই কাজটি করতে পারি।’

বিশ্বসুন্দরীর মুকুট জেতার পর মা মধু চোপড়া, বাবা অশোক চোপড়া ও ছোট ভাইয়ের সঙ্গে প্রিয়াঙ্কা
বিশ্বসুন্দরীর মুকুট জেতার পর মা মধু চোপড়া, বাবা অশোক চোপড়া ও ছোট ভাইয়ের সঙ্গে প্রিয়াঙ্কা

প্রিয়াঙ্কা চোপড়া মাস খানেক আগে এক সাক্ষাৎকারে বলেন, তিনি নিজের কোকড়া চুল নিয়ে আগে অনেক হীনমন্যতায় ভুগতেন। যুক্তরাষ্ট্রে হাইস্কুলে পড়ার সময় তাঁকে ভারতীয় বলে অপমান করতেন সে দেশের সহপাঠীরা। কিশোর বয়সে এসব নিয়ে খুব মনমরা থাকলেও, আত্মবিশ্বাস তিনি ভালোই অর্জন করেছেন। আর এর পেছনে সম্পূর্ণ অবদান তাঁর মায়ের। প্রিয়াঙ্কাকে সাহসী ও আত্মবিশ্বাসী করে তুলতেই লুকিয়ে মেয়ের ছবি পাঠিয়েছেন সুন্দরী প্রতিযোগিতার আসরে। মায়ের কাছ থেকেই মেয়ে শিখেছেন, একজন নারীর শ্রেষ্ঠ অনুষঙ্গ হলো তাঁর আত্মবিশ্বাস।