অপুকে তালাকের নোটিশ দিলেন শাকিব

শেষ পর্যন্ত ভেঙেই যাচ্ছে চলচ্চিত্রের জনপ্রিয় জুটি শাকিব খান ও অপু বিশ্বাসের সংসার। জানা গেছে, চিত্রনায়িকা অপু বিশ্বাসকে তালাকের নোটিশ পাঠিয়েছেন দেশের শীর্ষ চিত্রনায়ক শাকিব খান। তাঁর আইনজীবী শেখ সিরাজুল ইসলাম আজ সোমবার দুপুরে প্রথম আলোকে জানান, গত ২২ নভেম্বর সন্ধ্যায় শাকিব খান তাঁর চেম্বারে যান। তিনি অপুকে তালাক দেওয়ার ব্যাপারে এই আইনজীবীর কাছে আইনগত সহায়তা চান। এরপর শাকিব খানের পক্ষে আইনজীবী শেখ সিরাজুল ইসলামের অফিস থেকে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন মেয়র কার্যালয়, অপু বিশ্বাসের ঢাকার নিকেতনের বাসা এবং বগুড়ার ঠিকানায় এই তালাকের নোটিশ পাঠানো হয়েছে। তবে এই তালাক কার্যকর হবে নোটিশ পাঠানোর তারিখ থেকে তিন মাস পর।

অপু বিশ্বাস ও শাকিব খান
অপু বিশ্বাস ও শাকিব খান

তালাকের কারণ হিসেবে নোটিশে শাকিব উল্লেখ করেছেন, অপু তাঁর পছন্দের সীমার মধ্যে থাকেননি। সম্প্রতি তাঁদের সন্তানকে গৃহপরিচারিকার কাছে রেখে দেশের বাইরে যান অপু। এ ব্যাপারে অপুর কাছ থেকে তিনি কোনো সন্তোষজনক জবাব পাননি। এরপর শাকিব ধরে নিয়েছেন, অপু তাঁর সঙ্গে সংসার করতে চান না।

শেখ সিরাজুল ইসলাম আরও জানান, বিয়ের দেনমোহর বাবদ সাত লাখ টাকা অপুকে পরিশোধ করবেন শাকিব খান। এ ছাড়া তিনি একমাত্র সন্তান আব্রাম খান জয়ের ভরণপোষণ করবেন।

তালাকের এই নোটিশের ব্যাপারে শাকিব খান ও অপু বিশ্বাস কেউই মুখ খুলছেন না। তাঁদের দুজনের মুঠোফোন নম্বরই বন্ধ পাওয়া যায়।

২০০৮ সালের ১৮ এপ্রিল শাকিব খান ও অপু বিশ্বাসের বিয়ে হয়। বিয়ের ব্যাপারটি কঠোর গোপনীয়তার মধ্যে রেখে তাঁরা দুজন সমানতালে সিনেমার শুটিং অব্যাহত রাখেন। এ বছর ১০ এপ্রিল বিকেলে একটি টেলিভিশন চ্যানেলে ছয় মাস বয়সের ছেলে আব্রামকে সঙ্গে নিয়ে উপস্থিত হন অপু। সেদিন অপু বলেন, ‘আমি শাকিবের স্ত্রী, আমাদের ছেলে আছে।’

আট বছর আগের সে বিয়ের খবর জনসমক্ষে আসার পর দুজনের সম্পর্কের টানাপোড়েন তৈরি হয়। পরিস্থিতি এমন অবস্থায় পৌঁছায় যে শাকিব খান ও অপু বিশ্বাস নিজেদের মধ্যে মুখ দেখাদেখি বন্ধ করে দেন। শুধু ছেলে আব্রামের কারণে মাঝেমধ্যে দেখা হলেও কথা হয়নি দুজনের। এবার তাঁদের সেই টানাপোড়েনের চূড়ান্ত পরিণতি ঘটেছে। শাকিব খান আর অপু বিশ্বাসের আনুষ্ঠানিকভাবে বিবাহবিচ্ছেদ ঘটছে।