রাবা খানের 'মডার্ন পীরিতি'

>এবিসি রেডিওতে নতুন অনুষ্ঠান শুরু করেছে ইউটিউবার ও আর জে রাবা খান। এক দুপুরে বনানীতে বসে কথা হলো তাঁর সঙ্গে। শুধু অনুষ্ঠান নিয়ে নয়, বললেন নিজের ‘সিঙ্গল’ থাকার রহস্যও। লিখেছেন হাবিবুল্লাহ সিদ্দিক

রাবা খান ছবি: কবির হোসেন
রাবা খান ছবি: কবির হোসেন

অনুষ্ঠানটার নাম ‘মডার্ন পীরিতি’। এমন নামের কারণ কী? প্রশ্ন করেছিলাম অনুষ্ঠানের সঞ্চালক রাবা খানের কাছে। বললেন, ‘নামের মধ্যেই কিন্তু একটা উত্তর দেওয়া আছে।’ তবে শুধু পীরিতি বা প্রেম নিয়ে নয়, রাবা খান ওই অনুষ্ঠানে নানা বিষয়ে পরামর্শ দেন। ‘মডার্ন পীরিতি’ প্রচারিত হয় এবিসি রেডিও এফএম ৮৯.২-এ। প্রতি বৃহস্পতিবার রাত ১১টা থেকে ১টা অবধি শোনা যায় রাবা খানকে। অবশ্য আর জে হিসেবেই রাবা খানের ক্যারিয়ার শুরু হয়েছিল আগে। তারপর অনেক কিছু করেছেন। পরিচিতি গতি পেয়েছে ‘ইউটিউবার’ হিসেবে। তাঁর ইউটিউব চ্যানেল ‘ঝাকানাকা প্রজেক্ট’-এ ক্রমশ ভিড় বাড়ছে ভিউয়ারদের। কারণ, গান, নাচ এবং সাম্প্রতিক সময়ের বেশ কিছু বিষয় নিয়ে নিয়মিত ভিডিও আপলোড করেন তিনি। ছয় মাস আগেই আর জে ছিলেন একটি বেসরকারি রেডিও স্টেশনের। বিরতি দিয়ে আবার! কারণ কী?

বললেন, ‘আসলে রেডিওতে শো করার আলাদা একটা মজা আছে। আমি খুব এনজয় করি। এ কারণে চাইলেও ছাড়তে পারি না।’ বনানীর একটি রেস্তোরাঁয় বসে কথা হচ্ছিল রাবার সঙ্গে। ছাড়া না-ছাড়া ছাপিয়ে আমরা মনোযোগী হই রাবার ‘মডার্ন পীরিতি’ নিয়ে।

অনুষ্ঠানের নামটা রাবার দেওয়া। বললেন, ‘এবিসি রেডিও থেকে আমাকে অনুষ্ঠান নিয়ে কয়েকটি পরিকল্পনা দেওয়া হয়েছিল। আমি এটাই পছন্দ করেছি। নামটাও দেওয়া হয়েছে সময়ের সঙ্গে তাল মিলিয়ে। অনুষ্ঠানের সঙ্গে মিলিয়ে পৃথ্বীরাজ একটা টাইটেল গান করেছেন। দারুণ হয়েছে।’

এরই মধ্যে ‘মডার্ন পীরিতি’র দুটি অনুষ্ঠান প্রচার হয়েছে। শুনতে চাই সেই অভিজ্ঞতা। ‘এক কথায় দারুণ। মানুষ এত এত সমস্যায় থাকেন যে বলে শেষ করা যাবে না। বেশি সমস্যা আসে প্রেমের সম্পর্কে জড়ানো ও ব্রেক আপ নিয়ে।’

‘মানুষের “রিলেশন” নিয়ে কথা বলেন। নিজের রিলেশন?’ প্রশ্ন শুনে কিছু একটা আড়াল করার চেষ্টা করেন বৈকি। তবে সেটা কয়েক সেকেন্ডের জন্য। বলেন, ‘আমি আসলে পুরোদস্তুর “সিঙ্গল”। কারণ এখন শুধু কাজ নিয়ে ভাবতে চাই। রিলেশনের জন্য প্রচুর সময় দিতে হয়। নানা ধরনের জবাবদিহি থাকে। তাই একাই ভালো আছি।’

পরামর্শ দেওয়ার ব্যাপারটি খোলাসা করেন। ‘কীভাবে যেন ছোটবেলা থেকে আমার এই অভ্যাসটা হয়ে গেছে। ছোটবেলায় আমার বন্ধুরা সম্পর্ক বা ব্যক্তিগত জীবনে কোনো সমস্যায় পড়লেই আমার কাছে আসত। পরামর্শ চাইত। ওই সময় থেকে আমার মনে হতো সম্পর্কের ব্যাপারে একটু হলেও পরামর্শ আমি দিতে পারি।’

নিজের এই ‘বিশেষ গুণটাই’ রাবা কাজে লাগাচ্ছেন এবিসির মাধ্যমে। সেটার ফলও পাচ্ছেন। প্রথম সপ্তাহে এক শ্রোতাকে সম্পর্ক নিয়ে একটা পরামর্শ দিয়েছিলেন। সেই শ্রোতা পরের সপ্তাহে জানিয়েছেন, তাঁর কথামতো কাজটি করার পর প্রিয় মানুষের সঙ্গে ব্রেকআপ করতে হয়নি। এ রকম অনেক গল্প জমা হচ্ছে রাবার ভান্ডারে। সেসব বলার সুযোগ হয় না আর। রাবাকে উঠতে হয়। যাওয়ার সময় বলে যান, ‘আরেক দিন হবে, আজ একটা জরুরি মিটিং আছে। আমার ইউটিউব চ্যানেলের কাজটা নিয়ে।’