'রানি রাশমণি' কোন ক্লাসে পড়ছেন?

‘করুণাময়ী রানি রাশমণি’র বিজ্ঞাপনে দিতিপ্রিয়া
‘করুণাময়ী রানি রাশমণি’র বিজ্ঞাপনে দিতিপ্রিয়া

রানি রাসমণি ছিলেন কলকাতার জানবাজারের বাসিন্দা। জমিদার হিসেবে ছিল তাঁর যথেষ্ট খ্যাতি। তিনি দক্ষিণেশ্বর কালীবাড়ি প্রতিষ্ঠা করেন। ছিলেন রামকৃষ্ণ পরমহংসের অন্যতম পৃষ্ঠপোষক। এবার তাঁকে নিয়ে কলকাতার জি বাংলায় প্রচারিত হচ্ছে ধারাবাহিক নাটক ‘করুণাময়ী রানি রাশমণি’। শুরুতেই ‘রানি রাশমণি’ চরিত্রে অভিনয় করছেন দিতিপ্রিয়া। এরই মধ্যে তিনি আলোচিত হয়েছেন। অনেকেরই প্রশ্ন, দিতিপ্রিয়া কী করছেন? জানা গেল, তিনি গঙ্গাপুর শিক্ষাসদন ফর গার্লসে ক্লাস টেনে পড়ছেন।

সৃজিত মুখোপাধ্যায়ের পরিচালনায় ‘রাজকাহিনী’ ছবিতে ছোট্ট বুঁচকির ভূমিকায় অভিনয় করেন দিতিপ্রিয়া। অভিনয় করেছেন হিন্দি ধারাবাহিকে। আরও অভিনয় করেছেন ধারাবাহিক নাটক ‘মা’, ‘দুর্গা’, ‘অপরাজিত’ ও ‘সাধক বামাক্ষ্যাপা’য়। বললেন, কিছুদিন আগে এপিক চ্যানেলে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ছোটগল্প নিয়ে অনুরাগ বসু ‘স্টোরিজ বাই রবীন্দ্রনাথ’ করেছেন। সেখানে ‘অতিথি’ গল্পে প্রধান চরিত্রে অভিনয় করেন। ঋতুপর্ণ ঘোষের ‘চিত্রাঙ্গদা’ ছবিতে ডাবিং করেছেন, যিশুর ‘অপরাজিত’ ধারাবাহিকে অভিনয় করেছেন।

‘করুণাময়ী রানি রাশমণি’ ধারাবাহিকে অভিনয় করতে কেমন লাগছে? কলকাতা থেকে প্রকাশিত একটি পত্রিকায় দেওয়া সাক্ষাৎকারে দিতিপ্রিয়া বললেন, ‘দারুণ! এমন চরিত্রে অভিনয় করার সুযোগ তো সবাই পায় না। দারুণ উৎসাহ নিয়ে কাজ করছি। এর আগে ইতিহাস থেকে এই চরিত্র সম্পর্কে যতটুকু সম্ভব জেনে নিয়েছি। তাঁর সম্পর্কে অনেক অজানা তথ্য পেয়েছি। নতুন করে তাঁর সম্পর্কে জেনেছি। এ ছাড়া ওয়ার্কশপ করেছি। রানি রাসমণি সম্পর্কে অনেক বই পড়েছি। অভিনয় করতে করতে মাঝেমধ্যে মনে হয়, আমিই রাসমণি।’

অভিনয়ের পাশাপাশি পড়াশোনা নিয়েও ব্যস্ত দিতিপ্রিয়া। বললেন, ‘আমাকে পড়াশোনার জন্য নাটক থেকে মাঝেমধ্যেই ছাড়া হচ্ছে। শুটিংয়েও যাচ্ছি বইখাতা সঙ্গে নিয়ে। সকালে স্কুলে যাচ্ছি। টিচারের কাছে পড়ার জন্যও সময় পাচ্ছি। সবাই খুব সাহায্য করছেন।’

দিতিপ্রিয়ার অভিনয়ের শুরুটা কীভাবে হলো? বললেন, ‘বাবা ভেটেরিনারি সার্জন। অভিনয়ও করেন। অনেক দিন আগে তিনি আমাকে আর পোষা কুকুর টিনিকে নিয়ে দূরদর্শনের একটি শুটিংয়ে গিয়েছিলেন। সেখানে একটি দৃশ্যে টিনিকে ছুড়ে দেওয়া বল ধরতে হবে। কিন্তু যে মেয়েটি অভিনয় করছিল, বলটা ছুড়তে পারছিল না। তাই টিনির মিস হচ্ছিল। তখন আমাকে ডাকা হয়। আমার ছোড়া বল টিনি লুফে নেয়, আর আমিও সেই চরিত্রে অভিনয়ের সুযোগ পেয়ে যাই।’

শুটিংয়ের সময় দিতিপ্রিয়ার পাশে থাকেন তাঁর মা। যখনই অবসর পান, ছবি আঁকেন। বললেন, ‘যদিও আঁকা শিখিনি। তবে সবাই বলে আমি নাকি ভালো আঁকি। যদি মন খারাপ হয়, ছবি আঁকার খাতা নিয়ে বসে পড়ি।’

ভবিষ্যৎ নিয়ে বললেন, পুনে ফিল্ম ইনস্টিটিউটে অভিনয়ের ওপর পড়াশোনা করবেন দিতিপ্রিয়া। অভিনয় করতে ভালোবাসেন। তাই অভিনয়ের সঙ্গেই যুক্ত থাকবেন।